হামুরা, টোকিও
Hamura 羽村市 | |
---|---|
শহর | |
টোকিও মহানগরীতে হামুরার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ৩৫°৪৬′১.৮″ উত্তর ১৩৯°১৮′৩৯.৪″ পূর্ব / ৩৫.৭৬৭১৬৭° উত্তর ১৩৯.৩১০৯৪৪° পূর্ব | |
Country | জাপান |
Region | কান্তোও |
Prefecture | টোকিও মহানগরী |
আয়তন | |
• মোট | ৯.৯০ বর্গকিমি (৩.৮২ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (February 2016) | |
• মোট | ৫৫,৫৯৬ |
• জনঘনত্ব | ৫,৬২০/বর্গকিমি (১৪,৬০০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | +৯ (জাপান মান সময়) |
শহরের প্রতীকসমূহ | |
• গাছ | গিংকো |
• ফুল | সাকুরা |
• পাখি | খয়রা শিকরেপ্যাঁচা |
ফোন নাম্বার | ০৪২-৫৫৫-১১১১ |
ঠিকানা | ৫-২-১ মিদোরিগাওকা, হামুরা-শি, টোকিও-টু ২০৫-৮৬০১ |
ওয়েবসাইট | www |
হামুরা (羽村市 "Hamura-shi") রাজধানী টোকিওর পশ্চিম অংশে অবস্থিত জাপানের অন্যতম একটি শহর। ২০১৬ সালে পহেলা ফেব্রুয়ারির আদমশুমারী অনুযায়ী এই শহরটিতে গড় জনসংখ্যা ৫৫,৫৯৬ জন এবং প্রতি বর্গ-কিলোমিটারে ৫,৬২০ জন লোক বসবাস করে। এর মোট এলাকা ৯.৯০ কি.মি. (৩.৮২ বর্গ মি.)।
জাপানী পপ তারকা 'কাজাসি' হামুরা শহরকে তার ঘর হিসেবে অভিহিত করেন।
ভূগোল
[সম্পাদনা]শহর হামুরা রাজধানী টোকিওর পশ্চিম-মধ্যাংশে মুসাশিনো সোপানের উপরে অবস্থিত। এই শহরের কেন্দ্রবিন্দু হতে ৫০ কি.মি. (৩১ মি.) দূরে তামা নদী প্রবাহিত হয়। হামুরা শহরের পাশে অবস্থিত উল্লেখযোগ্য শহরগুলো হচ্ছে - 'ফুজিমাদাইরা', 'ফুতাবাকো', 'গোনোকামি', 'হানে', 'হানেহিগাশি', 'কাওয়াসাকি', 'মিদোরিগাওকা', 'ওজাকুদায়', 'শিনমেইদায়', 'তামাগাওয়া', 'ইয়োকোতাকিচিনাই'। জাপানের এসব শহরগুলোর প্রশাসনিক কাঠামো চোস হিসেবে পরিচিত।
পার্শ্ববর্তী পৌরসভা
[সম্পাদনা]ইতিহাস
[সম্পাদনা]জাপানি পুরা-প্রস্তর যুগ থেকেই আজকের হামুরা অঞ্চলে মানুষের বসবাস এবং জোমোন, ইয়ায়োই এবং কোফুন যুগের ফসিলও আধুনিক হামুরা শহরে পাওয়া গেছে। নারা যুগে হামুরা শহর মুসাশি প্রদেশের অন্তর্গত ছিল। ১৬৫৩ সালে খাবার জল সংগ্রহের জন্য তামা নদীর পানির গতিপথ পরিবর্তন করে এদোতে (টোকিওর পুরোনো নাম) নিয়ে আসার জন্য 'তামাগাওয়া জোসুই' নামের যে কৃত্রিম জলপথ প্রযুক্তি সেই সময় তৈরী করা হয়েছিল, সেটি আজকের এই হামুরা শহরেই নির্মাণ করা হয়েছিল।
মেইজি পুনর্স্থাপনের (১৮৬৮ সালের একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা যেখানে জাপানের সম্রাট তার সাম্রাজ্য পুনর্প্রতিষ্ঠা করে।) পরবর্তী সময়ে 'নিশিতামা বিভাগে' ১৮৮৯ সালের পহেলা এপ্রিলে অনেকগুলো গ্রাম একত্র করে তাকে 'নিশিতামা গ্রাম' নাম দিয়ে তা কানাগাওয়া প্রশাসনিক অঞ্চলের সাথে সংযুক্ত করা হয়। পরে এই বিভাগ ১৮৯৩ সালের পহেলা এপ্রিল তারিখে টোকিও প্রশাসনিক অঞ্চলের অভ্যন্তরে চলে আসে। ১৯৫৬ সালে এই 'নিশিতামা গ্রাম'-ই হামুরা শহর হিসেবে প্রকাশ লাভ করে। ১৯৯১ সালের পহেলা নভেম্বর হামুরা পাকাপাকিভাবে শহরে মর্যাদা লাভ করে।
অর্থনীতি
[সম্পাদনা]হামুরা একটি বাণিজ্যপ্রধান শহর এবং মধ্য টোকিও ও পার্শ্ববর্তী ওমে শহর থেকেও অনেক মানুষ এই শহরে কাজ করতে আসে। জাপানের অনেক বৈদ্যুতিক কোম্পানির এই শহরে মাঝারী ধরনের ইন্ডাস্ট্রি ও পণ্য আনা নেওয়ার কাজ করে থাকে। এই শহরে টয়োটা এবং হিনো মোটোরস কোম্পানির কলকারখানা এবং টেস্টিং ট্র্যাক আছে।
শিক্ষাব্যবস্থা
[সম্পাদনা]হামুরা শহরে সাতটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় তিনটি মধ্য-বিদ্যালয় আছে। এছাড়াও টোকিও সরকারি মেট্রোপলিটন শিক্ষা বোর্ডের [১] তত্ত্বাবধানে একটি উচ্চ-বিদ্যালয় এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ একটি বিদ্যালয়ও রয়েছে।
যাতায়াত ব্যবস্থা
[সম্পাদনা]রেলপথ
[সম্পাদনা]মহাসড়ক
[সম্পাদনা]পার্শ্ববর্তী শহরের সাথে সম্পর্ক
[সম্পাদনা]১৯৯৬ সালের পহেলা অক্টোবর হামুরা শহরকে জাপানের ইয়ামানাশি প্রদেশের হোকুটো শহরের সাথে চুক্তিবদ্ধের আওতায় এনে দুই শহরের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপন করা হয়েছে।
স্থানীয় আকর্ষণ
[সম্পাদনা]- হামুরা বাধ
- আসো মন্দির
- হামুরা চিড়িয়াখানা
হামুরার উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ
[সম্পাদনা]- শিনজি জোজো - ফুটবল খেলোয়াড়
- ইয়ুজো কোবায়েশী - ফুটবল খেলোয়াড়
- শিজুকো কুদো - অভিনেত্রী, গায়ক
- হিরুমি তোসাকা - গায়ক এবং অভিনেতা
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ 東京都立羽村高等学校 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে(জাপানি)