হানজালা ইবনে আবি আমির

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

হানজালা ইবনে আবি আমির (আরবী: ﺣﻨﻈﻠـة ﺍﺑﻦ ﺍﺑﻲ ﻋﺎﻣﺮ) ছিলেন মুহাম্মদ সা. এর একজন সাহাবা।[১] হানজালার উপাধি গাসীলুল মালায়িকা ও তাকী। তিনি আনসারদের মধ্যকার বনু আউজ গোত্রের লোক ছিলেন। তার বাবা আবু আমির একজন খ্রিস্টান ছিলেন।[২][৩][৪]

জীবনী[সম্পাদনা]

হানজালা মদীনার আউস গোত্রের আমর ইবন আউফ শাখার সন্তান। তার পিতার নাম আবু ’আমির ’আমর, মতান্তরে ’আবদু ’আমর, তার মাতার নাম জানা যায় না।

হানজালা ইসলাম গ্রহণের পরে তার পিতার ইসলাম বিরোধীতার কারণে সে মুহাম্মদ স. এর কাছে আবেদন জানা যে নবী অনুমতি দিলে সে তার পিতাকে হত্যা করবে। কিন্তু মুহাম্মদ স. তার আবেদনে সম্মতি জানান নাই।

হানজালার বদর যুদ্ধে যোগ না দেওয়ার কারণ জানা যায় না। তবে উহুদ যুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন যা ছিল তার ইসলামী জীবনের প্রথম ও শেষ যুদ্ধ।

মৃত্যু[সম্পাদনা]

হানজালা ২৪ বছর বয়সে উহুদের ময়দানে পৌত্তলিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে শহীদ হন।[৫] হানজালা তার বিবাহের রাত্রে নববধু, আবদুল্লাহ ইবনে উবাই এর বোন, জামিলাকে রেখে জিহাদে যোগ দিতে বেরিয়ে পড়েন। তিনি গোসলের সময় পাননি। মুহাম্মদ স. বলেন, ফেরেশতাগণ স্বর্গ ও পৃথিবীর মাঝে রূপালী পাত্রে রক্ষিত পরিষ্কার বৃষ্টির পানিতে তাকে গোছল করিয়েছেন। হানজালা তাই গাসিলিল আল মালাইকা (আরবী: غسيل الملائكة) বা যাকে "ফেরেশতাগণ গোছল করায়" উপাধি দেয়া হয়।

বদর যুদ্ধে আবূ সুফইয়ানের পুত্র হানজালা মুসলিম বাহিনীর হাতে নিহত হয়। উহুদে এই হানজালাকে হত্যার পর সে মন্তব্য করে,‘হানজালার পরিবর্তে হানজালা।’

হানজালার পুত্র আব্দুল্লাহ ইবনে হানজালা প্রথম উমাইয়া খলিফা ১ম ইয়াজিদের বিরুদ্ধে মদিনার সৈন্য বাহিনীর নেতৃত্ব দেন।[৬][৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Hazrat Hanzala (رضي الله عنه)
  2. "Portraits of youths"। ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  3. The Book of the Jihad of 'Ali ibn Tahir al-Sulami (d. 1106)
  4. The History of al-Tabari Vol. 7: The Foundation of the Community
  5. Rights of the Prophet
  6. "Hanzala bin Abi 'Amir al-Rahib"। ২১ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  7. The Life of Muhammad: Al-Waqidi's Kitab Al-Maghazi