হাতিজা সাবিহা গোর্কি
হাতিজা সাবিহা গোর্কি | |
---|---|
সিভাসের ডেপুটি | |
কাজের মেয়াদ ৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৫ – ২৬ মার্চ ১৯৩৯ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | হাতিজা সাবিহা ১৮৮৮ উসকুদার, ইস্তাম্বুল, উসমানীয় সাম্রাজ্য |
মৃত্যু | ২২ নভেম্বর ১৯৬৩ | (বয়স ৭৪–৭৫)
জাতীয়তা | তুর্কি |
রাজনৈতিক দল | রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ইস্তানবুল টিচার্স কলেজ, ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | রাজনীতিবিদ |
জীবিকা | স্কুল শিক্ষক |
হাতিজা বা খাদিজা সাবিহা গোর্কি (১৮৮৮ - নভেম্বর ২২, ১৯৬৩) ছিলেন একজন তুর্কি স্কুল শিক্ষক, রাজনীতিবিদ এবং তুরস্কের সংসদের প্রথম ১৮ জন মহিলা সদস্যের একজন।
জীবনের প্রথমার্ধ
[সম্পাদনা]হাতিজা সাবিহা ১৮৮৮ সালে ইস্তানবুলের উস্কুদারে হাজ্জি ইসমাইল এবং তার স্ত্রী আইসের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে তার বাবা মারা যাওয়ার পরে তার মা দর্জি শিক্ষক হিসাবে কাজ করে বাচ্চাদের শিক্ষার যত্ন নিত। তিনি ১৯০৩ সালে উস্কুদার ভোকেশনাল হাই স্কুল ফর গার্লস থেকে পাস করেন এবং ১৯০৬ সালে ইস্তানবুলের টিচার্স কলেজ থেকে স্নাতক হন।[১]
স্কুল শিক্ষক কর্মজীবন
[সম্পাদনা]১৯০৭ সালের ৩১ জানুয়ারি তিনি মোল্লা গরানি ভোকেশনাল জুনিয়র হাই স্কুলে সূচিকর্মের শিক্ষক হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর তিনি উস্কুদার ভোকেশনাল হাই স্কুল ফর গার্লস (মার্চ ১৯০৮), কাদিকয় নর্মাল জুনিয়র হাই স্কুল (অক্টোবর ১৯১১), আবার উস্কুদার ভোকেশনাল জুনিয়র হাই স্কুল (জানুয়ারি ১৯১২), আচিক তুর্বে ভোকেশনাল হাই স্কুল (জানুয়ারি ১৯১৪) এবং মাল হাতুন ভোকেশনাল হাই স্কুলে (অক্টোবর ১৯১৪) নিযুক্ত হন। পরবর্তীতে তিনি ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দারুল ফানুনে গণিত অধ্যয়ন করেন। ১৯১৭ সালে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে স্নাতক হন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম পাঁচজন স্নাতক ছাত্রীর মধ্যে একজন ছিলেন। ১৯১৭ সালের সেপ্টেম্বরে, তিনি বুরসার টিচার্স কলেজে গণিতের সহকারী অধ্যক্ষ এবং শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত হন। তিনি ছুটিতে ইস্তাম্বুল যাওয়ার পর কাজে যোগদান না করায় তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে মনে করা হয়েছিল। ১৯২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে, তিনি এডিরনে মেয়েদের কলেজের মেয়েদের সহকারী অধ্যক্ষ এবং গণিতের শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত হন। তিনি ১৯২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই পদে বহাল ছিলেন।[১]
এডিরনে থাকার সময়, তিনি হাইস্কুলের অধ্যক্ষ কেমাল গার্কিকে বিয়ে করেছিলেন। এই বিবাহের ফলে তাদের একটি সন্তানের জন্ম হয়।[১]
উসমানীয় সাম্রাজ্যের শেষ বছরগুলোতে, তিনি অক্টোবর ১৯২২ থেকে সেপ্টেম্বর ১৯২৩ এর মধ্যবর্তী সময়ে কর্মহীন হয়ে পড়েন। তিনি ১৯২৩ সালে আদানার টিচার্স কলেজ ফর গার্লস-এ গণিতের শিক্ষক হিসেবে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য দায়িত্ব পালন করেন। ১৯২৩ সালের অক্টোবর থেকে ১৯৩৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত তিনি শিভাসের টিচার্স কলেজ ফর গার্লস-এ গণিতের শিক্ষক ছিলেন এবং এরপর ১৯৩৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টোকাটের একটি জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়ে গণিতের শিক্ষক ছিলেন।[১]
রাজনীতিবিদ হিসবে কর্মজীবন
[সম্পাদনা]১৯৩৪ সালে প্রণীত ভোটাধিকার আইন অনুযায়ী, তুরস্কের নারীদের ভোট দিতে এবং সংসদে একটি আসনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি দেওয়া হয়। গোর্কি রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) জন্য রাজনীতিতে প্রবেশ করেন, এবং ১৯৩৫ সালের সাধারণ নির্বাচনের জন্য মনোনীত হন। তিনি শিবসের ডেপুটি হিসাবে ৫ম সংসদে নির্বাচিত হন। তিনি সংসদের প্রথম ১৮ জন মহিলা সদস্যের একজন হন।[২] তিনি চার বছরের মেয়াদে অভ্যন্তরীণ সংসদীয় কমিটিতে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৩৯ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর তিনি স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন।[১]
১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বর হাতিজা সাবিহা গোর্কি মৃত্যুবরণ করেন।[১]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ Duroğlu, Sibel (২০০৭)। "Türkiye'de İlk Kadın Milletvekilleri" (পিডিএফ) (তুর্কি ভাষায়)। Ankara Üniversitesi Sosyal Bilimler Enstitüsü: 109–110। ২০১৫-০২-০৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-০৬।
- ↑ "Tarihe yön veren kadınlar"। Hürriyet (তুর্কি ভাষায়)। ২০০৭-০৩-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-০৮।