হাড়জোড়া
হাড়জোড়া Cissus quadrangularis | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Plantae |
শ্রেণীবিহীন: | Angiosperms |
শ্রেণীবিহীন: | Eudicots |
শ্রেণীবিহীন: | Rosids |
বর্গ: | Vitales |
পরিবার: | Vitaceae |
গণ: | Cissus |
প্রজাতি: | C. quadrangularis |
দ্বিপদী নাম | |
Cissus quadrangularis L. | |
প্রতিশব্দ | |
Cissus quadrangula |
হাড়জোড়া (বৈজ্ঞানিক নাম:Cissus quadrangularis) স্থানবিশেষে হাড়ভাঙা লতা বা হারেঙ্গা নামেও পরিচিত। লতানো কাণ্ডের টুকরা টুকরা অংশ দেখতে অনেকটা জোড়া দেওয়া হাড়ের মতো দেখতে বলেই এরকম বিচিত্র নামকরণ। এটি অন্যতম ঔষধি গাছ।[১]
বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-৪ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।[২]
আদি ভূমি
[সম্পাদনা]উষ্ণমণ্ডলীয় আফ্রিকা, আরব, মাদাগাস্কার, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও জাভা এই গাছের আদি ভূমি।[১]
আকার
[সম্পাদনা]প্রিয় আবাস বৃষ্টিবহুল অঞ্চলের ঝোপ-জঙ্গল। এটি বৃহৎ শাখান্বিত বীরুৎ-সদৃশ। সরল ও সরু পত্র-পতিমুখ আঁকশিযুক্ত। কাণ্ড রসাল, চার কোনাকার এবং চার পর্বযুক্ত। পত্র সরল, তিন থেকে ছয় সেন্টিমিটার লম্বা, নরম ও রসাল। পত্রবৃন্ত দেড় সেন্টিমিটার লম্বা, উপপত্র জোড়বদ্ধ, প্রশস্ত ডিম্বাকার, সবুজ ও ক্ষণস্থায়ী। মঞ্জরিদণ্ড আড়াই সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। ফুল চার অংশক, আড়াআড়িভাবে পাঁচ মিলিমিটার ও লালচে রঙের। বৃতি পেয়ালাকার, দল খণ্ডক চারটি, প্রায় দুই মিলিমিটার লম্বা। পুংকেশর চারটি। প্রস্ফুটনকাল সাধারণত সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত। ফল গোলাকার, পাকলে লাল ও একবীজী।[১]
ব্যবহার
[সম্পাদনা]হাড়জোড়া লতা স্কার্ভি, নাক, কান ও হাড়ভাঙা চিকিৎসায় বিশেষভাবে ব্যবহার্য। গাছের কচি কাণ্ড সবজি হিসেবে খাওয়া হয়।[১]
চিত্রশালা
[সম্পাদনা]আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ হাড়জোড়ার ফুল ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৪-০৮-২৯ তারিখে,মোকারম হোসেন, দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ৩১-১২-২০১২ খ্রিস্টাব্দ।
- ↑ বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জুলাই ১০, ২০১২, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, পৃষ্ঠা-১১৮৫৩৯
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Austin, A. Jegadeesan, M. Gowrishankar, R. (2004) "Helicobactericidal Activity of Cissus quadrangularis L. Variant I"; Natural Product Sciences 10 (5): 217-219. Korean Society of Pharmacognosy.
- Chopra, SS; Patel, MR; Awadhiya, RP. (১৯৭৬)। "Studies of Cissus quadrangularis in experimental fracture repair: a histopathological study"। Indian Journal of Medical Researches। 64 (9): 1365–1368। অজানা প্যারামিটার
|author-separator=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) - Jainu, Mallika; Devi, Shyamala (২০০৩)। "Tent antiulcerogenic activity of methanolic extract of Cissus quadrangularis by antioxidative mechanism"। Journal of Clinical Biochemistry and Nutrition। 34: 43–47।
- Kashikar, ND; Indu, George (২০০৬)। "Antibacterial activity of Cissus quadrangularis Linn"। Indian Journal of Pharmaceutical Sciences। 68 (2): 245–247। ডিওআই:10.4103/0250-474X.25727।
- Oben, Julius; Damaris Mandob, Enyegue; Fomekong, Gilles I; Soukontoua, Yves B; Agbor, Gabriel A (২০০৭)। "The effect of Cissus quadrangularis (CQR-300) and a Cissus formulation (CORE) on obesity and obesity-induced oxidative stress"। Lipids in Health and Diseases। 6: 4। ডিওআই:10.1186/1476-511X-6-4। পিএমআইডি 17274828। পিএমসি 1800848 ।
- Sahelian, Ray (২০০৬)। "The use of a Cissus quadrangularis formulation in the management of weight loss and metabolic syndrome"। Lipids in Health and Diseases। 5: 24। ডিওআই:10.1186/1476-511X-5-24। পিএমআইডি 16948861। পিএমসি 1570348 ।
- Analysis of the effect of Asthishrinkhla Kandaswarasa [stem juice of Cissus quadrangularis] in fracture healing in a rat model 'Dr. Deepanshu K. Mishra, Prof. Sanjeev Sharma, R.G.G.P.G. Ayu. College - Paprola' Prof. V.K. Gupta, Dr. G.C. Negi College of Vet. and Animal sciences - Palampur - Dec. 2010.