হাওয়া আলি
হাওয়া আলী | |
---|---|
জন্ম | গুসাউ, নাইজেরিয়া। |
পেশা | নারীবাদী, লেখক। |
জাতীয়তা | নাইজেরীয় |
হাওয়া আলী (মৃত্যু: ১৯৯৫) একজন নাইজেরীয় লেখক, যিনি তার উপন্যাসের জন্য মুসলিম নারীদের জীবন অন্বেষণ, ইসলামি মূল্যবোধ ও নারীর স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। [১] তার সর্বাধিক পরিচিত উপন্যাস ডেসটিনি। এই অসামান্য কথাসাহিত্যের জন্য হাওয়া আলী ডেল্টা পুরস্কার জিতেছেন। [২]
জন্ম ও পরিচয়[সম্পাদনা]
হাওয়া আলী নাইজেরিয়ার গুসাউয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন নাইজেরীয় লেখক। তিনি তার উপন্যাস, গল্পের জন্য মুসলিম নারীদের জীবন অন্বেষণ, ইসলামি মূল্যবোধ ও নারীর স্বাধীনতা কাজ করে গেছেন। তার সর্বাধিক পরিচিত রচিত উপন্যাস হলো ডেসটিনি।
প্রাথমিক ও কর্মজীবন[সম্পাদনা]
তিনি উত্তর নাইজেরিয়ার গুসাউ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। [২] তিনি মাইদুগুরি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন।[৩]তাঁর লিখিত উপন্যাস আশির দশকের শেষের দিকে প্রকাশিত হয়েছিল। দূর্ভাগ্যবশত ১৯৯৫ সালে তিনি স্তন ক্যান্সারে মারা যান। তিনি নারীবাদ, সমতা ও ইসলামের নারীদের অধিকার নিয়ে লেখালিখি করেছেন।[৩]
কর্মজীবন[সম্পাদনা]
তার কল্পকাহিনী একটি তরুণ অবিবাহিত মহিলার দৃষ্টিকোণ থেকে লেখা হয়েছে ও শিক্ষাকে ‘একটি সফল, উদ্দীপক ভবিষ্যতের প্রবেশদ্বার’ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। [৪] আলী দ্বারা রচিত প্রথম উপন্যাস ডেসটিনি, যা ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত হয়। এটির কেন্দ্রীয় চরিত্র ১৬ বছর বয়সী ফরিদা। গল্পটি একদিকে শিক্ষা, কর্মসংস্থান, স্বাধীনতা ও ফরিদার পছন্দের একজন স্বামীর মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। অন্যদিকে একজন স্বামী যে তার আত্মীয়-স্বজনকে রাজি করায়, সে আর্থিক নিরাপত্তা দেয়। কিন্তু তাকে বাধ্য করা বাধ্য হয়ে থাকতে ও বাধ্য করা হয় তার সব পছন্দকে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
আর তার দ্বিতীয় উপন্যাস হলো ভিক্টোরি, যা ১৯৮৯ সালে প্রকাশিত হয়। তিনি এটির মধ্যে কিছু বিষয় অব্যাহত রেখেছে ও আন্ত-সংস্কৃতিক বিবাহ সম্পর্কে প্রশ্নও প্রবর্তন করেছে। [৩] একজন সমালোচক ফরিদার সমস্যা ও ইসলামের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে পরামর্শ দেন যে, তিনি ‘ভাগ্যের আজ্ঞাবহ গ্রহণ’ দেখান। [৫] আরেকজন এর বিরুদ্ধে যুক্তি দেয় তার ‘নিরুৎসাহিত হতে অনিচ্ছুকতা’ ও প্রার্থনার প্রতি তার প্রতিশ্রুতির উপর জোর দেয়; তার বিশ্বাসকে একটি ইতিবাচক শক্তি হিসাবে দেখে। [২] ভাগ্যকে ‘ইসলামি পুনরুত্থানের ঐতিহ্য’ বলে মনে করা হয়, যখন তার কঠোর প্রয়োগের ফলাফল জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। [৩] আলীকে ১৯৯০-এর দশকে উত্তর নাইজেরিয়ার একজন প্রভাবশালী নারী লেখক হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।[৬] ডেসটিনি কথাসাহিত্যের জন্য তিনি ডেল্টা পুরস্কার জিতেছেন। [২]
ডেস্টিনি[সম্পাদনা]
আলী দ্বারা রচিত প্রথম উপন্যাস ডেসটিনি, যা ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত হয়। এটির কেন্দ্রীয় চরিত্র ১৬ বছর বয়সী ফরিদা। গল্পটি একদিকে শিক্ষা, কর্মসংস্থান, স্বাধীনতা ও ফরিদার পছন্দের একজন স্বামীর মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। ডেসটিনি কথাসাহিত্যের জন্য হাওয়া আলী ডেল্টা পুরস্কার গ্রহণ করেছেন।
ভিক্টোরি[সম্পাদনা]
আলীর দ্বিতীয় উপন্যাস হলো ভিক্টোরি, যা ১৯৮৯ সালে প্রকাশিত হয়। তিনি এটির মধ্যে কিছু বিষয় অব্যাহত রেখেছে ও আন্ত-সংস্কৃতিক বিবাহ সম্পর্কে প্রশ্নও প্রবর্তন করেছে।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ Ezenwa-Ohaeto। "Shaking the Veil: Islam, Gender and Feminist Configurations in the Nigeraian Novels of Hauwa Ali and Zaynab Alkali": 121–138 – eScholarship, University of California-এর মাধ্যমে।
- ↑ ক খ গ ঘ Shirin Edwin, "'Working' and 'Studying' Muslim Women: African Feminist Theory and the African Novel", Women's Studies, An inter-disciplinary journal, Volume 37, Issue 5, 2008.
- ↑ ক খ গ ঘ Ezenwa-Ohaeto, "Shaking the Veil: Islam, Gender and Feminist Configurations in the Nigerian Novels of Hauwa Ali and Zaynab Alkali", Ufahamu: A Journal of African Studies, 24(2–3) 1996.
- ↑ Stephanie Newell (২০০৬)। West African Literatures: Ways of Reading। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 141। আইএসবিএন 978-0-19-929887-7।
- ↑ Margaret Hauwa Kassam, quoted in Edwin (2008), "'Working' and 'Studying' Muslim Women".
- ↑ Margaret Hauwa Kassam, "Some Aspects of Women's Voices from Northern Nigeria", African Languages and Cultures, Vol. 9, No. 2, Gender and Popular Culture (1996), pp. 111–125.