বিষয়বস্তুতে চলুন

হইয়া বাছিউ

স্থানাঙ্ক: ৪৬°৪৬′২৬″ উত্তর ২৩°৩১′১৯″ পূর্ব / ৪৬.৭৭৪° উত্তর ২৩.৫২২° পূর্ব / 46.774; 23.522
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হইয়া জঙ্গল
রোমানীয়: Pădurea Hoia
হইয়া জঙ্গল
ভূগোল
মানচিত্র হইয়া জঙ্গলের অবস্থান দেখাচ্ছে
মানচিত্র হইয়া জঙ্গলের অবস্থান দেখাচ্ছে
রোমানিয়াতে অবস্থান
অবস্থানক্লুজ কাউন্টি, ট্রান্সসিলভানিয়া, রোমানিয়া
স্থানাঙ্ক৪৬°৪৬′২৬″ উত্তর ২৩°৩১′১৯″ পূর্ব / ৪৬.৭৭৪° উত্তর ২৩.৫২২° পূর্ব / 46.774; 23.522
এলাকা২৯৫ হেক্টর (৭২৯.০ একর)
ওয়েবসাইটwww.hoiabaciuforest.com

হইয়া বাছিউ (রোমানীয়: Pădurea Hoia; হাঙ্গেরীয়: Hója-erdő) রোমানিয়ার ট্রান্সসিলভানিয়ার ক্লুজ নাপোকা শহরে অবস্থিত একটি বন। প্রায় ২৫০ হেক্টর জায়গার উপর বনটি দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই বনের গাছগুলোর আকৃতিও কিছুটা অদ্ভুত। এই জঙ্গল নিয়ে প্রচুর গল্প প্রচলিত আছে যার কোন ভিত্তি নেই[]। ধারণা করা হয় এসব গল্প স্থানটিকে পর্যটন আকর্ষক হিসেবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে।[]

আবিষ্কার

[সম্পাদনা]

১৯৬৮ সালে এই বনটি সর্বপ্রথম বিশ্ববাসীর কাছে তার রহস্য নিয়ে পরিচিত হয় এমিল বার্নিয়া নামক এক ব্যক্তির তোলা ছবির মাধ্যমে। এই বনে ভ্রমণের প্রাক্কালে এমিল বার্নিয়া একটি ইউএফও দেখেন বলে দাবি করেন এবং সাথে সাথেই তিনি তা ক্যামেরাবন্দী করে ফেলেন। ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য কিছুদিন পরেই জীববিজ্ঞানী আলেক্সান্ডু শিফট সেখানে অনেক পরীক্ষা নিরিক্ষা করেন এবং আশেপাশের এলাকাবাসীদের সাথে কথা বলেন। এলাকাবাসীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা এমন গোলাকৃতির তীব্র আলোর বলয় বন থেকে উর্ধ্বাকাশের দিকে মাঝে মাঝে যেতে দেখেছেন। ২০০২ সালে সর্বশেষ ইউএফও দেখেছিলেন দু’জন ক্লাজবাসী। তারা বনের খুব কাছাকাছি প্রতিবেশী শহর মানাস্তুরে থাকেন। তারা সিগারেটের মত লম্বা, প্রায় ৫০ মিটার দীর্ঘ একটি অতি উজ্জ্বল আলোকবস্তু বন থেকে আকাশের দিকে ছুটে যেতে দেখেছিলেন। প্রায় ২৭ সেকেন্ডের জন্য তারা বস্তুটিকে দেখতে পেয়েছিলেন।

জনশ্রুতি আছে, একবার এক মেষপালক প্রায় ২০০টি মেষশাবককে ঘাস খাওয়ানোর জন্য এই বনে প্রবেশ করেছিল। তারা আর কখনো ফিরে আসেনি, একেবারে গায়েব হয়ে গিয়েছিল। এই ঘটনার পরে অনেকেই এই বনে প্রবেশ করতে যথেষ্ট পরিমাণ ভয় পায়। তাদের মাঝে একধরনের ভীতি কাজ করে, একবার এই বনে কেউ গেলে হয়ত আর ফিরে আসবে না কোনোদিন।

বিজ্ঞানতত্ত্ব

[সম্পাদনা]

বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, এই বনে অস্বাভাবিক মাত্রায় তেজস্ক্রিয় বিকিরণ, মাইক্রোওয়েভ বিকিরণ ও ইনফ্রারেড বিকিরণ হয়ে থাকে। এছাড়াও এখানে চুম্বকীয় ও তড়িৎচুম্বকীয় ক্ষেত্রের বেশ কিছু বিচ্যুতি রয়েছে। বনের ঠিক মাঝখানে এমন একটি জায়গা রয়েছে, যেখানে কখনো কোনো ঘাস বা অন্যান্য কোনো গাছ-গুল্ম জন্মাতে দেখা যায়নি। বিজ্ঞানীরা এখানকার মাটি নিয়ে পরীক্ষা করে দেখেন, কিন্তু পরীক্ষা করে এমন কোনো পদার্থের উপস্থিতি সেখানে পাওয়া যায়নি, যার কারণে কোনো উদ্ভিদের জন্ম এবং বৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দারা এই জায়গাটিকে ভূতুড়ে ঘটনার কেন্দ্রবিন্দু বলে থাকেন। তাদের ধারণা, কোনো অশরীরী কিছু বা অতৃপ্ত আত্মার বাস এ জায়গায়।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. ডানিং, ব্রায়ান (২৪ মার্চ ২০১৬)। "স্কেপটয়েড #520: Solving the Haunted Hoia-Baciu Forest"স্কেপ্‌টয়েড। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৭ 
  2. "Romania: Targoviste Castle and Hoia-Baciu Forest (Ghost Adventures)"Travel Channel। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৫-২৬