স্মিতা ভারতী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
স্মিতা ভারতী
স্মিতা ভারতী , ভারতের দিল্লিতে
জন্ম (1964-08-02) ২ আগস্ট ১৯৬৪ (বয়স ৫৯)
জাতীয়তাভারতীয়
পেশাসমাজকর্মী, মঞ্চ নাটক পরিচালক
কর্মজীবন১৯৯৮- বর্তমান
প্রতিষ্ঠানসাক্ষী

স্মিতা ভারতী একজন ভারতীয় সামাজিক কর্মী, লেখক এবং নাটক পরিচালক। সামাজিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে ২০টিরও বেশি নাটকে তিনি কাজ করেছেন। গবেষণা, ওয়ার্কশপ, সামাজিক আন্দোলন ও প্রকাশোনার মাধ্যমে তিনি নারী, কিশোর-কিশোরীদের সামাজিক বিভিন্ন সমস্যাকে তুলে ধরেছেন। গৃহ নির্যাতন, যৌন নির্যাতন, অজাচার, কারাগারে বিচারাধীন অবস্থায় মুখোমুখি হওয়া বিভিন্ন নির্যাতনসহ শারিরীক ও মানসিক অত্যাচারের শিকার হওয়া ব্যক্তি নিয়ে স্মিতা ভারতী কাজ করে চলেছেন। এছাড়াও তিনি নিজ দেশের অভ্যন্তরীণ নিয়মের পরিবর্তন আনতেও কর্মরত।[১]

প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা[সম্পাদনা]

ভারতী ভিলাই নগরীতে ১৯৬৪ সালে নির্মলা ও আগ্যা রাম ক্ষেত্রপালের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। শিমলার অকল্যান্ড বিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা ক্রে ১৯৮২ সালে দিল্লিতে আসেন। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাহিত্য ও মনোবিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেন। তামিলনাড়ুর অন্নমালাই বিশ্ববিদ্যালয় থেলে ১৯৮৭ সালে তিনি সাহিত্যে স্নাতোকত্তর সম্প্ন্ন করেন। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহ পরবর্তী গৃহ নির্যাতনে শিকার হয়ে ভারতীর জীবনের মোড় ঘুরে যায়। ১৯৯৫ সাল থেকে তিনি দুই সন্তানে একক অভিভাবক বা সিঙ্গেল প্যারেন্ট হিসেবে জীবন শুরু করেন। [২]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

২০০৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত স্মিতা ভারতী ২০টিরও বেশি নাটক পরিচালনা করেছেন। [৩] একই সাথে বিভিন্ন চলচ্চিত্র, ভিডিও, অডিও বই প্রদর্শনীর সাথে জড়িত।[৪] তিনি সংস্কৃত জাদুঘর এবং এশিয়া ঐতিহ্যবাহী স্থান ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরামর্শদাতা হিসেবে দায়িত্বরত।

২০০৫ সালে ক্ষুধার্ত হৃদয় উতসবে থিয়েটারের মাধ্যমে ভারতীয় জীবন্ধারা ব্যক্তিগত সম্পর্কের আলোকে তুলে ধরেন।[৫]

সামাজিক কাজ[সম্পাদনা]

১৯৯৩ সালে, নয়না কাপুর ও জসজিত পুরেভালের সাথে মিলে স্মিতা ভারতী সাক্ষী নামক একটি এনজিও প্রতিষ্ঠা করেন। এই এনজিও দ্বারা তিনি গৃহ নির্যাতন ও যৌন হেনস্থার শিকার নারীদের সাহায্য করেন।[৬] আচরনগত পরিবর্তনে বেশ কিছু সৃজনশীল ধারণা নিয়ে তিনি কাজ করেছেন। ২০০৪ সালে সাক্ষী তে যোগ দেয়ার পর ২০০৭ থেকে ২০১৫ সালের প্রধান হিসেবে কাজ করেন। এই সময়ে তিনি একাধিক সামাজিক প্রচারণা চালান।[৭]

সদস্যপদ[সম্পাদনা]

২০১৩ সালে ভারতীয় সরকারের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা কমিটিতে নারী ও শিশু পাচার রোধে উপদেষ্টা হিসেবে স্মিতা ভারতী যোগ দেন। এছাড়াও, তিনি রোটারি শান্তি ফেলো, কেকে বিড়লা ফাউন্ডেশনের ফেলো এবং উইসকম্পের (WISCOMP) বিশেষ ফেলো হিসেবেও দায়িত্বরত।[৮]

পদক[সম্পাদনা]

২০১৩ সালে স্মিতা ভারতী তার নাটকের জন্য লাডলি জাতীয় মিডিয়া পদক পান। ২০১৬ সালে একই নাটকের কারণে তাকে কর্মভীর পদকে ভূষিত করা হয়। [৯] সামাজিক পরিবর্তনে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য তাকে এলেমেন্ট চক্রের নারী পদক প্রদান করা হয়।[১০]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Smita Bharti"। Naina Kapur Law। 
  2. "Stage for Change"। Indian Express। ২০১৬। 
  3. "A Story of 3 Best Friends"। Times of India। ২০১৬। 
  4. "A strong voice"। The Hindu। ২০১৫। 
  5. "Hungry Heart Festival Society presents "As The Sun Sets…." English Play about Old Age"। Delhi Events। 
  6. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মার্চ ২০১৯ 
  7. "A creative outlet"। The Statesman। ২০১৬। ১১ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মার্চ ২০১৯ 
  8. "Beyond Silences: Docu-Theatre in Jail and Outside"। WISCOMP। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মার্চ ২০১৯ 
  9. http://www.apeejaygroup.com/AK_GoldAwardees_1415.pdf
  10. "Legendary singer Lata Mangeshkar conferred with Laadli Voice of the Century award"। India Today। ২০১৫। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মার্চ ২০১৯