বিষয়বস্তুতে চলুন

স্পোর্টিং বেঙ্গল ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
স্পোর্টিং বেঙ্গল ইউনাইটেড
পূর্ণ নামস্পোর্টিং বেঙ্গল ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব
ডাকনামদ্য বেঙ্গল টাইগার্স
প্রতিষ্ঠিত১৯৯৬; ২৮ বছর আগে (1996)
মাঠমেইল এন্ড স্টেডিয়াম
ধারণক্ষমতা২,০০০
সভাপতিইংল্যান্ড আরোজ মিয়া
ম্যানেজারইংল্যান্ড স্টিভেন ক্লার্ক
লিগইসেক্স জ্যেষ্ঠ ফুটবল লিগ
২০২২–২৩৪র্থ (উন্নীত)
ওয়েবসাইটক্লাব ওয়েবসাইট
বর্তমান মৌসুম

স্পোর্টিং বেঙ্গল ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব (ইংরেজি: Sporting Bengal United Football Club; এছাড়াও স্পোর্টিং বেঙ্গল ইউনাইটেড এফসি, অথবা শুধুমাত্র স্পোর্টিং বেঙ্গল ইউনাইটেড নামে পরিচিত) হচ্ছে লন্ডন ভিত্তিক একটি ইংরেজ পেশাদার ফুটবল ক্লাব। এই ক্লাবটি বর্তমানে ইংল্যান্ডের নবম স্তরের ফুটবল লিগ ইসেক্স জ্যেষ্ঠ ফুটবল লিগে খেলে। এই ক্লাবটি ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই ক্লাবটি মূলত যুক্তরাজ্যের প্রবাসী বাংলাদেশী পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত হয়। এই দলটি গড়ে তোলার মূল উদ্দেশ্য ছিল স্থানীয় বাংলাদেশীদের যুক্তরাজ্যের মূলধারার ফুটবলের সাথে সম্পৃক্ত করা। স্পোর্টিং বেঙ্গল ইউনাইটেড তাদের সকল হোম ম্যাচ লন্ডনের মেইল এন্ড স্টেডিয়ামে খেলে থাকে; যার ধারণক্ষমতা হচ্ছে ২,০০০। স্পোর্টিং বেঙ্গল ইউনাইটেডের পাশাপাশি বিউমন্ট অ্যাথলেটিকও এই স্টেডিয়াটি ব্যবহার করে থাকে। বর্তমানে এই ক্লাবের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন স্টিভেন ক্লার্ক এবং সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন আরোজ মিয়া। স্কটিশ রক্ষণভাগের খেলোয়াড় লিয়াম কুপার এই ক্লাবের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

১৯৯৯–২০০০ মৌসুম থেকে ২০০৩ সালের পূর্ব পর্যন্ত এই ক্লাবটি লন্ডন ইন্টারমিডিয়েট লিগে অংশগ্রহণ করতো। ২০০৩ সালে স্পোর্টিং বেঙ্গল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক এই ক্লাবটি জ্যেষ্ঠ ক্লাবের মর্যাদা লাভ করে। তখন থেকে কেন্টের প্রিমিয়ার বিভাগ লিগে অংশগ্রহণের মাধ্যমে এর যাত্রা শুরু হয়। ২০০৫ সালের ২০শে আগস্ট তারিখে ওয়ার ক্লাবের সাথে এফএ কাপের প্রাথমিক পর্বে অংশগ্রহণের মাধ্যমে স্পোর্টিং বেঙ্গল ইতিহাস সৃষ্টি করে। যদিও উক্ত ম্যাচটিতে তারা ০–৪ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল।[]

ঘটনাপঞ্জী

[সম্পাদনা]
  • ১৯৯৬–১৯৯৭: পরপর দুই বছর এশিয়ান লিগ কাপ চ্যাম্পিয়ন
  • ১৯৯৭: লিগ বাংলা শুরু
  • ১৯৯৮: হ্যাকনি মার্শেসের নাইকি বিজ্ঞাপনে অংশগ্রহণ
  • ১৯৯৮: বাংলাদেশ সফর এবং অনূর্ধ্ব-১৬ ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিরুদ্ধে ম্যাচে অংশগ্রহণ
  • ১৯৯৯: লন্ডন ইন্টারমেডিয়েট লিগে অংশগ্রহণ
  • ২০০০: ঢাকা মোহামেডান ক্লাবের যুক্তরাজ্য সফর; যেখানে স্পোর্টিং বেঙ্গল ইউনাইটেড ৩–২ গোলে পরাজিত হয়
  • ২০০১: ঢাকা আবাহনী লিমিটেড দলের যুক্তরাজ্য সফর; যেখানে স্পোর্টিং বেঙ্গল ইউনাইটেড জয়লাভ ২–১ গোলে জয়লাভ হয়
  • ২০০১: স্পোর্টিং বেঙ্গল যুক্তরাজ্য আন্তঃশহর বিশ্বকাপ ফুটবলে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে এবং চ্যাম্পিয়ন হয়
  • ২০০২: ইউকে এশিয়ান ফুটবল চ্যাম্পিয়ন
  • ২০০২/২০০৩: বাংলাদেশ সফর; বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কাছে ২–১ গোলে পরাজিত হয়
  • ২০০৩: ইউকে এশিয়ান ফুটবল চ্যাম্পিয়ন
  • ২০০৩: লন্ডন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক জ্যেষ্ঠ ক্লাবের মর্যাদা গ্রহণ
  • ২০০৩: কেন্ট অর্ধ-পেশাদার লিগের লিগের জন্য নির্বাচিত
  • ২০০৪: এফএ ভেস কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন
  • ২০০৪: এফএ কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন[]

সাফল্য

[সম্পাদনা]

এফএ কাপের প্রাথমিক পর্বে খেলার ক্ষেত্রে ১২৫ বছরের ইতিহাসে এই ক্লাবটি এশীয়দের নিয়ে গঠিত প্রথম ক্লাব দুটির একটি।[] পরপর ৫ বছর ব্যর্থতার পর ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই ক্লাবটি ইউকে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের খেলায় গ্লাসগোতে উলভারহ্যাম্পটন পাঞ্জাব ইউনাইটেডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. http://www.fchd.info/SPORTIBU.HTM
  2. http://www.bfauk.com/downloadable_files/AwardCeremonyProgramme2007.pdf[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৬ জুন ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০০৯ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]