বিষয়বস্তুতে চলুন

স্টুয়ার্ট পার্কিন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
স্টুয়ার্ট পার্কিন
মাক্স প্লাংক অণুকাঠামো পদার্থবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে স্টুয়ার্ট পার্কিন
জন্ম
স্টুয়ার্ট স্টিভেন প্যাপওয়র্থ পার্কিন

(1955-12-09) ৯ ডিসেম্বর ১৯৫৫ (বয়স ৬৮)
ওয়াটফোর্ড, ইংল্যান্ড
জাতীয়তাব্রিটিশ
মাতৃশিক্ষায়তনকেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়
পরিচিতির কারণস্পিনট্রনীয় উপাদান বিষয়ক আবিষ্কারসমূহ, যার সুবাদে হার্ড ডিস্কের উপাত্ত ঘনত্ব ১০ হাজার গুণ বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়েছে, রেসট্র্যাক মেমরি (দৌড়পথ স্মৃতি)
পুরস্কারইউরোফিজিক্স পুরস্কার (১৯৯৭)
Humboldt Research Award (2004)
Dresden Barkhausen Award (2009)
IUPAP Magnetism Award and Néel Medal (2009)
David Adler Lectureship Award (2012)
Von Hippel Award (2012)
Swan Medal and Prize (2013)
Millennium Technology Prize (2014)
King Faisal Prize (2021)
Clarivate Citation Laureate (2023)
APS Medal (2024)
Draper Prize (2024)
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রউপাদান বিজ্ঞান স্পিনট্রন বিজ্ঞান
প্রতিষ্ঠানসমূহমাক্স প্লাংক অণুকাঠামো পদার্থবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট
হালে-ভিটেনবের্গ বিশ্ববিদ্যালয়
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়
আইবিএম রিসার্চ

স্টুয়ার্ট স্টিভেন প্যাপওয়র্থ পারকিন (ইংরেজি: Stuart Stephen Papworth Parkin; জন্ম ৯ই ডিসেম্বর, ১৯৫৫[]) একজন ব্রিটিশ পরীক্ষাধর্মী পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি জার্মানির হালে শহরে অবস্থিত অণুকাঠামো পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে মাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউটের পরিচালক এবং হালে-ভিটেনবের্গের মার্টিন লুথার বিশ্ববিদ্যালয়ে আলেক্সান্ডার ফন হুমবোল্ট অধ্যাপক।[] তিনি মূলত স্পিনট্রনীয় উপাদান ও কলকৌশলের উপর গবেষণায় আগ্রহী, যেগুলিকে উন্নত সুবেদী গ্রাহক (সেনসর), স্মৃতি (মেমোরি), যৌক্তিক (লজিক) প্রযুক্তি, অক্সাইট পাতলা-ঝিল্লি বিষমকাঠামো, স্থানিকবৃত্তীয় ধাতু, বিচিত্র অতিপরিবাহী ও সংজ্ঞানাত্মক কলাকৌশলে কাজে লাগানো যায়। স্পিনট্রন বিজ্ঞানে পার্কিনের আবিষ্কারগুলিকে কাজে লাগিয়ে চৌম্বকীয় চাকতির উপাত্ত ধারণক্ষমতা ১০ হাজার গুণ বৃদ্ধি করা হয়, যার ফলে বর্তমানে যে "বৃহৎ উপাত্ত" বিশ্বে আমরা বসবাস করছি, তার বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। এই অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে ২০১৪ সালে মিলেনিয়াম প্রযুক্তি পুরস্কার প্রদান করা হয়।[][] সম্প্রতি তিনটি স্বতন্ত্র ধরনের স্পিনট্রনীয় স্মৃতির উপর গবেষণার জন্য তাঁকে ২০২১ সালে বাদশা ফয়সাল পুরস্কার প্রদান করা হয়। পার্কিন লন্ডনের রয়াল সোসাইটি, রয়াল অ্যাকাডেমি অভ ইঞ্জিনিয়ারিং, ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অভ সায়েন্সেস, ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অভ ইঞ্জিনিয়ারিং, জার্মানির জাতীয় বিজ্ঞান অ্যাকাডেমি লেওপোল্ডিনা, এডিনবরা রাজকীয় সমাজ, ভারতীয় বিজ্ঞান অ্যাকাডেমি ও উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য বিজ্ঞান অ্যাকাডেমির নির্বাচিত সদস্য বা বিশিষ্ট সভ্য। তিনি চারটি সম্মানসূচক ডক্টরেট উপাধি লাভ করেছেন। তিনি ৬৭০টিরও বেশি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছে এবং তাঁর ১২৩টিরও বেশি কৃতিস্বত্ব বা প্যাটেন্ট আছে। তাঁর এইচ-সূচকের মান ১২৯।

বর্তমান পদের আগে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান হোসে শহরে আইবিএম কোম্পানির অ্যালমাডেন গবেষণা কেন্দ্রে চৌম্বক-ইলেকট্রন বিজ্ঞান গবেষক দলের পরিচালক ছিলেন। এছাড়া তিনি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলিত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের পরামর্শক অধ্যাপক ছিলেন। তিনি আইবিএম-স্ট্যানফোর্ড স্পিনট্রন বিজ্ঞান ও প্রয়োগ কেন্দ্রের পরিচালক ছিলেন, যেটিকে ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Curriculum Vitae Professor Dr. Stuart Parkin" (পিডিএফ)। German Academy of Sciences Leopoldina। ২৯ নভেম্বর ২০২১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০২৩ 
  2. "Prof. Dr. Stuart Parkin: Curriculum Vitae"। Max-Planck-Gesellschaft। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০২৩ 
  3. "Physicist Stuart Parkin wins 2014 Millennium Technology Prize for opening big data era"। Technology Academy Finland। ২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০১৪ 
  4. Davis, Nicola (৯ এপ্রিল ২০১৪)। "Stuart Parkin awarded prestigious Millennium Technology Prize"The Guardian। ১০ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০১৪ 
  5. IBM-Stanford Spintronic Science and Applications Center ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১২ এপ্রিল ২০০৮ তারিখে