সোরে আহলে ইমান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সোরে আহলে ঈমান ফী আলামাত জোহুর সাহাব আল জামান
লেখকআলী ইবনে আব্দুল করিম নিলি
ভাষাআরবি
ধরনহাদিস, ধর্মতত্ত্ব
প্রকাশনার তারিখ
১৪২৬ চন্দ্র বর্ষ
মিডিয়া ধরনবই

সোরে আহলে ইমান ফি আলামাত জোহুর সাহাব আল জামান বা ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের চিহ্নের উপর বিশ্বাসীদের সুখ, শিয়াদের দ্বাদশ ইমাম ইমাম মাহদীর আগমনের লক্ষণের বিষয়ের উপর আলী ইবনে আব্দুল করিম নিলি রচিত একটি বই। লেখক পূর্বপুরুষের বইয়ের প্রায় ১০১ বর্ণনা ব্যাখ্যা করেছেন। এর মধ্যে কিছু বর্ণনা ইমাম মাহদীর শাসন ও শাসনকাল সম্পর্কে রয়েছে।

লেখক[সম্পাদনা]

আলী ইবনে আবদুল করিম নিলি ০৮ হিজরির শিয়া পণ্ডিতদের মধ্যে একজন।  কখন যে তার জন্ম হয়েছে তার স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় না।  তিনি আহমাদ ইবনে ফাহাদ হিলির (মৃত্যু: ৮৪১ চন্দ্র বর্ষ) শিক্ষক।  ধারনা করা হয় তিনি হিলির পুত্র ফখর আল মোহক্কিনের তত্ত্বাবধানে ছিলেন।  এছাড়াও তার অনেক লেখা এবং ছাত্র রয়েছে।[১]

নিলির জ্ঞান[সম্পাদনা]

তিনি হাদিস, ফিকহ, কালাম এবং ইসলামী দর্শনের একজন বিদগ্ধ পণ্ডিত ছিলেন।

  • তিনি একজন বিখ্যাত মুহাদ্দিস ছিলেন এবং তাব'ঈদের সরাসরি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাদিস শুনেছিলেন।
  • তিনি একজন খ্যাতিমান ফকিহ ছিলেন এবং জাফরী মাযহাবের অন্যতম প্রধান প্রবক্তা হিসেবে বিবেচিত হন।
  • তিনি একজন দক্ষ কালামবিদ ছিলেন এবং ইসলামী ধর্মতত্ত্বের বিভিন্ন দিক বিষয়ে বিতর্ক করেছেন।

নিলির রচনা[সম্পাদনা]

তিনি একজন উদ্যমী লেখক ছিলেন এবং হাদিস, ফিকহ, কালাম এবং ইসলামী দর্শনের উপর অসংখ্য গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। তার সবচেয়ে বিখ্যাত গ্রন্থ হল "সোরে আহলে ইমান", যা ইসলামী বিশ্বাসের একটি বিশদ বিবরণ। এই বইটি শিয়া মুসলিমদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয়।

নিলির প্রভাব[সম্পাদনা]

আলী ইবনে আবদুল করিম নিলি শিয়া ইসলামের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তার জ্ঞান এবং লেখার মাধ্যমে তিনি শিয়া ধর্মতত্ত্বের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তার শিক্ষার্থীরা, যার মধ্যে আহমাদ ইবনে ফাহাদ হিলি এবং ফখর আল মোহক্কিন উল্লেখযোগ্য।

ভূমিকা[সম্পাদনা]

সোরে আহলে ইমান হল লেখক আলী ইবনে আবদুল করিম নিলির “আল কায়েবা” নামে অন্য একটি বইয়ের সারাংশ। সোরে আহলে ইমান বইটিতে বর্ণিত বেশিরভাগ বর্ণনা তার অন্য বই যেমন “আল আনোয়ার আল মোজিয়া”-তেও উল্লেখ করা হয়েছে। লেখক আলী ইবনে আবদুল করিম নিলি শুধু ব্যাখ্যাগুলোই বর্ণনা করেনি বরং সেগুলো বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যাও করেছে।[২]

সত্যতা[সম্পাদনা]

বইটি একটি সংক্ষেপিপ্ত সারাংশ। এই বইটি বিহার আল-আনওয়ারের লেখায় আল্লামেহ হিলির একটি উৎস হিসেবেও গণনা করা হয়েছে।[৩] এই বইটি পরবর্তী প্রজন্মের পণ্ডিতদের জন্য অজানা এবং অনুপলব্ধ ছিল।

লেখার শৈলী[সম্পাদনা]

বইটি আরবি ভাষায় লেখা হয়েছে। লেখক ইমাম মাহাদীর আবির্ভাবের আলামত সম্পর্কে মুহাম্মদ এবং তার পরিবারের বর্ণিত হাদিসগুলো দুটি অংশে উল্লেখ করেছেন। একটি অংশে আবির্ভাবের লক্ষণ এবং অন্য অংশে যেই সময়ে আবির্ভাব ঘটবে সেই ঘটনাগুলি বর্ণনা করেছেন। লেখক হাদিস বর্ণনাকারীদের নাম উল্লেখ করেছেন।

বইয়ের উৎস[সম্পাদনা]

লেখক আলী ইবনে আব্দুল করিম নিলি শেষ পাতায় সূত্র উল্লেখ করেছেন। কয়েকটি সূত্র নিম্নরূপ:

উৎস[সম্পাদনা]

  • Aqa Bozorg Tehrani, Zariah on Shiite Writings, Dar Al Azwa, Beirout, 1403 lunar
  • Nili Ali Ibn Abdul Karim, Sorure Ahle Iman, Dalile Ma, Qom.1426 Lunar)

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. ( Sorure Ahle Iman, the preface of the scholar)
  2. ( Aqa Bozorg Tehrani, Al Zariah, vol:12, p.p.173-174)
  3. (Allameh Hiili, vol:1.p.17, Bihar Al Anwar)
  4. (Soroure Ahle Iman, Nili, p.147.1426 lunar)