সৈয়দ আহসান আলী সিডনী

সৈয়দ আহসান আলী সিডনী
সৈয়দ আহসান আলী সিডনী
	আহসান আলী সিডনীর কোলে ছেলে জিতু আহসান
জন্ম	৩ অক্টোবর, ১৯৩৮; ঢাকা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, বৃটিশ ভারত
মৃত্যু	১৪ ফেব্রুয়ারি ২০০২ (বয়স ৬৩); ঢাকা, বাংলাদেশ
পেশা	অভিনেতা, নাট্যকর্মী
দাম্পত্য সঙ্গী	সুরাইয়া আহসান
সন্তান	জিতু আহসান
পুরস্কার	বিটিভির প্রথম জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত

সৈয়দ আহসান আলী সিডনী (জন্ম: ৩ অক্টোবর, ১৯৩৮ — মৃত্যু, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০০২)^[১] একজন বাংলাদেশী অভিনেতা। ৭০ এবং ৮০র দশকের বিভিন্ন সিনেমা এবং টিভি নাটকের পরিচিত মুখ ছিলেন সুদর্শন সৈয়দ আহসান আলী।^[২] তার ডাকনাম সিডনীও সমধিক পরিচিত ছিল।^[৩] তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো — পায়ে চলার পথ (১৯৭৩), মেঘ বিজলী বাদল (১৯৮৩) এবং ডানপিটে ছেলে (১৯৮০)। ঢাকায় বাংলা নাটক ও চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা সৈয়দ আহসান আলী বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) প্রথম জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী অভিনেতা ছিলেন।^[৪]^[৫]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

সৈয়দ আহসান আলী, বিয়ে করেছিলেন শিক্ষাবিদ সুরাইয়া আহসানকে। সিডনীর ছেলে জিতু আহসান বাবার মতো অভিনেতা হয়েছেন।^[৬]^[৭]^[৮]^[৯]

সিডনীর পিতা সৈয়দ মোহাম্মদ আলী ছিলেন একজন জমিদার এবং তার শ্বশুর মৌলভী এমদাদ আলী, ব্রিটিশ ভারতের একজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন।^[১০]

সেন্ট গ্রেগরী স্কুলের ১৯৫৫ সালের ব্যাচ ছিলেন সিডনী।^[১১]

অভিনয় জীবন[সম্পাদনা]

কলেজ জীবনে নায়ক বুলবুল আহমেদ, নাজমুল হুদা বাচ্চুসহ অন্যান্য বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে নাট্যশিল্প গোষ্ঠী গড়ে তুলেছিলেন।

চলচ্চিত্রে তার অভিষেক ঘটেছিল চিত্রনায়িকা কবরীর সাথে চোরাবালিতে, সেখানে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছিল। সূর্যকন্যা ছায়াছবিতে অভিনেত্রী জয়শ্রী কবিরের বিপরীতে ছিলেন সিডনী। এই ছবিতে আইকনিক গান যা এখনো সবার মুখে মুখে ফেরে ‘চেনা চেনা লাগে তবু অচেনা’-তে তার অভিনয়ও সবার মনে গেথেছিল।^[২] তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো — দহন, সূর্য ওঠার আগে, মায়ামৃগ, রূপালী সৈকতে, স্বামী, আয়না, ফুলশয্যা ইত্যাদি।

তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হলো — সাত আসমানের সিড়ি, জোনাকী জ্বলে, একটি সেতুর গল্প, হাজার বছর পরে, আমি তুমি সে, সাতজন যাত্রী প্রভৃতি।

টেলিভিশন উপস্থিতি[সম্পাদনা]

উল্লেখযোগ্য নাটক তালিকা
বছর	শিরোনাম	পরিচালক	সহশিল্পী	চ্যানেল	টীকা
১৯৮২	একটি সেতুর গল্প	মোস্তাফিজুর রহমান	জিতু আহসান	বিটিভি	নাটক^[১২]
১৯৮৪	পার্ল	মোস্তাফিজুর রহমান	জিতু আহসান	বিটিভি	নাটক
১৯৮৪	শেষ মানুষের ঠিকানা	সৈয়দ সিদ্দিক হোসেন	জিতু আহসান	বিটিভি	নাটক
১৯৮৫	সাতজন যাত্রী	মোস্তাফিজুর রহমান	জিতু আহসান	বিটিভি	নাটক
১৯৯০	জোনাকী জ্বলে	জিয়া আনসারী	জিতু আহসান	বিটিভি	ধারাবাহিক নাটক
১৯৯৩	উপটকুটো ছাই	সৈয়দ সিদ্দিক হোসেন	অপু সরকার, জিতু আহসান	বিটিভি	নাটক
১৯৯৫	এক নক্ষত্রের নিচে	সৈয়দ সিদ্দিক হোসেন	রুবিনা পারভিন রুনা, জিতু আহসান	বিটিভি	নাটক
১৯৯৬	খেলা বিটনগর খেলা	সৈয়দ আহসান আলী	তনিমা হামিদ, জিতু আহসান	বিটিভি	নাটক

মৃ্ত্যু[সম্পাদনা]

২০০২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী দীর্ঘ রোগভোগের পর সৈয়দ আহসান আলীর ঢাকায় মৃত্যু ঘটে। তার স্ত্রী সুরাইয়া আহসান ২০১৯ সালের ১২ জুলাই নিউ ইয়র্কের কুইন্স হাসপাতালে ৮০ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।^[১৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

↑ "Syed Ahsan Ali Sydney | Actor"। IMDb (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-১৭।
↑ ^ক ^খ "স্মরণীয় অভিনেতা সৈয়দ আহসান আলী সিডনী - বাংলা মুভি ডেটাবেজ"। ২০২২-১০-০৯T১৬:৪৩:২৬+০৬:০০। সংগ্রহের তারিখ 2023-09-17। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
↑ "Jitu Ahsan on Syed Ahsan Ali Sydney"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৩-১০-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-২২।
↑ "Jitu Ahsan on Syed Ahsan Ali Sydney"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৩-১০-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৪।
↑ বাবা-মায়ের পথ ধরে মঞ্চে সন্তানরা। Bangladesh Pratidin। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৪।
↑ "Life on the silver screen"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৯-২৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৬।
↑ "Suraiya Ahsan dies"। New Age (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-২৮।
↑ "Jitu Ahsan on Syed Ahsan Ali Sydney"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৩-১০-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-২২।
↑ "Remembering Syed Ahsan Ali Sydney"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০২-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৪।
↑ "Suraiya Ahsan dies"। New Age (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-২৮।
↑ "Facebook"। www.facebook.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-১৭।
↑ "Jitu Ahsan"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৩-০৭-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৪।
↑ "Suraiya Ahsan dies"। New Age | The Most Popular Outspoken English Daily in Bangladesh (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-১৭।

[1] "Syed Ahsan Ali Sydney | Actor"। IMDb (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-১৭।

[:0-2] ক ^খ "স্মরণীয় অভিনেতা সৈয়দ আহসান আলী সিডনী - বাংলা মুভি ডেটাবেজ"। ২০২২-১০-০৯T১৬:৪৩:২৬+০৬:০০। সংগ্রহের তারিখ 2023-09-17। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)

[:8-3] "Jitu Ahsan on Syed Ahsan Ali Sydney"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৩-১০-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-২২।

[:16-4] "Jitu Ahsan on Syed Ahsan Ali Sydney"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৩-১০-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৪।

[:11-5] বাবা-মায়ের পথ ধরে মঞ্চে সন্তানরা। Bangladesh Pratidin। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৪।

[:6-6] "Life on the silver screen"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৯-২৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৬।

[:122-7] "Suraiya Ahsan dies"। New Age (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-২৮।

[:82-8] "Jitu Ahsan on Syed Ahsan Ali Sydney"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৩-১০-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-২২।

[:9-9] "Remembering Syed Ahsan Ali Sydney"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০২-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৪।

[:12-10] "Suraiya Ahsan dies"। New Age (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-২৮।

[11] "Facebook"। www.facebook.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-১৭।

[:2-12] "Jitu Ahsan"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৩-০৭-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৪।

[13] "Suraiya Ahsan dies"। New Age | The Most Popular Outspoken English Daily in Bangladesh (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-১৭।

[১]

[২]

[৩]

[৪]

[৫]

[৬]

[৭]

[৮]

[৯]

[১০]

[১১]

[১২]

[১৩]