সেন্ট যোসেফস্ স্কুল এন্ড কলেজ
সেন্ট যোসেফস্ স্কুল এন্ড কলেজ মিশন স্কুল | |
---|---|
অবস্থান | |
বনপাড়া, নাটোর | |
তথ্য | |
ধরন | মিশনারি |
নীতিবাক্য | "শিখ ও সেবা কর" |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৬৩ |
প্রতিষ্ঠাতা | ফা: কানেভল্লী |
ইআইআইএন | ১২৩৯১৫ |
অধ্যক্ষ | ড. ফা: শংকর ডমিনিক গমেজ |
শিক্ষকমণ্ডলী | ১৮৩ (অস্থায়ী হিসেবে কাজ করে-৩৯ জন) |
শ্রেণী | নার্সারি থেকে দ্বাদশ |
শিক্ষার্থী সংখ্যা | ২০০০ জন (প্রায়) |
ক্যাম্পাসের ধরন | অনাবাসিক ও আবাসিক |
ওয়েবসাইট | sjsc |
সেন্ট যোসেফস্ স্কুল এন্ড কলেজ নাটোর জেলার বনপাড়ায় অবস্থিত একটি বিদ্যালয়। খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারকদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টির যাত্রা শুরু হয় ১৯৬৩ সালে। স্কুলটি ২০১৩ সালে ৫০ বছরের জুবিলী পালন করেছে। [১]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৯৩০ সালে খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারক কানেভল্লীর সহযোগিতায় সেন্ট যোসেফস্ প্রাথমিক বিদ্যালয় এর যাত্রা শুরু হয়। পরে ফাদার কাত্তানেয় এর চেষ্টায় ৫ম শ্রেণী খোলা হয়। শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন পলিক গমেজ, যোসেফ ছৈয়াল, প্রয়াত ডানিয়েল কোড়াইয়া, প্রয়াত যোসেফ রোজারিও, প্রয়াত ফ্রান্সিস কস্তা ও লুইজা দিদি মনি। এরপর কানেভল্লীর আহ্বানে প্রয়াত আঃ ছাত্তার চৌধুরী শিক্ষক ও পরামর্শক হিসেবে যুক্ত হন। ১৯৬৩ সালে ভেরপল্লী ও চেসকাতোর অক্লান্ত চেষ্টায় বর্তমান গীর্জার সংলগ্ন চত্বরে নির্মিত হয় ১১ কক্ষ বিশিষ্ট ইংরেজি U আকৃতির বৃহদাকার এই স্কুল। এতে ব্যবহৃত জমিটি দান করেন মরহুম রহিম উদ্দিন মৃধা ও কাউন্সিলর চেয়ারম্যান মরহুম রকিব উল্লাহ মৃধা এবং সার্বিক সহযোগিতা করেন মরহুম সাব্দুল আলী প্রমাণিক। এ সময়েই স্কুলটি জুনিয়র হাই স্কুলে উন্নিত করা হয়।
২০১৫ সালে এর কলেজ শাখা উদ্বোধন করা হয়। ২০১৮ সালে সেন্ট যোসেফস্ প্রাইমারি স্কুলকে সেন্ট যোসেফস্ হাইস্কুলের সাথে যুক্ত করা হয় এবং পুনঃনামকরণ করে সেন্ট যোসেফস স্কুল এন্ড কলেজ করা হয়।
বর্তমানে প্রাথমিক শাখার শিক্ষাথী সংখ্যা ৯৫০ জন এবং মাধ্যমিক শাখার শিক্ষাথী সংখ্যা ১৩৫৬ জন। অধ্যক্ষ ড. ফা: শংকর ডমিনিক গমেজের নেতৃত্বে প্রাইমারি শাখায় ১৫ জন শিক্ষক, মাধ্যমিক শাখায় ৩৭ জন শিক্ষক এবং কলেজ শাখায় ২০ জন প্রভাষক শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন।
শিক্ষা কার্যক্রম
[সম্পাদনা]পাঠ্যক্রম
[সম্পাদনা]এই প্রতিষ্ঠানে নার্সারি থেকে ১২শ শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রদের পাঠদান করা হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য শাখায় শিক্ষার্জনের সুযোগ রয়েছে।
পাঠদান পদ্ধতি
[সম্পাদনা]পর্বশেষ পরীক্ষা ছাড়াও প্রতি পর্বে দু'টি করে শ্রেণী-পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়।
ফলাফল
[সম্পাদনা]প্রতিষ্ঠাকালীন সময় হতে সেন্ট যোসেফস স্কুল এন্ড কলেজ পি.এস.সি, জে.এস.সি, এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল করছে।
২০১৯ হতে বর্তমান সময় পর্যন্ত সেন্ট যোসেফস স্কুল এন্ড কলেজের এইস.এস.সি পরীক্ষার ফলাফল নিম্নরূপ:[২]
শিক্ষাবর্ষ | জি.পি.এ-৫ প্রাপ্ত ছাত্রের সংখ্যা |
---|---|
2০১৯ | ৫৪ |
২০২০ | ৫৯ |
২০২১ | ৬৫ |
২০২২ | ১০০ |
২০২৩ | ৩৯ |
২০১৯ হতে বর্তমান সময় পর্যন্ত এস.এস.সি পরীক্ষায় এ প্রতিষ্ঠানের ফলাফল নিম্নরূপ:[৩]
শিক্ষাবর্ষ | জি.পি.এ-৫ প্রাপ্ত ছাত্রসংখ্যা |
---|---|
২০১৯ | ৫৪ |
২০২০ | ৫৯ |
২০২১ | ৬৫ |
২০২২ | ১২৪ |
২০২৩ | ৮৫ |
২০২৪ | ৪১ |
সাফল্য
[সম্পাদনা]১৯৮৭ সালে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য বিদ্যালয়টি জাতীয় পুরস্কার লাভ করে। এছাড়া ১৯৮৮, ১৯৯১ ও ২০১০ সালে এই বিদ্যালয়টি নাটোর জেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি লাভ করে এবং ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় নাটোর জেলার সবচেয়ে বেশি এ প্লাস পায় এই প্রতিষ্ঠানের কলেজ শাখা থেকে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ৫০ বছরের জুবিলী স্মরণীকা, সেন্ট যোসেফস্ উচ্চ বিদ্যালয়, বনপাড়া, নাটোর
- ↑ "Homepage"। St. Joseph's School & College (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৫-১৬।
- ↑ "Homepage"। St. Joseph's School & College (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৫-১৬।