সেইক্স

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হ্যালসিওন ছেড়ে সেইক্স চলে যাচ্ছে (ফ্রান্স, ১৫ শতাব্দী)
ঝড়ে সেইক্সের মৃত্যু, মেটামরফোসেস কবিতায় বর্ণিত কাহিনীর চিত্রায়ন

গ্রিক পুরাণে, সেইক্স (প্রাচীন গ্রিকΚήϋξ Kēüx) ছিলেন ফসফোরাসের পুত্র এবং থেসালির রাজা। তার সাথে অ্যালকিওনের বিয়ে হয়েছিল। তারা একসঙ্গে সুখে দিনাতিপাত করছিলেন। কেউ কেউ তাদের জিউস আর হেরা বলে ডাকতে লাগল। এতে জিউস ক্ষুব্ধ হয়ে যান, তাই যখন সেইক্স সাগরে ছিলেন জিউস তার জাহাজের উপর বজ্রপাত ঘটান। সেইক্স ছায়ামূর্তি হয়ে অ্যালকিওনের কাছে আসেন নিজের নির্মম পরিণতির কথা শুনাতে, শোকে কাতর হয়ে অ্যালকিওনে সমুদ্রের বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন। এই দৃশ্য দেখে দেবতারা দয়াপরবশত তাদের দুইজনকে হ্যালসিওন পাখিতে পরিণত করে দেন। বলা হয় যে সমুদ্র যখন শান্ত হয় তখন হ্যালসিওন পাখিরা ঘর বাঁধে, কেননা তারা উভয়ই সমুদ্রে ডুবে মারা যায়। 

ওভিদ এবং হাইজিনাস উভয়ই সেইক্স এবং অ্যালকিওনের মৃত্যুর আগের এবং পরের ঘটনা লিপিবদ্ধ করেছেন। মৃত্যুর আগের অংশে উঠে এসেছে তাদের জুটিকে জিউস এবং হেরা বলে ডাকা - জিউসের ক্রোধ এবং মৃত্যুর পর হ্যালসিওন পাখি হিসেবে তাদের দিনাতিপাতের কথাও উঠে এসেছে। তারা দুজনই "হ্যালিসিওন দিন", শীতের যে সাতদিনে ঝড় হয় না, তার উৎস খুঁজেছেন। তারা উভয়ই ব্যক্ত করেছেন এই সাতদিন হল সেই দিনগুলো যখন অ্যালকিওনে বাসা বেঁধে ডিম পাড়ে, তার পিতা আইওলুস, বায়ু দেবতা, বাতাস আটকে রেখে সমুদ্র শান্ত এবং নিস্তরঙ্গ রাখেন যাতে অ্যালকিওনে নিশ্চিন্তে এবং নিরাপদে তার কাজ করতে পারে। সেই থেকে এই শব্দগুচ্ছ শান্ত সময় বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। 

এই কাহিনী সংক্ষেপে ভার্জিল দ্বারাও বর্ণিত হয়েছে, তবে তাতে জিউসের ক্রোধের অংশটুকু বাদ পড়েছে। 

প্রভাব[সম্পাদনা]

  • নানা রকম মাছরাঙা পাখির নাম এই জুটির নামে রাখা হয়েছে:
  • সেইক্স গণের নামকরণ তার নামানুসারে হয়েছে
  • মাছরাঙা পরিবার হ্যালসিওনিডির নামকরণ তার স্ত্রীর নামানুসারে হয়েছে, হ্যালসিওন গণের নামও।
  • বেল্টেড মাছরাঙার বৈজ্ঞানিক নামের (Megaceryle alcyon) প্রজাতি অংশটুকুও তার স্ত্রীয়ের নামে রাখা হয়েছে।
  • দ্য বুক অব ডাচেস বইতে তাদের কাহিনী পাওয়া যায়। 

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]