সুহৃদ চাকমা
সুহৃদ চাক্মা ( ২০ জুন ১৯৫৮- ০৮ আগস্ট ১৯৮৮ খ্রীস্টাব্দ)[১] একজন বাংলাদেশি আদিবাসী কবি ও সাহিত্যিক ছিলেন। তিনি চাক্মা আধুনিক কবিতার গতানুগতিক ধারাকে পাল্টে দিয়ে নতুন ধারার সৃষ্টি করেন। চাক্মা সাহিত্যের কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ ও সমালোচনা নিয়ে কাজ করলেও মূলতঃ চাক্মা ভাষার গবেষণা নিয়েই তার কৌতূহল ছিল সবচেয়ে বেশি। চাক্মা ভাষা, সাহিত্য ও ঐতিহ্য নিয়ে তার অনেক প্রবন্ধ বাংলাদেশে এবং ভারতের কলকাতায় ও ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ও সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়। ১৯৮৭ সালে ‘বার্গী’ নামে তাঁর একটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। [২]
জীবন
[সম্পাদনা]প্রাথমিক জীবন
[সম্পাদনা]সুহৃদ চাকমা ২০ জুন ১৯৫৮ সালে বর্তমান খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা থানার অন্তর্গত বাঘেইছড়ি দোর নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম প্রফুল্ল কুমার চাকমা এবং মাতা দেনি চাকমা। পিতা-মাতার সাত সন্তানের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়।
শিক্ষা জীবন
[সম্পাদনা]সুহৃদ চাকমা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জ করেন।
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]কর্মজীবনে প্রথমে তিনি বোয়ালখালী অনাথাশ্রমে এবং রাঙ্গামাটি মোনঘর আবাসিক উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। পরে শিক্ষকতা ছেড়ে দিয়ে একই প্রতিষ্ঠানে 'জেনারেল ম্যানেজার' হিসেবে কাজ করতে থাকেন।
সাহিত্যকর্ম
[সম্পাদনা]চাকমা সাহিত্যে সুহৃদ চাকমা একটি পরিচিত নাম। সাহিত্যের প্রতিটি শাখায় তার সরব উপস্থিতি। ভারতের কলকাতা ও ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তার লেখা গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ প্রকাশিত হয় এবং "বার্গী" নামে তার একটি কাব্যগ্রন্থ ও প্রকাশিত হয়।
তার প্রবন্ধগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো চাকমা ভাষা, চাকমা সাহিত্যের উদ্ভব ও ক্রমবিকাশ, কবিতা ও আধুনিক কবিতার পটভূমি। এছাড়াও জিংকানি ও কোচাপানার নাঙ পত্তাপোত্তি গল্প রচনা করেন।
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]১৯৮২ সালের ৩১ শে জানুয়ারি ২৪ বছর বয়সে অর্চনা তালুকদারের সাথে তার বিয়ে হয় এবং তাদের এক পুত্র সুভদ্র চাকমা ও এক কন্যা সূচনা চাকমা।
মৃত্যু
[সম্পাদনা]তিনি ১৯৮৮ সালের ৮ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- সুহৃদ চাকমার স্মারকগ্রন্থ, পৃষ্ঠা ৩৬।
- কবি ও কবিতা : পার্বত্য চট্টগ্রাম ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৯ জুলাই ২০২১ তারিখে। samakal.com।
- নানান বরণ ভাষা। prothomalo.com।