সুস্মিতা পাওয়ার
পদক রেকর্ড | ||
---|---|---|
ভারত-এর প্রতিনিধিত্বকারী | ||
মহিলাদের কাবাডি | ||
এশিয়ান গেমস | ||
২০১৪ ইন্ছন | দল |
সুস্মিতা পাওয়ার হলেন একজন ভারতীয় পেশাদার আন্তর্জাতিক কাবাডি খেলোয়াড়। তিনি কর্নাটক রাজ্যের মহীশূর শহরের অধিবাসী। তিনি ভারতীয় জাতীয় কাবাডি দলের সদস্য ছিলেন। এই দল ইন্ছনে ২০১৪ এশিয়ান স্বর্ণপদক জিতেছে।[১][২]
জীবনী
[সম্পাদনা]সুস্মিতা একটি দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর বাবা ও মায়ের নাম যথাক্রমে ওমপ্রকাশ রাও পাওয়ার এবং মঞ্জুলা বাই। তাঁরা মহীশূরের এন আর মহল্লার বাসিন্দা। একটি আটা ভাঙানোর কল চালিয়ে তাঁরা জীবিকা নির্বাহ করেন। সুস্মিতা ২০০৩ সাল থেকে কাবাডি খেলা শুরু করেন। তাঁদের আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে, প্রাথমিক পর্যায়ে খেলার সূত্রে সুস্মিতার ভ্রমণের উদ্দেশ্যে অর্থের যোগানের জন্য বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয় স্বজনের কাছে টাকা ধার করতে হয়েছিল। সুস্মিতা বলেছেন ২০০৩ সালে কাবাডি খেলা শুরু করার পর, যে পুলিশ বিভাগ তাঁকে তার সমস্ত প্রচেষ্টায় সমর্থন করেছে।[৩]
৩১ বছর বয়সী সুস্মিতা বিদ্যালয় জীবনে অ্যাথেলেটিক দিয়ে তাঁর খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছিলেন, এবং তিনি তাতে সফলতাও লাভ করে ছিলেন। তিনি যখন মহীশূরের পিপলস পার্ক সরকারি মহিলা কলেজে পিইউ অধ্যয়নরত ছিলেন, সেই সময় কলেজের কাবাডি দলে একজন খেলোয়াড়ের অভাব হচ্ছিল। দলটি একটি প্রতিযোগিতায় অংশ নেবার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল। তখনই কলেজের কাবাডি খেলোয়াড়রা সুস্মিতার অ্যাথলেটিক দক্ষতা দেখে মুগ্ধ হয়ে তাঁকে অস্থায়ী পরিবর্ত খেলোয়াড় হিসেবে খেলার জন্য অনুরোধ করে। সুস্মিতা বলেন "এটা ছিল ২০০৩ সাল এবং এর আগে আমি আমার জীবনে কখনো কাবাডি খেলিনি"।
সুস্মিতা বেঙ্গালুরুতে রাজ্য পুলিশ বিভাগে কাজ করেন এবং বর্তমানে, তিনি পেরিয়াপাটনা তালুকের বেট্টাদাপুরা থানায় কর্মরত আছেন।
খেলোয়াড় জীবন
[সম্পাদনা]স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (সাই) কাবাডি কোচ শ্রীধরের কাছে সুস্মিতা কাবাডি খেলার জন্য অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। তিনি প্রথমবারের মতো জুনিয়র জাতীয় দলে এবং ২০০৪ সালে অমৃতা লীগে রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করেন।[৪] তিনি কর্ণাটক জুনিয়রস কাবাডি দলের অধিনায়ক ছিলেন এবং দক্ষিণ জোনাল ও কর্ণাটক সিনিয়র দলের সদস্য ছিলেন। তিনি ২০১৪ সালে জাতীয় দলে নির্বাচিত হন।[৫] সুস্মিতা কবাডি লীগে কর্ণাটকের হয়ে খেলছেন এবং তিনি দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়।[৬]
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]সুস্মিতা বিবাহ করেছিলেন ভেঙ্কটেশকে এবং নিজের সাফল্যের জন্য তিনি তাঁর স্বামীকেও কৃতিত্ব দিয়েছেন।[৩]
পুরস্কার
[সম্পাদনা]সম্প্রতি মহীশূরে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে রাজ্য সরকার কর্তৃক একলব্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন সুস্মিতা।[৩]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Vinod, A. (নভে ২৯, ২০১০)। "Kerala still in celebratory mood after Asiad impression"। The Hindu। The Hindu Group। এপ্রিল ২, ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১২।
- ↑ "Colourful start to district youth fete"। The Hindu। The Hindu Group। জানুয়ারি ৮, ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১২।
- ↑ ক খ গ "Sushmitha, taking Kabbadi to new heights"। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ "Sushmitha, taking Kabbadi to new heights"। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০২২।
- ↑ "Sushmita Makes Mysore Proud"। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ "Karnataka begins well"। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২।