সুমতি (অভিনেত্রী)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

সুমতি মাদুরাই, তামিলনাড়ুর একজন ভারতীয় অভিনেত্রী। তিনি দুই বছর বয়সে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি অনেক মালয়ালম, তামিল, তেলুগু, কন্নড় এবং হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

সুমতি ভারতের তামিলনাড়ুর একটি শহরে মাদুরাইতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ও মা ছিলেন মূলত মাদুরাই থেকে। তার বাবা ফটো স্টুডিও এবং প্রিন্টিং প্রেসের বিভিন্ন ব্যবসা পরিচালনা করেছিলেন। তার মা ছিলেন একজন গৃহিণী এবং তার সাত ভাই ও তিন বোনের দেখাশোনা করতেন। তার বড় ভাই মাস্টার প্রভাকর পরিবারের প্রথম ব্যক্তি যিনি চলচ্চিত্র শিল্পে প্রবেশ করেন।[১][২]

১৯৬৬ সালে সুমতি তার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য তার খালার সাথে চলে আসেন। যখন একজন পরিচালক প্রবীণ অভিনেতা ভরথ গোপীর সাথে একটি মালায়ালাম ছবিতে অভিনয় করার জন্য একটি ছোট শিশুর সন্ধান করছিলেন তখন সুমতি চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন।

সুমতি বিবাহিত এবং তাদের মেয়ে এবং ছেলের সাথে আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

তিনি ষাটের দশকের শেষের দিকে গোপীর কন্যার ভূমিকায় অভিনয় করে শিশু অভিনেত্রী হিসাবে তামিল চলচ্চিত্রে তার চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন। অনেক শিশুতোষ চলচ্চিত্রে তাকে দেখা গেছে। পরে তিনি তেলুগু এবং মালায়লাম চলচ্চিত্রে চলে আসেন এবং অনেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।

অভিনয় জীবনে তিনি প্রায়ই পাশের বাড়ির মেয়ে চরিত্রে অভিনয়ে পারদর্শী ছিলেন। তিনি এমজি রামচন্দ্রন, শিবাজি গণেশন, জেমিনি গণেশন, জয়া বচ্চন, মনোরমা, নাগেশ, রজনীকান্ত, জয়ললিতা, অম্বিকা এবং ভাগ্যরাজের মতো অনেক তারকাদের সাথে অভিনয় করেছেন। নায়িকা হিসেবে তার প্রথম চলচ্চিত্রটি ছিল ভাগ্যরাজের পরিচালনায় সুভারিল্লাথা ছবিরাঙ্গল (১৯৭৮) তামিল ভাষায়। তিনি তার অভিনয় জীবনের শীর্ষ মুহূর্তে ১৯৮৯ সালে তার বিয়ের পর আমেরিকায় চলে যান।

পুরস্কার[সম্পাদনা]

মালয়ালমে শিশু শিল্পী পুরস্কার[সম্পাদনা]

সুমতি শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী (মহিলা) হিসেবে তিনবার বিজয়ী কেরালা রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।[৩]

  • ১৯৬৯ সালে সেরা মহিলা শিশু শিল্পী (মহিলা)- নাধি
  • ১৯৭২ সালে সেরা মহিলা শিশু শিল্পী (মহিলা)
  • ১৯৭৭ সেরা মহিলা শিশু শিল্পী (মহিলা) সুমতি - শঙ্কুপুষ্পম

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]