সুতিয়াখালী সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র
সুতিয়াখালী সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র | |
---|---|
![]() | |
অফিসিয়াল নাম | সুতিয়াখালী ৫০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প |
দেশ | বাংলাদেশ |
অবস্থান | সুতিয়াখালী, ময়মনসিংহ সদর, ময়মনসিংহ |
স্থানাঙ্ক | ২৪°৭′০″ উত্তর ৯০°৪′৫০″ পূর্ব / ২৪.১১৬৬৭° উত্তর ৯০.০৮০৫৬° পূর্ব |
অবস্থা | সক্রিয় |
নির্মাণ শুরু | ২০১৭ |
কমিশনের তারিখ | ২০২০ |
নির্মাণ ব্যয় | ৮০০ কোটি টাকা[১] |
মালিক | বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় |
পরিচালক | বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড |
সৌর ক্ষেত্র | |
ধরন | সিএসপি |
CSP technology | Parabolic trough |
সাইট রিসোর্স | ১৭৪ একর |
বিদ্যুৎ উৎপাদন | |
নামফলক ধারণক্ষমতা | ৫০ মেগাওয়াট |
সুতিয়াখালী সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বাংলাদেশের একটি সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের মাধ্যমে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে সরকারের পরিকল্পনার আওতায় ময়মনসিংহে ৫০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে, এবং এর শতভাগ কাজ সম্পন্ন হয় ২০২০ সালে।[২][৩][৪][৫][৬][৭][৮][৯]
প্রকল্প
[সম্পাদনা]নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার নিশ্চিতে সরকারি পরিকল্পনার আওতায় ২০১৭ সালে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে ময়মনসিংহে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনের কাজ শুরু হয়।
বাংলাদেশ সরকারের ব্যবস্থাপনায় মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের যৌথ প্রতিষ্ঠান এইচডিএফসি সিনপাওয়ার লিমিটেড আইপিপি (ইন্ডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রোডিউসার) পদ্ধতিতে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কাজ শুরু করে।
২০১৬ সালের শেষ দিকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ‘বাস্তবায়ন চুক্তি’ এবং বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে ‘বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি’ স্বাক্ষরের পর ২০১৭ সালে ‘সুতিয়াখালী ৫০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প’ নামে বাস্তবায়ন কাজ শুরু করা হয়। প্রকল্পটির অধীনে অফিস ভবন, ব্রহ্মপুত্রের নদী শাসন বাঁধ, কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ, এক বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে সোলার প্লেট বসানো, দশটি বক্স ট্রান্সমিশনে সংযোগ প্রদান, সাব-স্টেশনসহ ১৩২ কেভিএ ট্রান্সমিশন টাওয়ার নির্মাণ, কেওয়াটখালীর জাতীয় গ্রিডলাইন পর্যন্ত চার কিলোমিটার আন্ডারগ্রাউন্ড কেবল স্থাপন এবং এক কিলোমিটার ওভারহেড ট্রান্সমিশন সঞ্চালন লাইন স্থাপনের কাজ করা হবে।[৩][৫]
নির্মাণ
[সম্পাদনা]বাংলাদেশ সরকারের ব্যবস্থাপনায় মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের যৌথ প্রতিষ্ঠান এইচডিএফসি সিনপাওয়ার লিমিটেড আইপিপি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি নির্মাণের দায়িত্ব পায়। প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পটির নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন।
নির্ধারিত সময় ডিসেম্বর ২০২০ এর আগেই এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়, কিছুদিন পরিক্ষামূলক উৎপাদন চলার পর বর্তমানে কেন্দ্রটি সম্পূর্ণ সক্রিয়ভাবে উৎপাদনশীল।[৩]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ পাশা, জগলুল। "উদ্বোধনের অপেক্ষায় গৌরীপুরের সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-৩০।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "ময়মনসিংহে দেশের সর্ববৃহৎ সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের ৮৫ ভাগ কাজ সমাপ্ত | জাতীয়"। ittefaq। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-৩০।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ গ "উদ্বোধনের অপেক্ষায় দেশের সর্ববৃহৎ সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র | কালের কণ্ঠ"। Kalerkantho। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-৩০।
- ↑ gonews24.com। "দেশের সর্ববৃহৎ সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধনের অপেক্ষায়"। gonews24। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-৩০।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ "উদ্বোধনের অপেক্ষায় সর্ববৃহৎ সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প"। সমকাল (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-৩০।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ web@somoynews.tv। "উদ্বোধনের অপেক্ষায় দেশের সবচেয়ে বড় সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প"। somoynews.tv (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-৩০।
- ↑ "বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড"। www.bpdb.gov.bd। ২০২১-০২-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-৩০।
- ↑ "ময়মনসিংহে চালু হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র"। https://www.risingbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-৩০।
|ওয়েবসাইট=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য) - ↑ "ADP Project Monitoring and Evaluation System"। www.powerprojectbd.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-৩০।