সাতবাড়িয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সাতবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়
অবস্থান

,
তথ্য
ধরনমাধ্যমিক বিদ্যালয়
নীতিবাক্যপ্রবেশ কর জ্ঞানের সন্ধানে, ছড়িয়ে পড় মানব কল্যানে
প্রতিষ্ঠাকাল১৯১৪; ১০৯ বছর আগে (1914)
অবস্থাসক্রিয়
বিদ্যালয় বোর্ডমাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, চট্টগ্রাম
সেশনজানুয়ারি - ডিসেম্বর
প্রধান শিক্ষকজনাব রতন কান্তি বড়ুয়া
অনুষদ
  • বিজ্ঞান ,মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা
শ্রেণী৬ষ্ঠ-১০ম
লিঙ্গবালক-বালিকা
শিক্ষার্থী সংখ্যা১৩০০+
শিক্ষা ব্যবস্থাজাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড
ভাষাবাংলা মাধ্যম
ক্যাম্পাসের ধরনগ্রামীণ
রংআকাশী নীল ও সবুজ
বিদ্যালয় কোড৩৬
ইআইআইএন১০৪
ওয়েবসাইটsatbariamlhighschool.edu.bd

সাতবাড়িয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ উপজেলার একটি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ উপজেলার অন্তর্গত সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন-এ অবস্থিত।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৯৩ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাকালে বিদ্যালয়টি বেড়ার ঘর থাকলেও পরবর্তীকালে সমাজসেবকরা বিদ্যালয়টি পুনঃনির্মাণ করেন। পরবর্তীতে এটি সাতবাড়িয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় নামে পরিচিতি লাভ করে।[২]

প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে[সম্পাদনা]

দক্ষিণ চট্টগ্রামের তৎকালীন পটিয়ায় সর্বাপেক্ষা প্রাচীণ বিদ্যাপিঠ হলো ১৮৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এরপর ১৯১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়। তৎপূর্বে এ এলাকায় অন্য কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিলো না। ছোট ছোট পাঠশালা ও মক্তবভিত্তিক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে কিছু কিছু শিক্ষা দেওয়া হতো, আর আর্থিকভাবে স্বচ্ছল পরিবারের সন্তানেরা চট্টগ্রাম শহরে গিয়ে পড়ালেখা করত। পটিয়া থানার দক্ষিণাংশে বর্তমান চন্দনাইশ থানায় ১৯১৮ সালে প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়- গাছবাড়ীয়া নিত্যানন্দ গৌরচন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ১৯২৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়-বরমা ত্রাহি মেনকা উচ্চ বিদ্যালয়। এর পূর্বে সাতবাড়ীয়ায় কোনো জুনিয়র বা মাধ্যমিক স্কুল ছিল না।এলাকার অখিকাংশ শিক্ষার্থী প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনি শেষ করে (ছাত্ররা) পার্শ্ববর্তী গাছবাড়ীয়া, বরমা ও আশেপাশের স্কলে উচ্চতর শ্রেণিতে ভর্তি হতো। তখন বরমা স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু ছিল। ছাত্রদের পড়ালেখার ‍সুযোগ থাকলেও দূরত্বের কারণে এলাকার ছাত্রীদের পক্ষে পড়াশুনা সম্ভব ছিলো না। বিষয়টি অনুভব করতে পেরে তৎকালীন জমিদার শ্রী নাজির কৃষ্ণ চন্দ্র চৌধুরী এলাকার মহিলাদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ১৮০০ সালের শেষের দিকে বা ১৯০০ সালের প্রথম দিকে কোনো এক সময় তাঁর বাড়ির সামনে পুকুর পাড়ের উত্তর পশ্চিমাংশে একটি প্রাথমিক পর্যায়ে বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এর নামকরণ কর হয়-‘‘সাতবাড়ীয়া বালিকা বিদ্যালয়’’ যা এলাকায় নাজির স্কুল নামে খ্যাত ছিল। শ্রী নাজির কৃষ্ঞ চন্দ্র চৌধুরী ১৮৪৪ সালে জন্ম গ্রহণ করেন এবং ১৯১০ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

ব্যবস্থাপনা[সম্পাদনা]

বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য জনাব এডভোকেট এস এম সিরাজুদ্দৌলা কে সভাপতি করে ১২ সদস্য বিশিষ্ট একটি পরিচালনা পরিষদ রয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব রতন কান্তি বড়ুয়া। এছাড়া আরও ২৩ জন অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী এ বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন।[২]

শিক্ষা কার্যক্রম[সম্পাদনা]

বিদ্যালয়ে ২টি বহুতল ভবন রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের খেলাধুলার জন্য একটি খেলার মাঠ রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানে সহ-শিক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। বর্তমানে ১২ শতাধিক শিক্ষার্থী এ বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত আছে। বিদ্যালয়টিতে একটি গ্রন্থাগার রয়েছে, যেটি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সাথে সম্পৃক্ত। বিদ্যালয়টিতে একটি খেলার মাঠ রয়েছে, যেখানে প্রতিদিন প্রাত্যহিক সমাবেশ ও বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

সহ-শিক্ষা কার্যক্রম[সম্পাদনা]

এ বিদ্যালয়ে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের সহ-শিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে।

  • স্কাউট দল
  • বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র
  • বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা
  • বিতর্ক প্রতিযোগিতা
  • সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
  • আবৃত্তি ও
  • চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা

ইত্যাদি এছাড়াও বিদ্যালয়টির ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ বিভিন্ন আন্তঃস্কুল প্রতিযোগিতায় ও অংশগ্রহণ করে থাকে।

ফলাফল ও কৃতিত্ব[সম্পাদনা]

২০১৯ সালে পাশের হার ৮৫%।[২][২]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Satbaria Union"satbariaup.chittagong.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১১-২৫ 
  2. "সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন"bailtaliup.chittagong.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-২৩ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]