সাচার উচ্চ বিদ্যালয়

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

সাচার উচ্চ বিদ্যালয় চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার ঢাকা-কচুয়া মহাসড়কের সাচার বাজারের পার্শ্বে মনোরম পরিবেশে অবস্থিত। বর্তমানে ৩টি পাকা ও ২টি সেমিপাকা ভবনে পাঠদান এবং ছাত্রদের থাকার জন্য একটি ছাত্রাবাস রয়েছে। এটি চাঁদপুর জেলার প্রাচীনতম একটি বিদ্যাপিঠ।

প্রতিষ্ঠাকাল[সম্পাদনা]

বিদ্যালয়টি ১৯১৬ সালের পহেলা জানুয়ারী প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

তৎকালীন সাচার এলাকার কয়েকজন শিক্ষানুরাগী জমিদার শ্রেণির লোকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠে। স্কুলের প্রথম সম্পত্তিদাতা বায়েক গ্রামের জমিদার “মাইচ রায়”। তার দান করা সম্পত্তির পরিমাণ ৬৮ শতক। বর্তমানে বিদ্যালয়ের সম্পত্তির পরিমাণ দুই একর ৫২ শতক। ১৯১৬ সালে বিদ্যালয়টির কার্যক্রম শরু হলেও ১৯১৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যা্লয় থেকে স্বীকৃতি লাভ করে [১]। ধীরে-ধীরে শিক্ষার আলো জ্বালিয়ে ১০২ বছরে পা দিলো বিদ্যালয়টি । এটি ১৯৮৪ সালে এমপিও ভূক্ত করা হয়।

শিক্ষা ব্যবস্থা[সম্পাদনা]

বিদ্যালয়টিতে ৬ষ্ঠ-১০ম শ্রেণী পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষার পাশা-পাশি এস এস সি ভোকেশনাল শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রয়েছে।

শিক্ষক ও কর্মকর্তা[সম্পাদনা]

বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ৩২জন শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছে। তার মধ্যে ১৯জন এমপিওভূক্ত শিক্ষক, ৬জন কর্মচারী ও ৭জন খন্ডকালীন শিক্ষক রয়েছে।

ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা( শ্রেণীভিত্তিক)[সম্পাদনা]

বিদ্যালয়ে ৮৩৯ জন ছাত্র এবং ৯৮৮জন ছাত্রীসহ মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৮২৭ জন । ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে মোট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৫২৯জন। তার মধ্যে ২৫৮জন ছাত্র এবং ২৭১জন ছাত্রী। ৭ম শ্রেনীতে মোট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৪৩৪জন। তার মধ্যে ১৮৪ জন ছাত্র ও ২৫০জন ছাত্রী। ৮ম শ্রেনীতে ১৪০জন ছাত্র ও ১৯৮জন ছাত্রী ।৯ম শ্রেনীতে মোট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১৬৩ জন। তার মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ৮৯জন ও ছাত্রী সংখ্যা ১০৪জন। ১০ শ্রেনীতে ৯১জন ছাত্র ও ৮৪জন ছাত্রীসহ মোট শিক্ষার্থী ১৭৫ জন। এছাড়া ভোকেশনালে মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৫৮জন। তার মধ্যে ছাত্র ৭৭জন ছাত্র এবং ৮১ জন ছাত্রী।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২২ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৭