সাইয়্যেদ আহমাদ আলাভি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

সাইয়েদ আহমদ আলাভি, আহমদ বি. , জায়ন আল-আবিদিন, আল-আবিদিন আল-আলাভি আল-আমিলি, [১] বা মীর সাইয়্যিদ আহমদ 'আলাভি 'আমিলি [২] নামেও পরিচিত (মৃত্যু ১৬৪৪ - ১৬৫০ মধ্যবর্তীকালে; ফার্সি: سید احمد علوی ) একজন সাফাভিদ দার্শনিক ও ইসফাহান দর্শন বিদ্যালয়ের ধর্মতত্ত্ববিদ ছিলেন।

শিক্ষা ও জীবন[সম্পাদনা]

আলাভির জীবন সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়।[৩] তার পূর্বপুরুষরা আলেপ্পোর বাসিন্দা ছিলেন এবং তার বাবাও সেখানে দীর্ঘকাল অবস্থান করেন। তার পিতা শিয়া লেভানটাইন উলামাদের ইরানে বৃহৎ আকারের অভিবাসনের অংশ হিসেবে সাফাভিদ ইরানে চলে আসেন যা রাজা প্রথম ইসমাইল (আর. ১৫০১-১৫২৪) এর শাসনামল থেকে চলছিল, তখন তার পরিবার ইসফাহানে অবস্থান করে। সাইয়্যেদ আহমদ নিজে ইসফাহানে জন্মগ্রহণ করেন এবং মীর দামাদ ও শায়খ বাহাইয়ের তত্ত্বাবধানে শিক্ষা লাভ করেন। তিনি মীর দামাদের চিন্তাধারার একজন বিশিষ্ট ছাত্র হিসাবে গণ্য হন। মীর দামাদের সাথেও তার পারিবারিক সম্পর্ক ছিল কারণ তিনি তার জামাই ও চাচাতো ভাই ছিলেন। ওল্ড টেস্টামেন্ট এবং নিউ টেস্টামেন্টের পাঠ্যের সাথে মোকাবিলা করার জন্য তিনি হিব্রু ভাষার সাথে পরিচিত ছিলেন।[৪]

কর্ম[সম্পাদনা]

তার প্রায় পঞ্চাশটি কাজের মধ্যে ক্বাবাসাতের তাফসীর (৭০০ পৃষ্ঠা পর্যন্ত) অন্যতম। তিনি মীর দামাদের প্রত্যক্ষ নির্দেশে তাফসীর রচনা করেন। এছাড়াও, আবু মুসলিমের বিরুদ্ধে প্রথম প্রবন্ধ হিসেবে "ইজহা আল হক" নামে একটি বইও লিখেন।[৫] যদিও সাইয়্যেদ আহমদ তার শিক্ষকের পথ অনুসরণ করেছিলেন, তিনি একই সাথে ফারাবী এবং ফখর আল দ্বীন সামাকির মতো অন্যান্য পূর্বসূরিদের উপর তার আধিপত্য দেখানোর চেষ্টা করেন।

তার লেখা আরও কিছু বই হল:

  • মিফতাহ আল শেফা (অর্থাৎ মিফতাহ আল-শিফা', নিরাময়ের চাবিকাঠি), অ্যাভিসেনার ভাষ্য নিরাময়ের বই
  • মাসকাল আল সাফা (অর্থাৎ মিশকাল-ই সাফা) খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারকদের প্রতিক্রিয়া হিসাবে।
  • লাতাফ আল কায়েবাহ (অর্থাৎ লাতা'ইফ-ই গায়বাহ)

মৃত্যু[সম্পাদনা]

তিনি ১৬৪৪ থেকে ১৬৫০ সালের মধ্যে মারা যান।[৬] তাকে আগা রাজীর তাকিয়ার কাছে তখত ফুলাদে দাফন করা হয়।[৭]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]