সন্ত লুকার গির্জা, মিউনিখ
সন্ত লুকার গির্জা | |
---|---|
| |
![]() ইসার নদীর তীরে সন্ত লুকার গির্জা | |
৪৮°০৮′০৬″ উত্তর ১১°৩৫′১৪″ পূর্ব / ৪৮.১৩৫০০° উত্তর ১১.৫৮৭২২° পূর্ব | |
অবস্থান | মিউনিখ |
দেশ | জার্মানি |
মণ্ডলী | লুথেরান |
ওয়েবসাইট | www |
ইতিহাস | |
যার জন্য উৎসর্গিত | লুক দ্যা ইভাংগালিস্ট |
উৎসর্গীকরণের তারিখ | প্রথম আগমন ১৮৯৬ |
স্থাপত্য | |
মর্যাদা | প্যারিশ গির্জা |
সক্রিয়তা | সক্রিয় |
স্থপতি | আলবার্ট স্মিথ |
শৈলী | ঐতিহাসিক |
ভূমিখননের তারিখ | ২৯ জুন ১৮৯৩ |
নির্মাণকাজ সমাপ্তির তারিখ | ১৮৯৬ সালের প্রথম আগমনে |
বৈশিষ্ট্য | |
Dome height (outer) | ৬৪ মি (২১০ ফু) |
গির্জাশিখরের সংখ্যা | ২ |
নির্মাণ-সামগ্রী | ইট |
ঘণ্টার সংখ্যা | ২ (৪[ক]) |
প্রশাসন | |
যাজকীয় বিভাগ | Lukasgemeinde Munich |
প্রধান পাদ্রিশাসিত এলাকা | মিউনিখ এবং উচ্চ বাভারিয়া (Kirchenkreis) |
যাজকসভা | বাভারিয়ার লুথেরান গির্জা |
সন্ত লুকার গির্জা (জার্মান: St. Lukas বা Lukaskirche) দক্ষিণ জার্মানির মিউনিখে অবস্থিত বৃহত্তম প্রোটেস্ট্যান্ট গির্জা। এটি ১৮৯৩-৯৬ সালে নির্মিত হয়। গির্জাটির নকশা করেন আলবার্ট স্মিথ। এটি মিউনিখের ঐতিহাসিক এলাকায় সংরক্ষিত একমাত্র লুথারান প্যারিশ গির্জা।
স্টিনসডর্ফস্টারস এবং মারিয়েনেনপ্লাজসের মধ্যে, ইসার নদীর তীরে গির্জাটি অবস্থিত। যদিও এটি মাটিনিয়ানপ্লাজট (মারিয়ানএনপ্ল্ল্যাজ ৩)-এ অবস্থিত তবে এর প্রধান ফটকের অবস্থান স্টেইনসফোর্ডস্টাসে। পূর্ব দিকের দুটি টাওয়ার এবং প্রায় ৬৪ মিটার (২১০ ফুট) উঁচু গম্বুজ গির্জাটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। যদিও সন্ত লুকার ডাকনাম ডম ডের মুন্নার প্রোটেস্ট্যান্টেন (মিউনিখ প্রোটেস্ট্যান্টের ক্যাথিড্রাল), তবুও গির্জাটিতে বিশপের আসন নেই।
ইতিহাস ও বর্ণনা
[সম্পাদনা]
মিউনিখে প্রোটেস্ট্যান্ট গির্জার ইতিহাসটি অনেকটা সংক্ষিপ্তই বলা চলে। ষোল শতকের প্রথম দিকে প্রোটেস্ট্যান্ট গোষ্ঠীগুলোকে নিষিদ্ধ ও দমন করা হয়েছিল। বাভারিয়া মূলত সংস্কারের সময় থেকে উইটলসবাখ পরিবারের অধীনে ক্যাথলিক রাজ্য ছিল, কিন্তু ১৭৯৯ সালে উইটলসবাখের প্রধান, প্রিন্স-ইলেক্টর ম্যাক্স চতুর্থ জোসেফ, ফ্রিডেরাইক ক্যারোলাইন উইলহেলমিনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন; তিনি ছিলেন একজন লুথেরান রাজকন্যা। এবং হঠাৎ মিউনিখের আদালতে প্রোটেস্ট্যান্ট উপস্থিতি তৈরি হল। উনিশ শতকে, মিউনিখে জার্মানির অন্যান্য অঞ্চল থেকে অভিবাসী আসতে শুরু করে। এদের মধ্যে অনেকেই লুথেরান ছিল।[১]
১৮২৬ সালেই মিউনিখে লুথেরান প্যারিশনারের সংখ্যা ছিল ৬০০০। প্রথম প্রোটেস্ট্যান্ট গির্জা সন্ত ম্যাথিউ, ১৮৩৩ সালে উদ্বোধন করা হয়। ১৯৩৮ সালে নাৎসিরা এটি ধ্বংস করে ফেলে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অন্য স্থানে পুনর্নির্মিত করা হয়। ১৮৭৭ সালে দ্বিতীয় প্রোটেস্ট্যান্ট গির্জা সন্ত মার্কসের উদ্বোধন করা হয়। উনিশ শতকের শেষ দশকে মিউনিখের লুথেরানদের তৃতীয় এবং বৃহত্তর একটি গির্জার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু বাভারিয়ার রাজ পরিবার মিউনিখের ক্যাথলিক চরিত্রকে রক্ষা করার জন্য উদ্বিগ্ন ছিল, তাই লুথেরানদের সন্ত লুকার গির্জাটি গড়ে তোলার জন্য ইসার নদীর তীরে জমি দান করে। ১৮৯৩ সালে এর নির্মানকাজ শুরু হয় এবং ১৮৯৬ সালের প্রথম আগমন থেকে প্রার্থনা শুরু হয়।[২]
স্থাপত্য ও শিল্প
[সম্পাদনা]
তৎকালীন রোমান ক্যাথলিক শাসকদের খুশি করার জন্য স্থপতি আলবার্ট স্মিথ প্রাক-সংস্কার শৈলী ব্যবহার করেছেন। বাহ্যিক সজ্জাটি রোমানীয় (একাদশ-দ্বাদশ শতকে ইউরোপে ব্যবহৃত গম্বুজ ও খিলানের স্থাপত্য) আকারে নির্মিত হয়েছে, অভ্যন্তরের সজ্জাটি গ্রিক ক্রসের জ্যামিতিক আকৃতির উপর ভিত্তি করে পুরনো রেনিশ গথিকের মতো করে তৈরি করা হয়েছে। গির্জাটির পূর্বদিকে তিনটি পার্শ্বযুক্ত এপস রয়েছে, এবং পশ্চিম প্রাঙ্গণ সাত ধার বিশিষ্ট এবং একটি বর্গাকার টাওয়ার রয়েছে।[৩]
১৮৯৬-১৮৯৯ সাল থেকেই সন্ত লুকার গির্জার কিছু অসাধারণ শৈল্পিক স্টেইনড কাচের জানালা ছিল। এগুলোর প্রাথমিক নকশা করেন চার্লস ডিক্সন। তিনি সেই ছিলেন সেই সময়ের বিখ্যাত কাঁচ নকশাকার। কাঁচগুলো মুচচেন মায়ারের হোফকুনস্তানস্টাল্ট (মেয়র কোর্ট আর্ট ওয়ার্কশপ মিউনিখ) তৈরি করেছিল।
১৯৭২ সালের ৬/৭ সেপ্টেম্বরের আকাশ অভিযানের সময় গির্জাটির জানালাগুলি ধ্বংস হয়ে যায়। ১৯৪৬ সালে চ্যান্সেলের হারিয়ে যাওয়া জানালাগুলি হর্মেন কাস্পার নতুন করে তৈরি করেন। গির্জাটির বেদির নকশা করেন শিল্পী গুস্তাভ অ্যাডলফ গোল্ডবার্গ। নকশাটি যীশুর সমাহিতকরণের প্রতি উৎসর্গ করা হয়েছে।
অর্গান
[সম্পাদনা]জি.এফ. স্টেইনমেয়ের এন্ড কোর্পোরেশন (এটটিজেন) ১৯৩২ সালে অর্গানটি তৈরি করেন।[৪]
চিত্রশালা
[সম্পাদনা]-
গির্জার বেদি
-
অর্গান
-
যাজকসম্প্রদায়ের স্থান
-
বাইরের সজ্জা
-
শিলালিপি ঘণ্টা, ১৮৬২
-
ইসার নদীর বাঁধের সাথে সন্ত লুকার
-
রোমান ক্যাথলিক গির্জার সাথে সেন্ট লুক গির্জা (পেছনে)
পাদটীকা
[সম্পাদনা]- ↑ Two bells hung are only on loan, one, the Inscriptions Bell, cast in 1862 on behalf of the presbytery of the then Lutheran St. Mary's Church, Stargard, the other cast in 1703 on behalf of the presbytery of the then Lutheran church of Schönwaldau, both were recovered chattels of the former congregations which else lost their church buildings in what is now Poland.
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "St Lukas: Munich's oldest Lutheran church"। Nerd In Deutschland। ৪ জুলাই ২০১২।
- ↑ Killy, W.; Vierhaus, R. (২০১১)। Schmidt – Theyer। Deutsche biographische Enzyklopädie। Walter de Gruyter GmbH। পৃষ্ঠা 2। আইএসবিএন 978-3-11-096629-9।
- ↑ Schacherl, L.; Biller, J.H. (১৯৮৭)। Munich। Prestel Guides (জার্মান ভাষায়)। Prestel-Verlag। পৃষ্ঠা 154। আইএসবিএন 978-3-7913-0838-8। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১৮।
- ↑ "Gerd Kötter"। gerdkoetter.de (জার্মান ভাষায়)। ২১ জুন ২০০৩। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১৮।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]