বিষয়বস্তুতে চলুন

শেহলা লাহিজি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

শেহলা লাহিজি (জন্ম ১৯৪২) (ফার্সি: شهلا لاهیجی) একজন ইরানি লেখক, প্রকাশক, অনুবাদক, নারী অধিকার কর্মী এবং নারী বিষয়ক একটি প্রকাশনা সংস্থা রোশনগরণ এর পরিচালক।[]

কর্মজীবন এবং কার্যক্রম

[সম্পাদনা]

শেহলার জন্ম ১৯৪২ সালের ইরানের তেহরানে। তিনি লন্ডন মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেন।[] তিনি ১৯৮৩ সালে রোশনগরণ নাম্নী প্রকাশনা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন এবং ইরানের প্রথম মহিলা প্রকাশক হন।[] ২০০৬ সাল পর্যন্ত রোশনগরণ ২০০টিরও বেশি বই প্রকাশ করেছে যা মহিলা লেখকদের দ্বারা লিখিত অথবা যা মহিলাদের সমস্যাগুলির সাথে সম্পর্কিত এবং সেই সংক্রান্তে আলোচনা করে।[] এই প্রকাশনা সংস্থাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পেন আন্তর্জাতিক পুরস্কার এবং ২০০১ সালে যুক্তরাজ্যে পান্ডোরা পুরস্কার লাভ করে।[] প্রাথমিক জীবন সম্বন্ধে বলতে গিয়ে এক সাক্ষাতকারের শেহলা জানান যে তিনি ইরানে নারী অধিকার এবং কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণের একটি জীবন্ত ইতিহাসের অংশ, কারণ শেহলার মা ছিলেন পঞ্চম মহিলা যিনি সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেছিলেন। যখন শেহলা জন্মেছিলেন, শেহলার মায়ের একটি ব্যবসা ছিল, এবং শেহলা খুব কাছ থেকে দেখেছিলাম যে একজন মহিলার গৃহস্থালির কাজ পরিচালনা করা এবং পদোন্নতির জন্য একই সাথে বাড়ির বাইরে নিজের কাজ সম্পন্ন করা খুব কঠিন কাজ ছিল।[]

বিতর্ক এবং আইনি প্রক্রিয়া

[সম্পাদনা]

শেহলা ২০০০ সালে ৭-৯ই এপ্রিল বার্লিনের হেনরিচ বুল ফাউন্ডেশন দ্বারা আয়োজিত একটি বৌদ্ধিক এবং সাংস্কৃতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং এই সম্মেলনে ইরানের রাজনৈতিক ও সামাজিক সংস্কার সম্বন্ধে প্রকাশ্যে বিতর্ক করা হয়েছিল। ইরানে ফিরে আসার পর, ইসলামী বিপ্লবী আদালত নারীদের প্রতি ইসলামিক স্টেটের নীতির বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য অন্য ১৮ জন লেখক বুদ্ধিজীবীর সাথে শেহলাকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছিল। জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করার এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ছড়ানোর অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং তিন বছর ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। লাহিজি ২০০০ সালের জুন মাসে জামিনে ৬০০,০০০ ডলার দেওয়ার পর মুক্তি পান। ২০০১ সালে তিনি পেন/বারবারা গোল্ডস্মিথ ফ্রিডম টু রাইট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন, এবং ২০০২ সালের জানুয়ারিতে তার বিচারের পর, তার কারাদন্ড কমিয়ে ছয় মাস করা হয়েছিল, যা ইতিমধ্যেই তিনি ভোগ করে নিয়েছিলেন। মুক্তি পাওয়ার পরেও তিনি কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন এবং তেহরানে বসবাস করছেন।

  • পরিচয়ের খোঁজ : প্রাগৈতিহাসিক ও ইতিহাসে ইরানি মহিলাদের ছবি, সহ-লেখক মেহরাঙ্গিজ কর, ১৯৯২
  • ইরান জাগরণ: এক মহিলার যাত্রা তার জীবন ও দেশ পুনরায় দাবি করার জন্য, সহ-লেখক আজাদেহ মোয়াভেনীর, ২০০৭

সম্মাননা ও পুরস্কার

[সম্পাদনা]
  • ২০০১ পেন/বারবারা গোল্ডস্মিথ ফ্রিডম টু রাইট পুরস্কার
  • ২০০৬ আইপিএ প্রকাশকদের স্বাধীনতা পুরস্কার

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Iranian feminist dissident hopes protests will succeed and stay peaceful"Deutsche Welle (DW) (ব্রিটিশ ইংরেজি ভাষায়)। ১৫ জুন ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২৬ এপ্রিল ২০২১{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: ইউআরএল-অবস্থা (লিঙ্ক)
  2. "Women's Literary & Artistic Creativity in Contemporary Iran. Speakers."The University of Toronto। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  3. 1 2 Loubna H. Skalli (বসন্ত ২০০৬)। "Communicating Gender in the Public Sphere: Women and Information Technologies in the MENA Region" (পিডিএফ): ৩৫–৫৯। ডিওআই:10.1353/jmw.2006.0023। ১১ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে (পিডিএফ) আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০১৪ {{সাময়িকী উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি journal এর জন্য |journal= প্রয়োজন (সাহায্য)
  4. Wendy Kristianasen (২ এপ্রিল ২০০৪)। "Islam's women fight for their rights"Le Monde diplomatique। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৪
  5. https://mronline.org/2008/02/18/interview-with-shahla-lahiji-on-womens-presence-in-the-labor-market-no-vocation-must-be-prohibited-for-women/

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]