শুদ্ধস্বর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শুদ্ধস্বর
অবস্থাসক্রিয়
প্রতিষ্ঠাকাল২০০৪; ২০ বছর আগে (2004)
দেশবাংলাদেশ
সদরদপ্তরনরওয়ে
ওয়েবসাইটshuddhashar.com

শুদ্ধস্বর নরওয়েতে অবস্থিত একটি বাংলাদেশী নির্বাসিত প্রকাশনা সংস্থা। শুদ্ধস্বর ২০১৬ জেরি লেবার ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিডম টু পাবলিশ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। এই পুরস্কার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের প্রকাশকদের দেওয়া হয়, যারা মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর বিধিনিষেধ থাকা সত্ত্বেও মত প্রকাশে নিজেদের সাহসিকতা প্রদর্শন করে।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

২০০০ এর দশকের গোড়ার দিকে একটি প্রকাশনা সংস্থায় রূপান্তরিত হওয়ার আগে ১৯৯০ সালে শুদ্ধস্বর একটি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পত্রিকা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[২] এটির লক্ষ্য ছিলো প্রগতিশীল ধারণা ও সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করা এবং সাহিত্য, শিল্প, সংস্কৃতি, রাজনীতি, সামাজিক ন্যায়বিচার, নারীর অধিকার এবং এলজিবিটি অধিকার সহ বিস্তৃত বিষয়ের উপর বই প্রকাশ করা। ২০১৩ সালে শুদ্ধস্বর বাংলা একাডেমির শহীদ মুনীর চৌধুরী পুরস্কার পেয়েছিলো।[৩] ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর বন্দুক ও চাপাতি সজ্জিত আততায়ীরা শুদ্ধস্বরের প্রকাশক আহমেদুর রশিদ চৌধুরীকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে শুদ্ধস্বরের অফিসে প্রবেশ করে। এই ঘটনায় রশিদ চৌধুরী লেখক রণদীপম বসু এবং ব্লগার তারেক রহিমের সাথে আহত হওয়া সত্ত্বেও বেঁচে যান।[৪] ভারতীয় উপমহাদেশে আল-কায়েদার একটি শাখা আনসার আল ইসলাম হামলার দায় স্বীকার করে।[৩] হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর, রশিদ চৌধুরী তার পরিবারের সাথে নির্বাসনে বাধ্য হন এবং ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নরওয়েতে আশ্রয় পান।[৫] ২০১৭ সালে শুদ্ধস্বর একটি অনলাইন পত্রিকা এবং প্রকাশনা হিসাবে পুনরায় কাজ শুরু করে[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Bangladeshi Publisher Wins US-based Award for Courage"VOA (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০৫-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-২৮ 
  2. "Shuddhashar - from publishing house to online magazine and publication"ICORN international cities of refuge network (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-২৮ 
  3. "Tutul wins PEN Int'l Writer of Courage award"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-১০-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-২৮ 
  4. "Attackers said they came to kill publisher Tutul: Witness"bdnews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-২৮ 
  5. "Margaret Atwood selects Tutul for Pen writer of courage award"The Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-১০-১৩। আইএসএসএন 0261-3077। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-২৮ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]