শিশাপাংমা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শিশাপাংমা
পর্বতের উপরিভাগ থেকে শিশাপাংমা (বাঁদিকে)
সর্বোচ্চ বিন্দু
উচ্চতা৮,০২৭ মিটার (২৬,৩৩৫ ফুট) [১][২][৩][৪]
১৪তম
সুপ্রত্যক্ষতা২,৮৯৭ মিটার (৯,৫০৫ ফুট) [৫]
১১১তম
বিচ্ছিন্নতা৯১ কিমি (৫৭ মা) উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
তালিকাভুক্তিআট-হাজারী পর্বতশৃঙ্গ
উল্ট্রা
ভূগোল
শিশাপাংমা তিব্বত-এ অবস্থিত
শিশাপাংমা
শিশাপাংমা
তিব্বত
অবস্থাননায়ালাম কাউন্টি, তিব্বত, গণচীন
মূল পরিসীমাযুগল/লাংটাং হিম, হিমালয় পর্বতমালা
আরোহণ
প্রথম আরোহণ২ মে ১৯৬৪ (চীনা শু চিং ও অন্যান্য কর্তৃক)
(প্রথম শীতকালীন আরোহণ ১৪ জানুয়ারি ২০০৫ (পিওতর মোরাভ্‌স্কিসিমোন মোরো কর্তৃক)
সহজ পথতুষার/বরফ আরোহণ
শিশাপাংমা
চীনা নাম
সরলীকৃত চীনা 高僧赞峰
বিকল্প চীনা নাম
ঐতিহ্যবাহী চীনা 希夏幫馬峰
তিব্বতি নাম
তিব্বতি ཤི་ཤ་སྦང་མ།
নেপালি নাম
নেপালিशिशापाङ्मा Shishāpāngmā or गोसाईथान Gōsāīthān

শিশাপাংমা,[৭][৮] গোসাইন্থান নামেও ডাকা হয়, পৃথিবীর ১৪তম সর্বোচ্চ পর্বত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ৮০১৩ মিটার (২৬,২৮৯ ফুট)। আট-হাজার মিটারের চেয়ে উঁচু পর্বতগুলির মধ্যে এটি সর্বনিম্ন উচ্চতার পর্বত। কিন্তু ঐ দলের সব পর্বতের মধ্যে এটির চূড়াই সবচেয়ে দেরীতে আরোহণ করা হয়। পর্বতটির পুরোটাই তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের মধ্যে পড়েছে বলে এবং চীন সরকার বিদেশী নাগরিকদের উপর তিব্বত ভ্রমণের ব্যাপারে কড়া বিধিনিষেধ জারি করার কারণে এই বিলম্ব ঘটে।

মে ২,১৯৬৪ সালে সর্বপ্রথম একদল চীনা অভিযাত্রী এর শীর্ষে আরোহণ করেন।[৯]

নামকরণ[সম্পাদনা]

ভূতাত্ত্বিক টনি হ্যাগেন শিশাপাংমা নামের ব্যাখ্যা প্রদান করেন, যেখানে স্থানীয় তিব্বতীয় উপভাষায় এর অর্থ হল "চিরুনী" বা কোন "সীমা"র (শিশা বা চিসা) উপর "ঘাস আচ্ছাদিত সমভূমি" বা তৃণভূমি (পাংমা)। ফলে শব্দটির অর্থ দাঁড়ায় ঘাস আচ্ছাদিত সমভূমির উপর চূড়া।[১০][১১]

এই পর্বতের সংস্কৃত নাম হল গোসাইন্থান, যার অর্থ "সাধুদের আবাসস্থল" বা "প্রভুর বাসস্থল"।[৯]

ভূগোল[সম্পাদনা]

শিশাপাংমা নেপাল সীমান্ত থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ-মধ্য তিব্বতে অবস্থিত। এটি একমাত্র আট-হাজারী পর্বতশৃঙ্গ যা সম্পূর্ণ চীনা অঞ্চলে অবস্থিত। এটি যুগল হিমের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ ও লাংটাং হিমের লাগোয়া শৃঙ্গ এবং প্রায়ই এর অংশ বলে বিবেচনা করা হয়।[১২]

পাদটীকা এবং তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Shishapangma"। Peakbagger.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-২৪ 
  2. "青藏高原的伟大崛起" (ইংরেজি ভাষায়)। China National Geographic। অক্টোবর ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-২৪ 
  3. "Shisha Pangma" (ইংরেজি ভাষায়)। 8000ers.com। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-২৪ 
  4. "Shisha Pangma" (ইংরেজি ভাষায়)। summitpost.org। মার্চ ৭, ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-২৪ 
  5. "High Asia II: Himalaya of Nepal, Bhutan, Sikkim and adjoining region of Tibet" (ইংরেজি ভাষায়)। Peaklist.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৫-২৯ 
  6. "Shisha Pangma on Peakware" (ইংরেজি ভাষায়)। ২ জানুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১০ 
  7. Potterfield, Peter; Viesturs, Ed; Breashears, David (2009). Himalayan Quest: Ed Viesturs Summits All Fourteen 8,000-Meter Giants. National Geographic. p.137 আইএসবিএন ১-৪২৬২-০৪৮৫-X.
  8. Spelled "Shisha Pangma" in Messner, Reinhold (1999). All 14 eight-thousanders. Mountaineers Books. p.105. আইএসবিএন ০-৮৯৮৮৬-৬৬০-X.
  9. Baume, 1979, op. cit. pp 130-134
  10. Dyhrenfurth, Günther. O.; Dyhrenfurth, Norman (১৯৭৭)। "Shisha Pangma"। Mountain (ইংরেজি ভাষায়)। Youth Hostels Association (England & Wales) (53–64): 47। 
  11. Baume, Louis (১৯৭৯)। Sivalaya: explorations of the 8000-metre peaks of the Himalaya (ইংরেজি ভাষায়)। Seattle: The Mountaineers। পৃষ্ঠা 131–132। আইএসবিএন 0-916890-71-6 
  12. Carter, H. Adams (1985). "Classification of the Himalaya" (PDF). American Alpine Journal. American Alpine Club. 27 (59): 122–3.

উদ্ধৃতি ত্রুটি: <references>-এ সংজ্ঞায়িত "aaj_1985" নামসহ <ref> ট্যাগ পূর্ববর্তী লেখায় ব্যবহৃত হয়নি।
উদ্ধৃতি ত্রুটি: <references>-এ সংজ্ঞায়িত "alpinist_11" নামসহ <ref> ট্যাগ পূর্ববর্তী লেখায় ব্যবহৃত হয়নি।
উদ্ধৃতি ত্রুটি: <references>-এ সংজ্ঞায়িত "bild" নামসহ <ref> ট্যাগ পূর্ববর্তী লেখায় ব্যবহৃত হয়নি।
উদ্ধৃতি ত্রুটি: <references>-এ সংজ্ঞায়িত "climbing_2011" নামসহ <ref> ট্যাগ পূর্ববর্তী লেখায় ব্যবহৃত হয়নি।
উদ্ধৃতি ত্রুটি: <references>-এ সংজ্ঞায়িত "double8" নামসহ <ref> ট্যাগ পূর্ববর্তী লেখায় ব্যবহৃত হয়নি।

উদ্ধৃতি ত্রুটি: <references>-এ সংজ্ঞায়িত "himspeed_2011" নামসহ <ref> ট্যাগ পূর্ববর্তী লেখায় ব্যবহৃত হয়নি।

গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]