শিল্ডিং প্রভাব

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

আচ্ছাদন প্রভাব বা আবরনী ক্ষমতা[১] (শিল্ডিং প্রভাব বা স্ক্রিনিং প্রভাব) (অথবা পারমাণবিক ঢালের প্রভাব বা ইলেকট্রন ঢালের প্রভাব) কে ব্যাখ্যা করতে গেলে এভাবে বলা যায়- একাধিক ইলেকট্রনের জন্য ইলেকট্রননিউক্লিয়াসের মধ্যবর্তী আকর্ষণ যা ব্যাখ্যা করে। ইলেকট্রনের সাথে ইলেকট্রনের আকর্ষণের কারণে ইলেকট্রন মেঘে কার্যকরী নিউক্লিয়ার চার্জের যে ঘাটতি তা ব্যাখ্যা করতে এই প্রভাব কার্যকরী ভূমিকা রাখে। তড়িৎ ক্ষেত্র স্ক্রিনিং এর একটি বিশেষ অবস্থা হল এই প্রভাব ।

প্রতি ইলেকট্রন শক্তিস্তরের জন্য শক্তি[সম্পাদনা]

ইলেকট্রন শক্তিস্তর যত বড় হবে, একটি ইলেকট্রনের সাথে ঐ পরমাণুর আরেকটি ইলেকট্রনের বাধা তত দূর্বল হবে। সাধারণভাবে ইলেকট্রনের শক্তিস্তরগুলো (s,p,d,f) সাজালে,

এখানে S হচ্ছে স্ক্রিনিং শক্তি যা একটি নির্দিষ্ট ইলেকট্রন অন্যসকল ইলেকট্রনকে প্রয়োগ করে।

বিবরণ[সম্পাদনা]

হাইড্রোজেন বা পর্যায় সারণির গ্রুপ 1A এর যেকোনো পরমাণুর (যাদের কেবলমাত্র একটি যোজনী ইলেকট্রন আছে) জন্য এই বাধা নিউক্লিয়াস থেকে তড়িৎ চুমকীয় বাধার মতই শক্তিশালী হয়। যদিও যখন একের অধিক ইলেকট্রন নিয়ে চিন্তা করা হয় প্রতিটি ইলেকট্রন (n-তম শক্তিস্তরে) নিউক্লিয়াস থেকে তড়িৎ চুমকীয় বাধা ছাড়াও ১ থেকে n কক্ষপথে অবস্থিত ইলেকট্রন কর্তৃক বাধাপ্রাপ্ত হয়। এর ফলে ইলেকট্রন যত বাইরের কক্ষপথে থাকে নীট বল তত কম হয়; এর ফলে নিউক্লিয়াসের কাছাকাছি যে সকল ইলেকট্রনগুলো অবস্থান করে সেগুলো নিউক্লিয়াসের সাথে বেশি মজবুত বন্ধনে আবদ্ধ থাকে এবং যে সকল ইলেকট্রন নিউক্লিয়াস থেকে দূরে থাকে তারা নিউক্লিয়াসের সাথে দূর্বল বন্ধনে আবদ্ধ থাকে।

এছাড়াও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. মুখোপাধ্যায়, কানাইলাল (১৯৩৬)। রসায়নের পরিভাষা। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুস্তক পর্ষদ। পৃষ্ঠা ২২৮।