শাহপরীর দ্বীপ
শাপরী, শাহপরী, শাহপরীর,[১] শাহপুরা,[২] বা শিনমাব্যু দ্বীপ (বর্মী: ရှင်မဖြူကျွန်း) নাফ নদীর মোহনায় বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে অবস্থিত। প্রথম ইংরেজ-বর্মী যুদ্ধের সময় ব্রিটিশরা এই দ্বীপের দাবি করে।[৩] শাহপরীর দ্বীপ টেকনাফের সর্ব দক্ষিণে ভূ-ভাগের খুবই নিকটবর্তী একটি দ্বীপ, যা টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নে অবস্থিত এবং টেকনাফ উপজেলার উপদ্বীপ পর্যন্ত বিস্তৃত।[১] শাহপরীর দ্বীপের বাম পাশে নাফ নদী বয়ে গেছে যা বাংলাদেশকে মিয়ানমার থেকে বিভাজন করেছে।
নামকরণ
[সম্পাদনা]এর নামকরণ সম্পর্কে কেউ বলেন সম্রাট শাহ সুজার ‘শাহ’ আর তার স্ত্রী পরীবানুর ‘পরী’ মিলিয়ে নামকরণ হয়েছিল এই দ্বীপের,[৪] কারো মতে ‘শাহ ফরিদ’ আউলিয়ার নামে দ্বীপের নাম করণ হয়েছে। অপরদিকে অষ্টাদশ শতাব্দীর কবি সা’বারিদ খাঁ’র ‘হানিফা ও কয়রাপরী’ কাব্য গ্রন্থের অন্যতম চরিত্র ‘শাহপরী’। রোখাম রাজ্যের রাণী কয়রাপরীর মেয়ে শাহপরীর নামেই দ্বীপের নামকরণ হয়েছে বলেও অনেকে বলেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
আয়তন ও জনসংখ্যা
[সম্পাদনা]স্বাধীনতার আগে শাহপরীর দ্বীপের আয়তন ছিল দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১০ কিলোমিটার। বর্তমানে তা ছোট হয়ে দৈর্ঘ্য ৪ কিলোমিটার ও প্রস্থ ৩ কিলোমিটারে দাঁড়িয়েছে।[৫] বর্তমানে এই দ্বীপের জনসংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার।[৬]
যোগাযোগ
[সম্পাদনা]সড়কপথে কক্সবাজার থেকে টেকনাফ ৮৯ কিলোমিটার এবং টেকনাফ থেকে শাহপরীর দ্বীপের দূরত্ব ১৩ দশমিক ৭০ কিলোমিটার। প্রতিদিন পালকি বাস, সৈকত বাস, ঝিনুক ইত্যাদি পরিবহন ও চাঁদের গাড়ি ব্যবহার করে নিয়মিত দেশবিদেশের পর্যটকরা যাতায়াত করেন।
চিত্রশালা
[সম্পাদনা]-
ঘোলার পাড়া
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ মো. মঈন উদ্দীন (২০১২)। "টেকনাফ উপজেলা"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
- ↑ Tucker, S.C. (২০০৯), A Global Chronology of Conflict: From the Ancient World to the Modern Middle East [6 volumes]: From the Ancient World to the Modern Middle East, ABC-CLIO, পৃষ্ঠা ১১৪২, আইএসবিএন 9781851096725
- ↑ Dorothy Woodman (১৯৬২)। The Making of Burma (1 সংস্করণ)। London: The Cresset Press। পৃষ্ঠা 60।
- ↑ "কাতারে কীর্তিমান বাংলাদেশি"। www.prothom-alo.com। ২০১৩-০১-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০১-০২।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৯ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৩।
- ↑ "সড়ক পথে যাওয়া যাবে শাহপরীর দ্বীপ"। banglatribune.com। ২০১৮-১১-০৯। ২০১৯-১১-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-০৫।