শার্ল-মিশেল দ্য লেপে
আবে (মঠাধ্যক্ষ) শার্ল-মিশেল দ্য লেপে Abbé Charles-Michel de l'Épée | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ২৩ ডিসেম্বর ১৭৮৯ | (বয়স ৭৭)
মাতৃশিক্ষায়তন | কোলেজ দে কাত্র নাসিওঁ, প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয় |
মঠাধ্যক্ষ শার্ল-মিশেল দ্য লেপে (ফরাসি: Charles-Michel de l'Épée; আ-ধ্ব-ব: [ʃaʁlmiʃɛl dəlepe]; ২৪শে নভেম্বর ১৭১২, ভার্সাই- ২৩শে ডিসেম্বর ১৭৮৯, প্যারিস) ১৮শ শতকের ফ্রান্সের একজন পরহিতৈষী শিক্ষাবিদ ছিলেন। তিনি “বধিরদের পিতা” নামে পরিচিত।[১]
শার্ল-মিশেল দ্য লেপে-র কাজের আগে বিভিন্ন সংস্কৃতিতে ধারণা করা হত যে বধিরদেরকে ঠিক করে শিক্ষাদান সম্ভব নয়। বধিরদের শিক্ষাদানে নিয়োজিত যেসব শিক্ষক ছিলেন, তারা কেবল ধনী পরিবারের জন্যই কাজ করতেন। ১৮শ শতকের মধ্যভাগে শার্ল-মিশেল দ্য লেপে ফরাসি শব্দগুলিকে হাতের আঙ্গুলের ইশারার মাধ্যমে বর্ণ দিয়ে বানান করে করে দেখানোর একটি ব্যবস্থা উদ্ভাবন করেন। এই ব্যবস্থাতে শুধু একক বর্ণ নয়, অনেক সামগ্রিক ধারণাও সহজ ইশারার মাধ্যমে দেখানো যেত। এপে-র এই ব্যবস্থাটিই বিবর্তিত হয়ে পরবর্তীতে ফরাসি ইশারা ভাষার উদ্ভব হয়, যা এখনও ফ্রান্সে প্রচলিত। আবার এই ফরাসি ইশারা ভাষাকে অনুকরণ করে অন্যান্য জাতীয় ভাষাসমূহের ইশারা ভাষাগুলি (যেমন মার্কিন ইংরেজি ইশারা ভাষা) তৈরি করা হয়। লেপে ১৭৬০-এর দশকের শুরুতে বধিরদের জন্য বিশ্বের সর্বপ্রথম বিনামূল্যের বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন, যার নাম ছিল "আঁস্তিত্যু নাসিওনাল দ্য জ্যন সুর দ্য পারি" (ফরাসি ভাষায় Institut National de Jeunes Sourds de Paris, "প্যারিস জাতীয় তরুণ বধির ইন্সটিটিউট")।
শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান
[সম্পাদনা]এপের আগে অন্যান্য বিভিন্ন দেশের শিক্ষাবিদেরা বধিরদের শিক্ষাদানের জন্য তাদের নিজস্ব ব্যবস্থা প্রয়োগ করলেও এপে-র প্রণীত ব্যবস্থাটি সবকিছু বদলে দেয়। তিনি বধিরদের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে প্রচলিত ইশারার ভাষাকে একটি নিয়মাবদ্ধ ও রীতিসম্মত ভাষায় রূপান্তরিত করেন, যার মূলনীতিগুলি বিশ্বজনীনভাবে প্রয়োগ করা যায়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Jean-René Presneau, Signes et institution des sourds, টেমপ্লেট:XVIIIe-টেমপ্লেট:XIXe siècle, Champ Vallon, 1998, p. 95