শামসুল আলম খান মিলন
শামসুল আলম খান মিলন | |
|---|---|
| জন্ম | ২১ আগস্ট ১৯৫৭ |
| মৃত্যু | ২৭ নভেম্বর ১৯৯০ (বয়স ৩৩) |
| মৃত্যুর কারণ | হত্যা করা |
| সমাধি | ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ প্রাঙ্গন |
| জাতীয়তা | বাংলাদেশি |
| মাতৃশিক্ষায়তন | ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ |
| পেশা | চিকিৎসক, একাডেমিক |
শামসুল আলম খান মিলন সাধারণত শহীদ ডাঃ মিলন নামে পরিচিত, একজন বাংলাদেশী চিকিৎসক এবং আন্দোলন কর্মী ছিলেন। তিনি ২৭ নভেম্বর ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থানের তৎকালীন সামরিক স্বৈরাচার শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ক্যাডারদের দ্বারা নিহত হন।[১] ১৯৯১ সাল থেকে তার স্মৃতি স্মরণ করার জন্য প্রতি বছর তার মৃত্যু দিবসটিকে শহীদ ড. মিলন দিবস হিসেবে পালন করা হয়।[২][৩]
প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা
[সম্পাদনা]মিলন ১৯৫৭ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকার নটরডেম কলেজ থেকে ১৯৭৩ সালে এসএসসি এবং ১৯৭৫ সালে এইচএসসি পাস করেন। এরপর তিনি মেডিসিন পড়ার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। তিনি ১৯৮৩ সালে এমবিবিএস পাস করেন।[৪][৫] তিনি ১৯৮৮ সালে বায়োকেমিস্ট্রিতে এম.ফিল সম্পন্ন করেন।[৬]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]মিলন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফিজিওলজি অ্যান্ড বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন।[৬] মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ওই পদে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।[৭] তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন।[৮]
মৃত্যু
[সম্পাদনা]১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থান যখন তুমুল আকার ধারণ করেছে, তখন ২৭ নভেম্বর, ১৯৯০ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির কাছে তৎকালীন সামরিক স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বন্দুকধারীদের হাতে মিলন নিহত হন।[৩] সেদিন মিলন, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের সাথে রিকশায় করে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে একটি সভায় যোগ দিতে তৎকালীন আইপিজিএমআর-এর দিকে যাচ্ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি পার হওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন মিলন। দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।[৪][৯]
মৃত্যুর প্রভাব
[সম্পাদনা]মিলনের মৃত্যু স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের মধ্যে ব্যাপক বিদ্রোহের সূচনা করে। এটি সামরিক শাসক কাম রাজনীতিবিদ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে ৬ ডিসেম্বর, ১৯৯০-এ, মিলনের হত্যার মাত্র কয়েকদিন পর ক্ষমতাচ্যুত করে।[১০][১১] এছাড়াও তার নামে রয়েছে:
- মিলনের স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে নির্মিত হয়েছে "নিঝুম" নামে স্মৃতিস্তম্ভ।[১২]
- তার স্মরণে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ইন্টার্নি ডাক্তারদের হোস্টেলের নামকরণ করা হয় ‘শহীদ ডা. মিলন ইন্টার্নি হোস্টেল’ এবং ছাত্রীদের একটি হলের নাম রাখা হয় 'ডা. মিলন হল'।
মিলন দিবস
[সম্পাদনা]
১৯৯১ সাল থেকে বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল প্রতি বছর তার মৃত্যু দিবসটিকে শহীদ ড. মিলন দিবস হিসেবে পালন করা হয়।[২][৩]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Political parties, student organizations pay tribute to Dr Milon"। ঢাকা ট্রিবিউন। ২৭ নভেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০২০।
- 1 2 "Shaheed Dr Milon Day today"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২৭ নভেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০২০।
- 1 2 3 "Shaheed Dr Milon Day today"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২৭ নভেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০২০।
- 1 2 বৃহস্পতিবার শহীদ ডা. মিলন দিবস। banglanews24.com। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০২০।
- ↑ ডা. মিলন হত্যার বিচার কোনো সরকারের আমলেই হয়নি, জানালেন মিলনের মা। Amadernotun Shomoy। ২৬ নভেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০২০।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- 1 2 নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থান ও শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন। Kaler Kantho। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০২০।
- ↑ "Shaheed Dr Milon Day today"। The Financial Express (ইংরেজি ভাষায়)। Dhaka। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০২০।
- ↑ "Shaheed Dr Milon Day observed"। Daily Sun (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০২০।
- ↑ শহীদ ডা. মিলনের নিঝুম মুখচ্ছবি। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম (Opinion)। ২৭ নভেম্বর ২০১৯। ১৪ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০২০।
- ↑ "Dr Milon Day today"। New Age (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০২০।
- ↑ "Dr Milon an 'unforgettable person' in history: president"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০২০।
- ↑ জনকণ্ঠ, ২৭ নভেম্বর ২০১১[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]