শান্তি হীরানন্দ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শান্তি হীরানন্দ
শান্তি হীরানন্দ
জন্ম১০ (1933)
মৃত্যু১০ এপ্রিল ২০২০(2020-04-10) (বয়স ৮৬)
পেশাশাস্ত্রীয় গায়ক
পরিচিতির কারণহিন্দুস্তানি সংগীত
পুরস্কারপদ্মশ্রী (২০০৭)

শান্তি হিরানন্দ (১৯৩২ - ১০ এপ্রিল ২০২০) একজন ভারতীয় কণ্ঠশিল্পী, শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী, লেখক এবং গজল গায়ক হিসাবে তাঁর দক্ষতার জন্য খ্যাতিমান ছিলেন । তিনি ছিলেন প্রখ্যাত গজল সংগীতশিল্পী বেগম আক্তারের জীবনী অবলম্বনে বেগম আক্তার: দ্য স্টোরি অফ মাই আম্মি বইটির লেখক ছিলেন।

জীবনী[সম্পাদনা]

১৯৩৩ সালে লখনৌতে (বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে অবস্থিত ) সিন্ধি ব্যবসায়ী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শান্তি হিরানন্দ লখনৌর ভাটখণ্ডে সংগীত ইনস্টিটিউটে শিক্ষা গ্রহণ করেছেন। পরে যখন তার বাবা ১৯৪০-এর দশকে তার ব্যবসার স্থান পরিবর্তন করেন তিনি লাহোরে চলে আসেন। [১][২]

১৯৪৭ সালে অল ইন্ডিয়া রেডিও লাহোরে তাঁর প্রথম সংগীতের অনুষ্ঠান ছিল। যখন তার পরিবার ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পরে ভারতে ফিরে এসেছিল, তখন তিনি রামনপুরের ওস্তাদ আইজাজ হুসেন খানের অধীনে লখনৌতে তাঁর সংগীত প্রশিক্ষণ চালিয়ে যান। [২][৩] ১৯৫২ সালে একটি রেডিও স্টেশনের একজন কর্মকর্তা তাকে বেগম আক্তারের অধীনে প্রশিক্ষণের পরামর্শ দেন। [১] ১৯৫৭ সালে তিনি বেগম আখতারের অধীনে ঠুংরি, দাদরা এবং গজল গাওয়ার প্রশিক্ষণ শুরু করেন এবং এই সম্পর্ক ১৯৭৮ সালে বেগম আখতারের মৃত্যু অবধি চলতে থাকে; তাদের এই সম্পর্কের কাহিনীটি হীরানন্দ লিখিত বই, বেগম আক্তার: দ্য স্টোরি অফ মাই আম্মি, ২০০৫ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। [৪]

২০০৭ সালে ভারত সরকার হিন্দুস্তানী সংগীতে তার অবদানের জন্য তাকে চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান, পদ্মশ্রীতে ভূষিত করে[৫] তার কিছু উপস্থাপনা সংকলিত হয়েছে এবং একটি অডিও সিডি হিসাবে প্রকাশিত হয়েছে, মিউসিক টুডে দ্বারা এক্সপ্রেসান অফ মিউসিক । তিনি লখনউতে থাকতেন এবং গায়ক বেগম আখতারের স্মরণে আখতারের লখনউয়ের বাড়িটিকে যাদুঘরে রূপান্তরিত করতে তার ভক্ত দল, বেগম আক্তার অ্যাডমায়ারার গ্রুপের (বিএএজি ট্রাস্ট) প্রচেষ্টার সাথে যুক্ত ছিলেন। [৬] তিনি তার জীবনের শেষ দশকগুলিতে দিল্লির ত্রিবেণী কলা সংগমে সংগীত শিখিয়েছিলেন। [২]

২০২০ সালের ১০ এপ্রিল শান্তি হীরানন্দ ভারতের গুরুগ্রামে মারা যান। [৭]

গ্রন্থ-পঁজী[সম্পাদনা]

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Kidwai, Saleem (২০২০-০৪-১০)। "With the passing of Shanti Hiranand, the Begum Akhtar era is formally over"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১১ 
  2. "Ghazal singer Shanti Hiranand, torchbearer of Begum Akhtar's legacy, passes away"The Indian Express (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৪-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১১ 
  3. "Explaining nuances of ghazals the begum Akhtar way"। Times of India। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০১৬ 
  4. "Looking into the mirror"The Hindu। ১৯ মার্চ ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০১৬ 
  5. "Padma Awards" (পিডিএফ)। Ministry of Home Affairs, Government of India। ২০১৬। ১৫ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১৬ 
  6. "In memory of Begum Akhtar"। Times of India। ১৬ জানুয়ারি ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০১৬ 
  7. "Hindustani classical singer and Padma Shri awardee, Shanti Hiranand, passes away at 87"The Economic Times। ২০২০-০৪-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১১