শান্তি মল্লিক
ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | শান্তি মল্লিক | ||
জন্ম | ১৯৬৪[১] | ||
জন্ম স্থান | কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত | ||
মাঠে অবস্থান | আক্রমণভাগের খেলোয়াড় | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
বাংলা | |||
জাতীয় দল | |||
১৯৮০–১৯৮৬ | ভারত | ||
পরিচালিত দল | |||
১৯৯৬-১৯৯৭ | বাংলা | ||
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে |
শান্তি মল্লিক হলেন একজন ভারতীয় প্রাক্তন মহিলা ফুটবলার যিনি ভারতের মহিলা জাতীয় ফুটবল দলের একজন আক্রমণভাগের খেলোয়াড় (ফরোয়ার্ড) হিসাবে খেলেছেন।[২][৩][৪][৫] শান্তি হলেন প্রথম ভারতীয় মহিলা ফুটবলার যিনি অর্জুন পুরস্কার পেয়েছেন, এটি ভারত সরকার প্রদত্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভারতীয় ক্রীড়া পুরস্কার।[১][৬]
প্রাথমিক জীবন
[সম্পাদনা]শান্তির জন্ম পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার কালীঘাট অঞ্চলে।[১] তাঁর বাবাও একজন ফুটবলার ছিলেন, এবং তিনি সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন। শান্তি যখন ফুটবল খেলতে চাইলেন, তাঁর পরিবার থেকে কোন আপত্তি না এলেও আত্মীয় স্বজন এবং প্রতিবেশীদের কাছ থেকে বাধা এসেছিল।[৭]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]ফুটবল
[সম্পাদনা]শান্তি এএফসি মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। তাঁর দল এএফসি মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপে ১৯৭৯ এবং ১৯৮৩ সালে ফাইনালে পৌঁছেছিল। দুবারই তাঁরা রানার্স-আপ হয়েছিলেন।[৮][৯][১০] তিনি কিংবদন্তি সুশীল ভট্টাচার্য পরিচালিত জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন।[১১][১২] তাঁর দল ১৯৮১ সালে তৃতীয় স্থানে শেষ করেছিল। তিনি ১৯৮১ থেকে ১৯৮৩ সালের মধ্যে ভারতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন। মল্লিক ছিলেন প্রথম মহিলা ফুটবলার যিনি ১৯৮১ সালে এএফসি মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপে সিঙ্গাপুরের বিরুদ্ধে ৫ - ০ জয়ে ভারতের হয়ে হ্যাটট্রিক করেছিলেন।[২][১৩]
অবসর নেওয়ার পর, তিনি একটি ফুটবল একাডেমি শুরু করেন এবং সেখানে যুব মহিলা ফুটবলারদের প্রশিক্ষণ দেন।[২][৪]
ফিল্ড হকি
[সম্পাদনা]ইস্টার্ন রেলওয়েতে চাকরি করার সময় শান্তি ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত ফিল্ড হকিও খেলেছেন।[১][৪] প্রকৃতপক্ষে হকি খেলার জন্যই স্পোর্টস কোটায় তিনি চাকরি পেয়েছিলেন।[১৪]
সম্মান
[সম্পাদনা]খেলোয়াড়
[সম্পাদনা]ভারত
- এএফসি মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপ রানার্স আপ: ১৯৭৯, ১৯৮৩ ; তৃতীয় স্থান: ১৯৮১
ম্যানেজার
[সম্পাদনা]বাংলা
স্বতন্ত্র
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ ঙ Biswas, Sudipta (১৪ অক্টোবর ২০১৯)। "Shanti Mullick: A Rebel Who Embraces Hardships"। Delhi Post News। ১৯ জুলাই ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০২২।
- ↑ ক খ গ Bontra, Soumya (৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২)। "'Who will tell our story?': Shanti Mullick, the woman who took India to two AFC Cup finals"। The Bridge। ১৭ আগস্ট ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০২২।
- ↑ Rathod, Kalwyna (২ নভেম্বর ২০২০)। "Meet Shanti Mallick, India's First Female Footballer Arjuna Awardee"। Femina। ১৭ আগস্ট ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০২২।
- ↑ ক খ গ Raghunandan, Vaibhav (২৯ জানুয়ারি ২০২২)। "Shanti Mullick: A Mystical Passer in a Physical World Indian Women's Football History Special Series"। Newscllick। ১৭ আগস্ট ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০২২।
- ↑ Media Team, AIFF (১৫ আগস্ট ২০২২)। "Indian Football Down the Years: Looking back at the glorious moments"। www.the-aiff.com (ইংরেজি ভাষায়)। All India Football Federation। ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০২২।
- ↑ Nag, Utathya (২৪ মার্চ ২০২২)। "Beacons who lit the way for women's football in India"। Olympics। ২০ মার্চ ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০২২।
- ↑ Bontra, Soumya (২০২২-০১-১২)। "Meet Shanti Mullick the woman who took India to two finals"। thebridge.in (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-২৬।
- ↑ "Women's Asian Cup - When hosts India grabbed the silver medal in 1979"। Goal.com। ১৪ জুন ২০২০। ১৯ জুলাই ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০২২।
- ↑ Raghunandan, Vaibhav (১৪ জানুয়ারি ২০২২)। "Trailblazers go down memory lane as India hosts AFC Women's Asian Cup"। Business Standard। ২০ জুলাই ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০২২।
- ↑ Das, Debasmita (১৪ মে ২০১৯)। "ইস্টবেঙ্গলের প্রথম পেশাদার কোচ, না পাওয়ার বাস্তবে এ এক অন্য তথ্যচিত্র!"। bengali.indianexpress.com। The Indian Express। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০২২।
- ↑ Mitra, Atanu (১৯ জুলাই ২০১৫)। "Legendary Indian coach Sushil Bhattacharya passes away"। www.goal.com। Goal। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুলাই ২০১৫।
- ↑ "ইস্টবেঙ্গলের প্রথম কোচ প্রয়াত"। www.anandabazar.com। Anandabazar Patrika। ১৯ জুলাই ২০১৫। ১৬ আগস্ট ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০২২।
- ↑ Shreekumar, S.S. (২০২০)। The Best way forward: for India's Football। HSRA। আইএসবিএন 978-81-947216-9-7। ২০২২-০৮-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-১৪।
- ↑ "Shanti Mullick: A Mystical Passer in a Physical World | Indian Women's Football History Special Series"। NewsClick (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০১-২৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-২৬।
- ↑ "LIST OF ARJUNA AWARD WINNERS - Football | Ministry of Youth Affairs and Sports"। yas.nic.in। Ministry of Youth Affairs and Sports। ২৫ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০০৭।
- ↑ "List of Arjuna Awardees (1961–2018)" (পিডিএফ)। Ministry of Youth Affairs and Sports (India)। ১৮ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- ↑ Chaudhuri, Arunava (২০০০)। "National Award winning Footballers"। indianfootball.de। IndianFootball। ১ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০১৯।
গ্রন্থপঞ্জি
[সম্পাদনা]- শ্রীকুমার, এস.এস. (২০২০)। দ্য বেস্ট ওয়ে ফরোয়ার্ড: ফর ইণ্ডিয়া'স ফুটবল। এইচএসআরএ। আইএসবিএন 978-81-947216-9-7।
- কাপাডিয়া, নোভি (২০১৭)। বেয়ারফুট টু বুটস: দ্য মেনি লাইভস অফ ইণ্ডিয়ান ফুটবল। পেঙ্গুইন র্যান্ডম হাউস। আইএসবিএন 978-0-143-42641-7।
- মার্টিনেজ, ডলোরেস; মুখার্জিম, প্রজিত বি (২০০৯)। ফুটবল: ফ্রম ইংল্যাণ্ড টু দ্য ওয়ার্ল্ড: দ্য মেনি লাইভস অফ ইণ্ডিয়ান ফুটবল। রুটলেজ। আইএসবিএন 978-1-138-88353-6। ২ জুলাই ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- নাথ, নির্মল (২০১১)। হিস্ট্রি অফ ইণ্ডিয়ান ফুটবল: আপটু ২০০৯–১০। রিডার্স সার্ভিস। আইএসবিএন 9788187891963। ২২ জুলাই ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- টেইলর অ্যান্ড ফ্রান্সিস: সকার অ্যাণ্ড সোসাইটি (২০০৫)। দ্য জেন্ডারড কিক: উইমেন'স সকার ইন টুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ইণ্ডিয়া, সকার অ্যাণ্ড সোসাইটি, ৬:২–৩, ২৭০–২৮৪, DOI: 10.1080/14660970500106469.