শরৎকুমারী চৌধুরাণী
শরৎকুমারী চৌধুরাণী | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ১১ এপ্রিল ১৯২০ | (বয়স ৫৮)
পেশা | বাঙালি লেখিকা |
দাম্পত্য সঙ্গী | অক্ষয়চন্দ্র চৌধুরী |
পিতা-মাতা | শশিভূষণ বসু (পিতা) |
শরৎকুমারী চৌধুরাণী ( ১৫ জুলাই , ১৮৬১ - ১২ এপ্রিল , ১৯২০) ছিলেন ঠাকুরবাড়ির বিশেষ ঘনিষ্ঠ ও ভারতীয় সম্পাদকীয় গোষ্ঠীর অন্তর্গত বাঙালি লেখিকা।[১]
সংক্ষিপ্ত জীবনী
[সম্পাদনা]শরৎকুমারীর জন্ম ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দের ১৫ জুলাই বৃটিশ ভারতের বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার ব্যারাকপুরের চাণকে তার মাতুলালয়ে। পিতা শশীভূষণ বসুর কর্মস্থল ছিল লাহোর। সেখানে তিন বৎসর বয়সে স্থানীয় বঙ্গবিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং ছয় বৎসর বয়সে লাহোর ইউরোপিয়ান স্কুলে শিক্ষাপ্রাপ্ত হন। হাওড়া আন্দুলের বিখ্যাত চৌধুরী পরিবারের অ্যাটর্নি অক্ষয়চন্দ্র চৌধুরীর সাথে ১৮৭১ খ্রিস্টাব্দের ১২ ই মার্চ তার বিবাহ হয়। স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই ঠাকুর পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল। রবীন্দ্রনাথ তাঁকে "লাহোরিণী" বলে উল্লেখ করতেন। ভারতীর সম্পাদকীয় গোষ্ঠীতে উভয়েরই উৎসাহী সভ্য এবং মাতৃভাষার পরম অনুরাগী ছিলেন। 'ভারতী', 'ভারতী ও বালক', 'সাধনা', 'ভান্ডার', 'বঙ্গদর্শন', 'ধ্রুব', 'সবুজপত্র', 'মানসী ও মর্মবাণী', 'বিশ্বভারতী' প্রভৃতি পত্রিকায় তার সাক্ষরহীন বহু রচনা প্রকাশিত হয়েছে। একমাত্র উপন্যাস শুভবিবাহ ছাড়া কোন রচনা ই পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয় নি। 'শুভবিবাহ' প্রকাশিত হয়েছিল ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে। বাস্তব চিত্রণের জন্য উপন্যাসটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক বিশেষ প্রশংসিত হয়েছিল। 'বঙ্গদর্শন' পত্রিকায় কবিগুরু বিস্তৃত সমালোচনা করে বলেন -
রোমান্টিক উপন্যাস বাংলা সাহিত্যে আছে, কিন্তু বাস্তব চিত্রের অত্যন্ত অভাব, এজন্য এই গ্রন্থকে আমরা সাহিত্যের একটি বিশেষ লাভ বলিয়া গণ্য করিলাম।"
জীবনাবসান
[সম্পাদনা]শরৎকুমারী ১৯২০ খ্রিস্টাব্দের ১১ ই এপ্রিল পরলোক গমন করেন।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ শিশিরকুমার দাশ (২০১৯)। সংসদ বাংলা সাহিত্যসঙ্গী। সাহিত্য সংসদ, কলকাতা। পৃষ্ঠা ২০৪। আইএসবিএন 978-81-7955-007-9
|আইএসবিএন=
এর মান পরীক্ষা করুন: checksum (সাহায্য)। - ↑ সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬, পৃষ্ঠা ৬৯৯ আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬