লুর আদিবাসী
Darius I of Persia • Hossein Qoli Khan • Sardar Assad Ay. Borujerdi • Zarrinkub • Mehrdad Avesta • M. Boroujerdi | |
মোট জনসংখ্যা | |
---|---|
13,600,000 | |
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল | |
ইরান | 11,600,000[১] |
ইরাক | 1,000,000[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] to 2,000,000 [তথ্যসূত্র প্রয়োজন] |
ভাষা | |
Luri, Persian | |
ধর্ম | |
Shi'a Islam, Yaresan | |
সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠী | |
Other Iranian people |
লুর আদিবাসী (ফার্সি:لر) ইরানের কয়েকটি নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর মধ্যে অন্যতম। ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকায় লুরিস্তান প্রদেশের পাহাড়ী এলাকায় এদের বসবাস। [২] এরা তিন সহস্রাধিক বৎসর প্রাচীন একটি জনগোষ্ঠী যারা কিলিম নামীয় শতরঞ্চি বয়নের জন্য বহুকাল যাবৎ খ্যাত।[৩] লু্র জাতি "লোর" নামেও পরিচিত। পারসিক, বখতিয়ারি, মাজেন্দ্রানি, গিলাকি, কুর্দি এবং অন্যান্য ইরানি আদিবাসী গোষ্ঠীর সাথে এদের সাদৃশ্য রয়েছে। লুররা সংখ্যায় প্রায় ২৬ লাখ। এরা কথা বলে লোরি ও ফার্সি ভাষায়। তবে বেশির ভাগ লুরির ভাষা লোরি(ফার্সি:لری, {{pron|loriː])। এটি একটি দক্ষিণ-পশ্চিম ইরানি ভাষা। এ ভাষার সাথে ফার্সি ভাষার সাদৃশ্য রয়েছে।[৪] তবে এটি মূলতঃ কুর্দি ভাষার জ্ঞাতি।[২] লুরিরা প্রধানত বাস করে লোরেস্তান, খুজেস্তান, হামাদান, চাহারমহল, বখতিয়ারি, ইস্পাহান ও ইলাম এলাকায়। অন্যান্য ইরানির মতো জাগ্রোস পর্বতের আদিবাসী এবং মধ্য এশিয়া থেকে আসা ইরানি ভাষাগোষ্ঠীর উপজাতিগুলোর সাথে লুর জাতির মিশ্রণ রয়েছে। আর লোর ভাষার রয়েছে দুটি উপভাষা লোর-ই-বোগরগ্ (বৃহত্তর লোর) ও লোর-ই-কুচিক (ক্ষুদ্র লোর)। বেশির ভাগ লুর শিয়া মুসলমান।[৪] বিংশ শতাব্দীর সূচনালগ্নে বেশির ভাগ লুর ছিল যাযাবর, এদের বৃত্তি ছিল পশুপালন। এ সময় কিছু লুর খোররমাবাদ নগরে বসবাস করত। পাহলভি সরকার লুর জাতির একটি অংশকে বসতি স্খাপনে বাধ্য করেছিল। এ জন্য কয়েকবার প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়। অবশ্য এ বিষয়ে রেজা শাহের অভিযান ব্যর্থ হয়। ইরানের শেষ শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভিও লুরদের স্খায়ী বসতি স্খাপনে প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছিলেন। তবে তিনি অল্প বলপ্রয়োগ করেন এবং স্খায়ী বসতি স্খাপনকারীদের অর্থসাহায্য দেন। তবে তিনি তার কাজ সম্পন্ন করে যেতে পারেননি কারণ ১৯৭৯ খ্রীস্টাব্দে তিনি ক্ষমতা হারান। ১৯৮০ দশকের মাঝামাঝি অনেক লুর লোরেস্তানের বিভিন্ন শহর ও গ্রামে বসতি স্খাপন করে ; অনেকে ইরানের প্রধান শহরগুলোয় চলে যায়। [৪] এখনো অনেক লুর যাযাবর জীবনযাপন করে। শহরে বসবাসকারী লুর, বিশেষ করে বয়স্কদের মধ্যে এখনো যাযাবর জীবনের প্রভাব দেখা যায়। লুররা স্বাধীনচেতা ও অতিথিবৎসল। লুর নারীরাও যথেষ্ট স্বাধীনতা ভোগ করে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Ethnologue Report on Iran"। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০০৯।
- ↑ ক খ ইরান চেম্বারের ওয়েবসাইট
- ↑ লুরদের কিলিম
- ↑ ক খ গ ইরান কান্ট্রিস্টাডিয