লুবনা তাহতামৌনি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

লুবনা হামিদ তৌফিক তাহতামৌনি (আরবি: لبنى تهتمونজর্দানের একজন জীববিজ্ঞানী। তিনি ক্যান্সার গবেষণা ও ডেভলপমেন্টাল জীববিজ্ঞানে স্বীয় অবদানের জন্য পরিচিত। তাহতামৌনি হাশেমীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান ও জীবপ্রকৌশল বিভাগের প্রধান। স্তন ক্যান্সারের উপর কর্মের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি একাধিক পদক পেয়েছেন। এছাড়াও আরব বিশ্বের নারীদের বিজ্ঞানের প্রতি আকৃষ্ট করতে তার অবদানকে সম্মান জানিয়ে তাকে ২০১৬ সালে স্বীকৃতি দেয়া হয়। ২০১৬ সালে বিবিসি'র ১০০ নারী তালিকায় তার নাম স্থান পেয়েছিলো। 

প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা[সম্পাদনা]

উত্তর জর্দানের সুশিক্ষিত জনগোষ্ঠীর জন্য সুপরিচিত ইরবিদ নগরীতে তাহতামৌনির জন্ম ও বেড়ে ওঠা। পরিবারের ছয় শিশুর মাঝে তিনি ছিলেন তৃতীয়। [১] জর্দান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৭ সালে স্নাতক সম্পন্২০০০ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতোকত্তর সমাপ্ত করেন। [২] পরীক্ষায় উচ্চ নাম্বার অর্জনে স্নাতক পর্যায়ে তাকে জীববিজ্ঞান বিষয়ে পড়তে দেয়া হয়।  স্নাতকোত্তরে তিনি  হামিদ আল হাজের তত্ত্বাবধানে রিপ্রডাক্টিভ জীববিজ্ঞানে পারদর্শিতা অর্জন করেন।[৩]

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৫  সালে তাহতামৌনি তার পিএইচডি সম্পন্ন করেন। তিনি তার উচ্চশিক্ষা ও বিজ্ঞানে ক্যারিয়ার গড়তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পদার্পণের সুযোগ প্রাপ্তিতে নিজ পরিবারের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন।

কর্ম[সম্পাদনা]

পিএইচডি সম্পন্ন করে তাহতামৌনি নিজ দেশ জর্দানের নারীদের বিজ্ঞান শিক্ষায় আগ্রহী করে তুলতে ফিরে আসেন।[৪] তার এই সিদ্ধান্তের পেছনে অবশ্য যেই প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পেয়েছিলেন, সেই সংগঠনের প্রতি প্রতিশ্রুতিও কাজ করেছে। ২০০৮ সালে তিনি হাশেমীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোস্কোপি ফ্যাসিলিটির পরিচালক পদে নিযুক্ত হন। বিশ্ববিদ্যালয়টির এই সুবিধার জন্য তিনি অর্থায়নের ব্যবস্থা করেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গবেষণায় বিদেশি অর্থায়নের জন্য প্রকল্প রচনার উপর তিনি একাধিক কর্মশালা পরিচালনা করেন।  এছাড়আও আধুনিক গবেষণা পদ্ধতির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে তিনি গ্রীষ্মকালীন সময়ে অস্ট্রেলিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কাজে যোগ দেন। 

সম্মাননা ও পদক[সম্পাদনা]

  • ২০১৩ সালে কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযোগ্য আন্তর্জাতিক  এলামনাই পদক।[৫]
  • কলেজ অব ন্যাচারাল সায়েন্স সামার ইন্টারন্যাশনাল স্কলার প্রোগ্রাম পদক,২০১২। 
  • ল'রিয়েল-ইউনেস্কো উমেইন -ইন-সায়েন্স প্যান-আরব রিজিওনাল ফেলোশিপ,২০১১। 
  • কিং হুসেন ইন্স্টিটিউট ফর বায়োটেকনোলজি এন্ড ক্যান্সার (KHIBC) স্কলার ,২০০৯।
  • প্রথম স্থান, উন্নয়নের জন্য রাজা আব্দাল্লাহ দাতব্য, হাশেমীয় বিশ্ববিদ্যালয়,২০০৮।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Wilkie, Dana (নভেম্বর ২০১৬)। "Women Making Their Marks"International Educator। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  2. "Lubna H. T. Tahtamouni"Hashemite University। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  3. Al Harithi, Amal (৩ মে ২০১৫)। "Dr. Lubna Tahtamouni, One of The Top 10 Scientists In The World"Arab Woman Platform। ২০ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  4. El Shabrawy, Nevine; Al Youm, Al Masry (১৯ অক্টোবর ২০১১)। "Beirut Conference Awards Arab Women in Science"Arab America (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  5. "Lubna H. T. TahtamouniAwards/Prizes/Orders"staff.hu.edu.jo। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮