বিষয়বস্তুতে চলুন

লিমুলাস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

রাজ কাঁকড়া
বিভিন্ন দিক থেকে দৃষ্ট লিমুলাস পলিফিমাস
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: প্রাণী জগৎ
পর্ব: সন্ধিপদী
উপপর্ব: কেলিসেরাটা
শ্রেণী: মেরোস্টোমাটা[]
বর্গ: জাইফোসুরা
পরিবার: লিমুলিডি
গণ: লিমুলাস
প্রজাতি: এল· পলিফিমাস
দ্বিপদী নাম
লিমুলাস পলিফিমাস
লীচ, ১৮১৯[]

অশ্বক্ষুরের ন্যায় দেখতে উপবৃত্তাকার এই কাঁকড়াটি হলো Horseshoe Crab লিমুলাস। এটি “রাজ কাঁকড়া” নামেও পরিচিত। কিন্তু এটিকে কাঁকড়া বলা হলেও প্রজাতিগত দিক থেকে মাকড়সার সঙ্গে বেশি মিল রয়েছে এটির। এরা লিমুলিডি গোত্রের অন্তর্গত সামুদ্রিক সন্ধিপদী। এরা প্রধানত অগভীর সমুদ্র ও নরম বালি বা কাদা সমৃদ্ধ সমুদ্রতলে বাস করে। কালেভদ্রে যৌনসঙ্গমের জন্য এদের ডাঙায় আসতে দেখা যায়। চাষের কাজে সার হিসেবে এবং মাছ ধরার সময় টোপ হিসেবে এদের ব্যবহার আছে। সাম্প্রতিককালে জাপানে এদের সমুদ্রতটবর্তী বাসভূমি ধ্বংসের কারণে এবং উত্তর আমেরিকার পূর্ব উপকূলে অত্যধিক চাষের কারণে এদের সংখ্যা কমে গেছে। থাইল্যান্ডের সমুদ্রোপকূলে বসবাসকারী প্রজাতিগুলোর ডিমের মধ্যে সম্ভবত টেট্রোডোটক্সিন-এর অনুপ্রবেশ ঘটেছে।[] আজ থেকে ৪৫ কোটি বছর আগে বিবর্তিত হয়ে এতদিন প্রায় অবিকৃত চেহারায় থেকে যাওয়ার জন্য এদের জীবন্ত জীবাশ্ম হিসেবে গণ্য করা হয়।[]

এই কাঁকড়ার নীল রক্ত বহুমূল্যবান। এই রক্তের অসাধারণ ক্ষমতা বলে লিমিউলাস বা অশ্বক্ষুরাকৃতি কাঁকড়ারা যে কোনও ধরনের ব্যাকটেরিয়া এবং বিষাক্ত পদার্থ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারে। তাই চিকিৎসাবিজ্ঞানে এদের গুরুত্ব অপরিসীম।

এদের জীবন্ত জীবাশ্মও বলা হয়, কারণ ৪৪ কোটি ৫০ লাখ বছর আগেও পৃথিবীতে এদের অস্তিত্ব ছিল। ডাইনোসরের চেয়েও প্রায় ২০ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে এসেছিল এই লিমুলাস। তাই এই জলজ প্রাণী বিজ্ঞানীদের কাছে আজও বিস্ময়।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. World Conservation Monitoring Centre (1996). Limulus polyphemus. 2006 IUCN Red List of Threatened Species. IUCN 2006. Retrieved on 11 May 2006.
  2. "Integrated Taxonomic Information System"। ITIS.gov, this taxonomy also concurs with the Global Biodiversity Information Facility: http://www.europe.gbif.net/portal/ecat_browser.jsp?taxonKey=513239&countryKey=0&resourceKey=0 and with horseshoecrab.org। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০২-২৮  |প্রকাশক= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
  3. Kōichi Sekiguchi (১৯৮৮)। Biology of Horseshoe Crabs। Science House। আইএসবিএন 978-4-915572-25-8 
  4. Attaya Kungsuwan, Yuji Nagashima & Tamao Noguchi; ও অন্যান্য (১৯৮৭)। "Tetrodotoxin in the Horseshoe Crab Carcinoscorpius rotundicauda Inhabiting Thailand" (pdf)Nippon Suisan Gakkaishi53 (2): 261–266। ডিওআই:10.2331/suisan.53.261 
  5. David Sadava, H. Craig Heller, David M. Hillis & May Berenbaum (২০০৯)। Life: the Science of Biology (৯ম সংস্করণ)। W. H. Freeman। পৃষ্ঠা 683। আইএসবিএন 978-1-4292-1962-4 

৬. “কাঁকড়ার এক লিটার রক্তের দাম ১১ লাখ টাকা” ঢাকাটাইমস২৪.কম এ প্রকাশিত নিবন্ধ।