বিষয়বস্তুতে চলুন

লাল বিরিষ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
লাল বিরিষ

বিরিষ লাল বিরিষ হল এক জাতের বাংলাদেশি গরু যা রেড চিটাগাং, সুন্দরী গরু, অষ্টমুখী লাল গরু, চাটগাঁইয়া গরু নামেও পরিচিত।[১][২][৩][৪]

বর্ণনা[সম্পাদনা]

লাল বিরিষের উৎপত্তি ও বিস্তার ঘটেছে চট্টগ্রাম অঞ্চলে।[২] এই গরু বেশি দেখা যায় রাউজান, সাতকানিয়া, আনোয়ারা, পটিয়া, চন্দনাইশ ও বাঁশখালী উপজেলায়।[১][২][৩] তবে, নোয়াখালী ও কুমিল্লা জেলাতেও এই জাতের গরু দেখতে পাওয়া যায়।[১]

লাল রঙের এই গরুর ওজন ৩ থেকে ১০ মণ পর্যন্ত হতে পারে।[২][৩] এর পা খাটো এবং এটি আকারে ছোট। চট্টগ্রামের ৫টি উপজেলায় পরিচালিত গবেষণায় দেখা যায়, এদের দৈনিক দুধ উৎপাদন ২.৭ লিটার, এক বিয়ানে দুগ্ধদানকাল ২১৫ দিন এবং এক বিয়ানে প্রাপ্ত দুধের পরিমাণ সর্বমোট ৫৮১ লিটার।[১] ৬-৭ বছর বয়সে অথবা ৫ম বিয়ানে দুধের পরিমাণ বেশি পাওয়া যায় যার পরিমাণ ৫৫০-৬০০ লিটার।[১]

একসময় লাল বিরিষ ব্যতীত অন্য কোন গরু চট্টগ্রাম অঞ্চলের লোকেরা মেজবান বা কোরবানির ঈদে জবাই করতেন না।[১] তবে সংকরায়নের দরুন গরুর এই জাতটির বিশুদ্ধতা হুমকির সম্মুখীন। চট্টগ্রামে বিশুদ্ধ লাল বিরিষের পরিমাণ আট থেকে দশ হাজার।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "চট্টগ্রামের অষ্টমুখী লাল গরুর জাত উন্নয়ন ও সংরক্ষণ"কৃষি তথ্য সার্ভিস। সংগ্রহের তারিখ ৭ আগস্ট ২০১৯ 
  2. "চট্টগ্রামে সবার পছন্দ 'লাল বিরিষ'"বাংলানিউজ২৪.কম। ৪ অক্টোবর ২০১৪। ৭ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ আগস্ট ২০১৯ 
  3. "'লাল বিরিষে' বাজার মাত"সমকাল। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬। ৭ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ আগস্ট ২০১৯ 
  4. "চট্টগ্রামবাসীর প্রথম পছন্দ 'লাল বিরিষ'"কালের কণ্ঠ। ১৯ আগস্ট ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৭ আগস্ট ২০১৯