লক্ষ্মী এন মেনন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
লক্ষ্মী এন মেনন
১৯৬৩ সালে লক্ষ্মী এন মেনন
জন্ম২৯ মার্চ ১৮৯৯
ত্রিবান্দ্রম
মৃত্যু৩০ নভেম্বর ১৯৯৪
জাতীয়তাভারতীয়

লক্ষ্মী এন. মেনন (২৯ মার্চ ১৮৯৯[১] - ৩০ নভেম্বর ১৯৯৪[২]) ছিলেন একজন ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী[৩] এবং রাজনীতিবিদ। তিনি ১৯৬২ সাল থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।[৪]

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

লক্ষ্মী এন মেনন ত্রিবান্দ্রমে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন রমা বর্মা থাম্পান এবং মাধবীকুট্টি আম্মার সন্তান। ১৯৩০ সালে তিনি অধ্যাপক ভি কে নন্দন মেননকে বিয়ে করেন। তার স্বামী অধ্যাপক ভি কে নন্দন মেনন পরে ত্রিবাঙ্কুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (১৯৫০-১৯৫১)[৫] উপাচার্য হন এবং পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের নির্দেশক হিসাবে দায়িত্বভার পালন করেন।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

১৯৬৩ সালের ৩ জুন লক্ষ্মী এন মেনন (সামনের সারির একেবারে বামে) হোয়াইট হাউসে একটি রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে অংশ নিচ্ছেন

লক্ষ্মী এন মেনন ১৯৫২ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন।[৬] তিনি ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত সংসদীয় সচিব হিসাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে, ১৯৫৭ সাল থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত উপমন্ত্রী এবং ১৯৬২ সাল থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্বভার পালন করেন।[৪]

১৯৬৭ সালে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে অবসর নেওয়ার পর, তিনি সামাজিক কাজের দিকে মনোনিবেশ করেন। লেখালেখিও শুরু করেন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশিত অক্সফোর্ড প্যামফ্লেটস অন ইন্ডিয়ান অ্যাফেয়ার্স সিরিজের জন্য ভারতীয় মহিলাদের উপর একটি বইও লিখেছেন। ভারতে ফেডারেশন অফ ইউনিভার্সিটির কর্মকাণ্ডে তার অনেক অবদান রয়েছে।[৭] রাজনীতি ছাড়ার পর তিনি তার জীবন জাতির স্বার্থে উৎসর্গ করেন। বহু বছর ধরে অল ইন্ডিয়া উইমেনস কনফারেন্স-এর সভাপতি এবং পৃষ্ঠপোষক হিসাবে কাজ করেছেন। তিনি মোরারজি দেশাইয়ের সাথে সর্বভারতীয় নিষেধাজ্ঞা পরিষদের সহ-সভাপতি ছিলেন।

তিনি ১৯৮৮ সালে এপি উদয়ভানু এবং জনসন জে. ইদায়ারনমুলার সাথে অ্যালকোহল অ্যান্ড ড্রাগ ইনফরমেশন সেন্টার (এডিআইসি)-ইন্ডিয়া প্রতিষ্ঠা করেন। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার সামলেছেন। এছাড়াও তিনি মহিলাদের মধ্যে নিরক্ষরতা দূরীকরণের জন্য সর্বভারতীয় কমিটির সভাপতি ছিলেন।

১৯৭২ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত কস্তুরবা গান্ধী ন্যাশনাল মেমোরিয়াল ট্রাস্টের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্বভার পালন করেন।[৮]

নেহেরু সরকারের প্রতিমন্ত্রী হিসাবে লক্ষ্মী মেননের কার্যকালে ত্রিবান্দ্রমে থুম্বা নিরক্ষীয় রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছিল। এই সময় এর সাথে জড়িত আমলাতান্ত্রিক পদ্ধতিগুলিকে সহজ করতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন।।[৯]

সম্মাননা এবং পুরস্কার[সম্পাদনা]

লক্ষ্মী এন মেননের সেবার স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে ১৯৫৭ সালে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করা হয়। তিনি ছিলেন এই পুরস্কারের দ্বিতীয় মালয়ালি প্রাপক।[১০]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

১৯৯৪ সালের ৩০ নভেম্বর ৯৬ বছর বয়সে এই স্বাধীনতা সংগ্রামী ও রাজনীতিবিদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Unsung Heroes Detail, Ministry of Culture"। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০২৩ 
  2. IASSI Quarterly, Volume 15. Indian Association of Social Science Institutions, 1996.
  3. Lakshmi, C.S. (২ মার্চ ২০০০)। "Strong voice, solid ideas"The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৬ [অকার্যকর সংযোগ]
  4. Women Members of the Rajya Sabha. Rajya Sabha Secretariat. New Delhi, 2003.
  5. "University of Kerala, Thiruvananthapuram"। way2universities.com। ৬ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৬ 
  6. Rajya Sabha members biographical sketches 1952 – 2003. rajyasabha.nic.in.
  7. Bālā, U.; Sharma, A. (১৯৮৬)। Indian Women Freedom Fighters, 1857–1947 (জার্মান ভাষায়)। Manohar। পৃষ্ঠা 74। আইএসবিএন 9788185054131। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-৩১She was the Founder – member of the All – India Women ' s Conference , and of the Federation of University Women . 
  8. Annual Report 2014-15. Kasturba Gandhi National Memorial Trust.
  9. "Remembering the guiding light"www.deccanchronicle.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২৬ 
  10. "Padma Awards" (পিডিএফ)। Ministry of Home Affairs, Government of India। ২০১৫। ১৫ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১৫