লক্ষ্মীবাই তিলক
লক্ষ্মীবাই তিলক (১৮৬৮-১৯৩৬) ছিলেন একজন ভারতীয় লেখিকা। তিনি ভারতের মহারাষ্ট্র অঞ্চলে বসবাস করতেন এবং মারাঠি ভাষায় রচনা করতেন।
জীবন
[সম্পাদনা]তার সময়ের সামাজিক প্রথা অনুসারে অল্প বয়সেই মেয়েদের বিয়ে দেওয়া হত। সেইজন্য তার পিতা আর মাতা মাত্র এগারো বছর বয়সেই তার বিবাহ দিয়ে দেন। তার স্বামী ছিলেন নারায়ণ ওয়ামন তিলক।
নারায়ণ ওয়ামন তিলক একজন দক্ষ মারাঠি কবি ও সাহিত্যিক ছিলেন। তিনি লক্ষ্মীবাইকে প্রাথমিক প্রথাগত শিক্ষা দিয়েছিলেন যাতে তিনি মৌলিক মারাঠি পড়তে এবং লিখতে পারেন। যখন নারায়ন খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হন, তখন লক্ষ্মীবাই প্রথমে হতবাক হয়ে গেছিলেন। ব্যাপারটা তার কাছে অত্যন্ত আশ্চর্যের ও বেদনাদায়ক ছিল। ধীরে ধীরে যাইহোক তিনি তার বিরাগ কাটিয়ে উঠেছিলেন এবং তার স্বামীর পরিবর্তনের সাথে অভ্যস্ত হতে শুরু করলেন। অবশেষে লক্ষ্মীবাই নিজেই একসময় তার স্বামীর পথ অনুসরণ করে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহন করেন। তিনি একেবারে ধাপে ধাপে অত্যন্ত সরলতার সাথে তার আত্মজীবনীতে এই সম্পুর্ন ঘটনাক্রমের কথা উল্লেখ করেছেন।[১] সীমিত প্রাথমিক শিক্ষা থাকা সত্ত্বেও লক্ষ্মীবাই কিছু চমৎকার কবিতা রচনা করেছিলেন যেগুলি মারাঠি সাহিত্যের উজ্বল রত্ন। তিনি স্মৃতিচিত্র (মারাঠি: स्मृतिचित्रे) শিরোনামে তার আত্মজীবনী রচনা করেছিলেন যা মারাঠি সাহিত্যের অন্যতম সেরা লেখনি হিসাবে চিহ্নিত। তার আত্মজীবনীটি ১৯৩৪ থেকে ১৯৩৭ সাল এই চার বছরের সময়কালের অবধিতে চারটি ভাগে প্রকাশিত হয়েছিল। ১৯৫০ সালে ই জোসেফিন ইংকস্টার এই আত্মজীবনী গ্রন্থটি আই ফলো আফটার শিরোনামে ইংরেজিতে অনুবাদ করেন।[২]
নারায়ণ ওয়ামন তিলক মারাঠি ভাষায় যীশু খ্রিস্টের জীবনী ও কাজের বর্ণনা করে খ্রিস্তায়ন (মারাঠি: क्रिस्तायन) নামক একটি মহাকাব্য রচনা করতে শুরু করেছিলেন। তবে এর দশটি অধ্যায় শেষ করার পর তিনি মারা যান। তার দেহাবসানের পরে লক্ষ্মীবাই নিজে ৬৪টি নতুন অধ্যায় যুক্ত করে মহাকাব্যটি সম্পূর্ণ করেছিলেন।