রোমেলিয়া অ্যালারকন ফোলগার
রোমেলিয়া অ্যালারকন ফোলগার | |
---|---|
জন্ম | রোমেলিয়া অ্যালারকন বারিওস ২৭ অক্টোবর ১৯০০ |
মৃত্যু | ১৯ জুলাই ১৯৭১ গুয়াতেমালা সিটি, গুয়াতেমালা | (বয়স ৭০)
জাতীয়তা | গুয়াতেমালীয় |
অন্যান্য নাম | রোমেলিয়া অ্যালারকন ডে ফোলগার |
পেশা | সাংবাদিক, লেখক |
কর্মজীবন | ১৯৩৮-১৯৭১ |
রোমেলিয়া অ্যালারকন ফোলগার (স্পেনীয়: Romelia Alarcón Folgar; জন্ম: ২৭ অক্টোবর, ১৯০০ - মৃত্যু: ১৯ জুলাই, ১৯৭১) আল্তা ভেরাপেজ ডিপার্টমেন্টের কোবান এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা গুয়াতেমালীয় প্রমিলা কবি, সাংবাদিক, লেখক ও নারী অধিকার কর্মী ছিলেন। তার অনেকগুলো চিন্তা-ভাবনাকে পরিবেশ ও মহিলা অধিকার বাস্তবায়নে ব্যবহার করা হয়েছে। তাকে ২০শ শতাব্দীতে গুয়াতেমালার সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য কবি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]রোমেলিয়া অ্যালারকন বারিওস ২৭ অক্টোবর, ১৯০০ তারিখে গুয়াতেমালার আল্তা ভেরাপাজ ডিপার্টমেন্টের কোবানে জন্মগ্রহণ করেন। মারিয়া বারিওস নরিয়েগা ও সালভাদর অ্যালারকন দম্পতির সন্তান তিনি।[১] ডোমিঙ্গো ফোলগার গারিডোর সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন তিনি।[১] তাদের সংসারে সাত সন্তান ছিল। তার পরিবারের উত্থানের পূর্ব-পর্যন্ত তিনি লেখা শুরু করেননি। সকল কাজেই তিনি বৈবাহিকসূত্রে গৃহীত নাম ব্যবহার করতেন।[২]
আনুষ্ঠানিকভাবে প্রশিক্ষণ না নেয়া স্বত্ত্বেও বুদ্ধিজীবী ও শিল্পীদের সাথে তার সুসম্পর্ক ছিল। ফলশ্রুতিতে তিনি সাংবাদিকতায় কর্মজীবন শুরু করেন ও কবি হিসেবে সুখ্যাতি কুড়ান।[৩] ‘২০শ শতাব্দীতে গুয়াতেমালার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কবি’ হিসেবে পরিচিতি পান।[৪]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রে মহিলাদের ভোটাধিকারের বিষয়ে সফলতায় উজ্জ্বীবিত হয়ে অ্যালারকন লরা বেন্ডফেল্ট, মারিয়া আলবার্তিনা গালভেজ, ক্লেমেন্সিয়া ডে হেরারতে, গ্লোরিয়া মেনেন্দেজ মিনা, আদ্রিয়ানা ডে পালারিয়া, গ্রাসিয়েলা কুয়ান ও মাগদালেনা স্পিনোলাকে নিয়ে ১৯৪৫ সালে গুয়াতেমালীয় মহিলাদের ভোটাধিকার আদায়ের লক্ষ্যে কমিটি গঠন করেন।[৫]
বেতারে সাংবাদিকতাসহ কখনো কখনো সংবাদপত্রে অ্যালারকন ফোলগার কাজ করেছেন।[৩] এছাড়াও সাময়িকীতে নিবন্ধ প্রকাশ করতেন তিনি।[২] তিনি ‘রেভিস্তা মিনুতো’ প্রতিষ্ঠা করেন।[৩] ‘রেভিস্তা প্যান-আমেরিকানা’র সম্পাদক হিসেবে বহিঃর্বিশ্বে গমন করেন।[২] সমগ্রজীবনে তেরোটি গ্রন্থ প্রকাশ করেন। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর কন্যাদের একজন আরও দুইটি গ্রন্থ প্রকাশ করেছিলেন।[৬] ১৯৩৮ সালে ‘লামারাদাস’ (ব্লেজ) শিরোনামে কবিতাগুচ্ছ প্রকাশ করেন তিনি।[৬] এতে তিনি তার শুরুর দিককার পরিবেশবাদী দৃষ্টিভঙ্গীর কথা তুলে ধরেন এবং মেস্তিজো জনগোষ্ঠী রক্ষার্থে প্রকৃতি সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতার বিষয়ে উল্লেখ করেন। এর বিপরীতে শেষের কবিতাগুলোয় সামাজিক ভাষ্য ফুটে উঠেছে। ‘লামারাদেস’ কবিতাগুচ্ছে মায়া সভ্যতাকে কেন্দ্রীয়ভাবে রক্ষাকল্পে পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে একত্রিত করেছে।[৭] তার শুরুর দিকের কর্মকাণ্ডে ঘরোয়া বিষয়াদির দিকে দৃষ্টিনিবদ্ধ হয়েছে যা আধুনিককালের কবিতাগুলোয় দেখা যায় না। অন্যান্যরা সৃষ্টির বিষয়ে আলোচনা করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছেন।[৬] পরবর্তী কাজগুলোয় সমাজে মহিলাদের অবস্থান ও মুক্তির অভাবের বিষয়ে নিন্দা করা হয়।[৮] তার মূল কাজগুলোয় অদৃশ্যতা ও অস্বস্তির বিষয়ে উল্লেখ করা হয়।
দেহাবসান
[সম্পাদনা]অ্যালারকন ফোলগার গুয়াতেমালা সিটিতে ১ জুলাই, ১৯৭১ তারিখে মৃত্যুবরণ করেন। তাকে গুয়াতেমালা সিটির জেনারেল সিমেট্রিতে সমাহিত করা হয়।[১]
রচনাসমগ্র
[সম্পাদনা]- ১৯৩৮ প্লাকুয়েতেস
- ১৯৩৮ লামারাদাস
- ১৯৪৪ কস
- ১৯৪৪ ক্লিমা ভার্দে এন ডাইমেনসিওন ডে আনগুইস্তা
- ১৯৫৪ ইসলা ডে নভিলুনিওস
- ১৯৫৭ ভিয়েন্তো ডে কলোরেস
- ১৯৫৮ ডায়া ভেজেটাল
- ১৯৫৯ ভিগিলিয়া ব্লাঙ্কা
- ১৯৬১ ক্লারিডাড
- ১৯৬৩ পোমাস ডে লা ভিডা সিম্পল
- ১৯৬৪ সিন ব্রুজুলা
- ১৯৬৪ প্লাতাফর্মা ডে ক্রিস্টাল
- ১৯৬৬ পাসোস সব্রে লা ইয়ার্বা
- ১৯৬৭ কাসা ডে পাজারোস
- ১৯৭০ ট্রান্সিটো টেরেস্ট্র
- ১৯৭২ টাইম্পো ইনমোভিল
- ১৯৭৬ মাস আলা ডে লা ভোজ
- ১৯৭৬ এল ভেন্দেদর ডে ট্রাইনোস
- ১৯৫০ কুয়েন্তোস ডে লা আবুলিতা
- ১৯৬৪ সিন ব্রুজুলা: কুয়েন্তোস
- ১৯৬৮ গুসানো ডে লাজ: কুয়েন্তোস ইনফানটিলস
- ১৯৬৮ ভেনডেডর ডে ট্রাইনস: কুয়েন্তোস ডে মিস্টারিও
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ Asociación de Amigos del País; Fundación para la Cultura y el Desarrollo (২০০৪)। "Romelia Alarcón de Folgar"। WikiGuate (Spanish ভাষায়)। Guatemala City, Guatemala: Diccionario Histórico Biográfico de Guatemala। ২৪ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৬।
- ↑ ক খ গ Finzer 2014, পৃ. 6।
- ↑ ক খ গ André ও Bueno 2014, পৃ. 80।
- ↑ André ও Bueno 2014, পৃ. 82।
- ↑ Monzón 2012, পৃ. 8-9।
- ↑ ক খ গ ঘ André ও Bueno 2014, পৃ. 81।
- ↑ Finzer 2014, পৃ. 5।
- ↑ Morard, Marylin (১৫ জুলাই ২০১৪)। "Une femme remarquable (12): Romelia Alarcon Folgar" (French ভাষায়)। Sion, Switzerland: L'1dex। ৫ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০১৬।
গ্রন্থপঞ্জি
[সম্পাদনা]- André, María Claudia; Bueno, Eva Paulino (২০১৪)। Latin American Women Writers: An Encyclopedia। New York, New York: Routledge। আইএসবিএন 978-1-317-72634-0।
- Finzer, Erin (২০১৪)। "Grafting the Maya World Tree:Cosmic Conservation in Romelia Alarcón de Folgar's Llamaradas (Guatemala, 1938)"। Interdisciplinary Studies in Literature and Environment। Association for the Study of Literature and Environment, Oxford University Press: 1–23। ডিওআই:10.1093/isle/isu129। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৬।
- Monzón, Ana Silvia (১৬ অক্টোবর ২০১২)। "Arbenz y la participación política de las mujeres"। Revista Albedrio (Spanish ভাষায়)। Guatemala: Paraninfo Universitario: 8–9। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০১৫।