রীতা ফারিয়া
রীতা ফারিয়া | |
---|---|
জন্ম | ২৩ আগস্ট, ১৯৪৩ মুম্বাই, ভারত |
পেশা | ডাক্তার |
পরিচিতির কারণ | মিস ওয়ার্ল্ড |
রীতা ফারিয়া পাওয়েল (ডাকনাম: ফারিয়া ; জন্ম: ২৩ আগস্ট ১৯৪৩) ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম নারী হিসেবে ১৯৬৬ সালে মিস ওয়ার্ল্ড নির্বাচিত হয়েছিলেন।[১] ঐ বছরের শুরুতেই মিস বোম্বে মুকুট জয় করার পাশাপাশি তিনি ইভ’স উইকলি’র মিস ইণ্ডিয়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
৪০ বছর পূর্বে মিস ওয়ার্ল্ড মুকুটধারী এবং মুম্বাইয়ে বেড়ে উঠা রীতা ঐ সময়ে বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত জনপ্রিয় ও সুপরিচিত ভারতীয় হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ঐশ্বরিয়া রাই যদিও একই মুকুট দখল করেছেন ১৯৯৪ সালে, তবুও ১৯৬০-এর দশকে তারচেয়েও অধিক জনপ্রিয় তারকা ছিলেন রীতা ফারিয়া।[২]
পড়াশোনা
[সম্পাদনা]গ্রান্ট মেডিক্যাল কলেজ এবং স্যার জে. জে. গ্রুপ অব হসপিটালে পড়াশোনা করে এম.বি.বি.এস ডিগ্রী অর্জন করেন রীতা ফারিয়া। পড়াশোনা চলাকালেই সহপাঠী বন্ধুদের উৎসাহে মিস বোম্বে প্রতিযোগিতায় নাম লেখান তিনি।
মিস ওয়ার্ল্ড বিজয়ের পূর্বে
[সম্পাদনা]মেডিক্যালের ছাত্রী রীতা ফারিয়া মিস বোম্বে প্রতিযোগিতায় প্রবেশ করেন কোনরূপ চিন্তা-ভাবনা না করেই। জয়ের সম্ভাবনার কথা বিচার-বিবেচনায় না এনে শুধুমাত্র বন্ধুদের উৎসাহে ও সাহসের উপর নির্ভর করে সুইমস্যুট পরিধান এবং মিষ্ট হাসির মাধ্যেম মিস বোম্বে খেতাব জয় করেন। শুধু এই জয়ই নয়, ভারতের পক্ষ থেকে তাকে মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় প্রতিনিধি হিসেবে প্রেরণ করা হয়। রীতা ঠাণ্ডা মাথায়, শান্ত চিত্তে এবং উচ্চস্তরের শৈল্পিক বাক-ভঙ্গীমা প্রয়োগের মাধ্যমে সকলের মন জয় করেন। চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় রীতা বিচারকমণ্ডলী হিসেবে উপস্থিত সকলকে তার সহজাত সৌন্দর্য্য, গুরুত্ব, সর্বোপরি স্বীয় বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের মাধ্যমে বিমোহিত করেন। তিনি একে-একে যুগোস্লাভিয়ার নিকিকা ম্যারিনোভিক (১ম রানার-আপ), গ্রীসের এফি ফনটিনি প্লাম্বি (২য় রানার-আপ), ব্রাজিলের মার্লুচ্চি ম্যানভেইলার রোচা (৩য় রানার-আপ)-কে পিছনে ফেলে অসাধারণ সাফল্য হিসেবে মিস ওয়ার্ল্ড খেতাব জয় করেন।[৩]
বিজয় পরবর্তী
[সম্পাদনা]মিস ওয়ার্ল্ড জয়ের এক বছর পর রীতা মডেলিং এবং চলচ্চিত্রে অংশগ্রহণের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। ভবিষ্যত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চিকিৎসাশাস্ত্রে মনোনিবেশ ঘটান রীতা। ১৯৯৮ সালে ফেমিনা মিস ইণ্ডিয়া প্রতিযোগিতায় বিচারকমণ্ডলীর একজন ছিলেন তিনি। এছাড়াও, মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় কয়েকটি পর্বে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি।
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]এন্ডিওক্রাইনোলোজিস্ট ডেভিড পাওয়েলের সঙ্গে সংসারধর্ম পালন করার জন্যে ডাঃ রীতা ফারিয়া পাওয়েল নামে বর্তমানে আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনে বসবাস করছেন তিনি। তাদের বিয়ে হয় ১৯৭১ সালে। বিয়ের পর ফারিয়া তার স্বামীর পদবী বা শেষ নাম ধারণ করেন। পাওয়েল দম্পত্তির ঘরে ২ সন্তান এবং ৫ নাতি-নাতনী রয়েছে।[৪][৫]
আরো দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ INDIAN MIRROR - Makers of India - Women of Fame
- ↑ news about Reita Faria on reiff.com
- ↑ "website of miss world"। ১৮ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ "The first Indian to win the Miss World title"। Rediff News। ১২ ডিসেম্বর ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১০।
- ↑ "Miss World 1966 - Reita Faria - India"। Miss World। ২০০৯। ৫ আগস্ট ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১০।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- রীতা ফারিয়া[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- রেডিফ.কমে রীতা ফারিয়া
- পেজিয়েন্টোপোলিশ.কমে রীতা ফারিয়া
- মিসওয়ার্ল্ড.কমে রীতা ফারিয়া
পূর্বসূরী লেসলি ল্যাংলি |
মিস ওয়ার্ল্ড ১৯৬৬ |
উত্তরসূরী মেডেলিন হার্টগ-বেল |
- জীবিত ব্যক্তি
- মিস ওয়ার্ল্ড বিজয়ী
- আয়ারল্যান্ডে ভারতীয় অভিবাসী
- ভারতীয় সুন্দরী প্রতিযোগিতা বিজয়ী
- মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- গোয়ার নারী মডেল
- ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া বিজয়ী
- ১৯৪৩-এ জন্ম
- ২০শ শতাব্দীর ভারতীয় নারী বিজ্ঞানী
- ২০শ শতাব্দীর ভারতীয় চিকিৎসক
- কিংস কলেজ লন্ডনের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- ২০শ শতাব্দীর নারী চিকিৎসক