রাজশাসক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

একজন রাজশাসক হলেন একজন রাষ্ট্রপ্রধান[১][২] যিনি আজীবন বা নিজ থেকে ক্ষমতা ত্যাগ করার আগ পর্যন্ত ঐ পদে বহাল থাকেন, অর্থাৎ তিনি একটি রাজতন্ত্রের রাষ্ট্রপ্রধান। পুরুষ রাজশাসককে রাজা ও নারী রাজশাসককে রাণী বলা হয়। একজন রাজশাসক একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ কর্তৃত্ব ও ক্ষমতার অধিকারী হতে পারেন, কিংবা অন্য কোনও ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ তাঁর হয়ে ঐ ক্ষমতার অধিকারী হতে পারেন। সাধারণত একজন রাজশাসক রাষ্ট্রের সার্বভৌম অধিকারসমূহ প্রয়োগ করার আইনি অধিকার (যেটিকে প্রায়শই রাজসিংহাসন বা রাজমুকুট হিসেবে নির্দেশ করা হয়) ব্যক্তিগত উত্তরাধিকারসূত্রে লাভ করেন কিংবা তিনি জাতিকে রাজশাসক প্রদানের যোগ্য কোনও পরিবার বা গোষ্ঠী থেকে প্রতিষ্ঠিত কোনও প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচিত হতে পারেন। বৈকল্পিকভাবে একজন ব্যক্তি নিজেই নিজেকে রাজশাসক ঘোষণা করতে পারেন, এবং তাঁকে সোৎসাহ সমর্থন (acclamation), বিজেতার অধিকার (right of conquest) বা একাধিক উপায়ের সমবায়ে সমর্থন দেওয়া হতে পারে ও রাজনৈতিকভাবে বৈধতা দান করা হতে পারে।

যদি কোনও শিশুকে রাজশাসকের মুকুট প্রদান করা হয়, তাহলে প্রায়শই তার প্রাপ্তবয়স্কতা লাভের আগ পর্যন্ত রাষ্ট্রশাসনের জন্য একজন রাজপ্রতিভূকে নিয়োগদান করা হয়। রাজতন্ত্রভেদে ও যুগভেদে রাজশাসকের প্রকৃত ক্ষমতার রকমফের হতে পারে। একটি চরম প্রান্তসীমায় রাজশাসকেরা একনায়ক বা স্বৈরশাসক হতে পারেন ও প্রকৃতি সার্বভৌমত্বের অধিকারী হতে পারেন, যাকে পরম রাজতন্ত্র বলে। অন্য প্রান্তসীমায় তাঁরা কেবলি আচারানুষ্ঠানিক রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে কাজ করেন; এক্ষেত্রে তাদের হয় কোনও ক্ষমতা থাকে না, বা খুবই কম ক্ষমতা থাকে কিংবা সংরক্ষিত ক্ষমতা থাকে এবং প্রকৃত কর্তৃত্ব একটি সংসদ বা অন্য কোনও সংস্থার হাতে ন্যস্ত থাকে। এটিকে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র বলে।

একজন রাজশাসক একই সাথে একাধিক রাজতন্ত্রের শাসক হতে পারে। যেমন কানাডা রাজতন্ত্র ও যুক্তরাজ্য রাজতন্ত্র ভিন্ন ভিন্ন রাষ্ট্র হলেও ব্যক্তিগত ঐক্যের মাধ্যমে এগুলির রাজশাসক একই ব্যক্তি হয়ে থাকেন।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "monarch"Oxford Dictionaries। ২০১৪। মে ১৭, ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  2. Webster's II New College Dictionary.Monarch. Houghton Mifflin. Boston. 2001. p. 707. আইএসবিএন ০-৩৯৫-৯৬২১৪-৫

উৎসপঞ্জি[সম্পাদনা]

  • Girard, Philippe R. (২০১১)। The Slaves Who Defeated Napoleon: Toussaint Louverture and the Haitian War of Independence 1801–1804। Tuscaloosa, Alabama: The University of Alabama Press। আইএসবিএন 978-0-8173-1732-4 
  • Schutt-Ainé, Patricia (১৯৯৪)। Haiti: A Basic Reference Book। Miami, Florida: Librairie Au Service de la Culture। পৃষ্ঠা 33–35, 60। আইএসবিএন 978-0-9638599-0-7 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:Monarchies