রাও ফরমান আলি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা ZI Jony (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১০:৩১, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল (File:Rao Farman ali.jpgFile:রাও ফরমান আলি.jpg)। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।

রাও ফরমান আলি
রাও ফরমান আলি
জন্ম নামরাও ফরমান আলি
জন্ম১৯২৩
রোহতাক , পূর্ব পাঞ্জাব , ব্রিটিশ ভারত
মৃত্যু২১ জানুয়ারি ২০০৪
রাওয়ালপিন্ডি, পাঞ্জাব প্রদেশ
আনুগত্য পাকিস্তান
সেবা/শাখা পাকিস্তান সেনাবাহিনী
কার্যকাল১৯৪২–১৯৭৩
পদমর্যাদা মেজর জেনারেল
সার্ভিস নম্বরPA – 1364
ইউনিট২৬তম ফিল্ড আর্টিলারি রেজিমেন্ট
নেতৃত্বসমূহআধাসামরিক কমান্ড
ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটি
স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপ
কর্প‌স অব মিলিটারি পুলিশ
বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী
যুদ্ধ/সংগ্রামদ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৪৭
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৬৫
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৭১
পুরস্কারসিতারায়ে ইমতিয়াজ (সামরিক) (পরবর্তীতে প্রত্যাহার করা হয়)
অন্য কাজবাংলাদেশের গণহত্যায় সংশ্লিষ্ট
এমআরডি আন্দোলনে গণ নিষ্পেষন

মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলি খান (Urdu: راؤ فرمان علی; ১৯২৩ – ২১ জানুয়ারি ২০০৪)[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ও সমসাময়িক ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৭১ এর সময়কার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অন্যতম উচ্চপদস্থ অফিসার। সামরিক পুলিশ এবং শীর্ষ সামরিক উপদেষ্টা হিসেবে তিনি পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক পুলিশ ও রাজাকারসহ নিরাপত্তা বাহিনীর অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক কর্মকাণ্ড সম্পাদন ও তদারক করতেন। তিনি প্রথমদিকে একজন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গোলন্দাজ রেজিমেন্টের পরিদর্শক ছিলেন এবং পরে পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক উপদেষ্টা হন। ১৯৭১ সালে যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তিনি পূর্ব পাকিস্তানে একজন ক্ষমতাশালী ব্যক্তি ছিলেন। এসময় বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যায় তিনি প্রধান অভিযুক্তদের অন্যতম। তিনিই বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী।

রাও ফরমান আলি তার নিজের বিরুদ্ধে আরোপিত অভিযোগসমূহ প্রত্যাখ্যান করলেও হামুদুর রহমান কমিশন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের অনৈতিক কর্মকাণ্ড ও হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পায়।[১] যুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে তার সহকর্মী ও সিনিয়র কর্মকর্তাদের কাছে তিনি একজন বিতর্কিত ব্যক্তিতে পরিণত হন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] যুদ্ধের পর তাকে সামরিক বাহিনী থেকে বহিষ্কার করা হয় এবং তার সকল ব্যাজ ফিরিয়ে নেয়া হয়। তবে ১৯৭৯ সালে জুলফিকার আলী ভুট্টোর মৃত্যুর পর জেনারেল মুহাম্মদ জিয়াউল হক তাকে তার উপদেষ্টা নিয়োগ দেন। এসময় সংঘটিত গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠা আন্দোলন দমনে নির্যাতন ও হত্যায় তাকে দায়ী হিসেবে ধরা হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] জিয়াউল হকের মৃত্যুর পর আলি আত্মগোপনে চলে যান। ২০০৪ সালে অল্পদিন অসুস্থ থাকার পর রাওয়ালপিন্ডিতে মৃত্যুবরণ করেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "Hamoodur Rahman Commission Report" (পিডিএফ)। ৪ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ 

বহিঃসংযোগ