রমলা সিংহ
রমলা সিংহ (১৯১৩-২০১০) ছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার একজন নারী অধিকার এবং সামাজিক কর্মী।[১][২][৩]
স্বামীর নাম অনুসারে তিনি শ্রীমতী এস. কে. সিংহ নামেও পরিচিত ছিলেন। তার স্বামী আইসিএস সুশীল কুমার সিংহ একজন সুপরিচিত ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টর এবং রায়পুরের অভিজাত ব্যারণ সিংহ পরিবারের সদস্য ছিলেন,[৪] তিনি রায়পুরের প্রখ্যাত আইনজীবী লর্ড সত্যেন্দ্রপ্রসন্ন সিংহের দ্বিতীয় পুত্র ছিলেন, যে সত্যেন্দ্রপ্রসন্ন বিহার ও উড়িষ্যার একমাত্র ভারতীয় গভর্নর ছিলেন এবং স্বাধীনতার আগে হাউস অফ লর্ডসে জায়গা পাওয়া একমাত্র ভারতীয় ছিলেন। রমলা সিংহ ছোটবেলা থেকেই সমাজসেবা ও নারী অধিকার আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি দেবদাসী প্রথা, পতিতাবৃত্তি এবং পতিতাদের শিশুদের পুনর্বাসনের লড়াইয়ের জন্য বিখ্যাত ছিলেন।[৫][৬]
তিনি ১৯৩২ সাল থেকে সুনীতি দেবী, কোচবিহারের মহারানী, চারুলতা মুখার্জি, সুচারু দেবী, ময়ূরভঞ্জের মহারানী এবং টিআর নেলির মতো বাংলার অন্যান্য নারী অধিকার কর্মীদের সাথে অল বেঙ্গল উইমেনস ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন।[৭] বেঙ্গল সাপ্রেসন অফ ইমোরাল ট্রাফিক বিল, ১৯৩৩ পাশ করার পর, অল বেঙ্গল উইমেনস ইউনিয়ন মেয়েদের উদ্ধার করে এবং দমদমে অল বেঙ্গল উইমেনস ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনস্টিটিউট নামে একটি পুনর্বাসন হোম শুরু করে।[৮] রমলা সিংহ পরবর্তীকালে পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ বোর্ডের প্রথম চেয়ারপার্সন হন, এটি দুর্গাবাই দেশমুখ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত জাতীয় স্তরের একটি প্রতিষ্ঠান।[৯] তিনি ১৯৩২ সালে কোচবিহারের মহারানী সুনীতি দেবীর সভাপতিত্বে প্রতিষ্ঠিত অল বেঙ্গল উইমেনস ইউনিয়নের প্রথম সেক্রেটারিও ছিলেন[১০] এবং পরে বহু বছর ধরে অল বেঙ্গল উইমেনস ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবে কাজ করেন।[৫] তিনি পরে রেণুকা রায়, সীতা চৌধুরী, আরতি সেনের মতো তার অন্যান্য সমসাময়িকদের সাথে কাজ করেছিলেন এবং শীলা দাভার, বেলা সেন, মানেক মোদি, জয়া চালিহা, প্রণতি ঘোষাল এবং খোরশেদ নারিয়েলওয়ালার মতো পশ্চিমবঙ্গের পরবর্তী প্রজন্মের নারী কর্মীদের জন্য পথপ্রদর্শক ছিলেন।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Women Show The Way in Bengal"। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১২।
- ↑ Datta-Ray, Sunanda K. (১৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৩)। "Grande Dames of Service"। The Telegraph। Calcutta, India। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১২।
- ↑ "Remains of the Past"। The Telegraph। Calcutta, India। ২০ জুলাই ২০১০। ১২ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১২।
- ↑ The women's movement and colonial politics in Bengal: the quest for political rights, education, and social reform legislation, 1921–1936 by Barbara Southard pp X, 232, 242.
- ↑ ক খ Gupta, Ashoka (২০০৫)। In the Path of Service: Memories of a Changing Century By Ashoka Gupta, Sipra Bhattacharya। পৃষ্ঠা 158, 246, 258। আইএসবিএন 9788185604565।
- ↑ Spink, Kathryn (১৯৮১)। The miracle of love: Mother Teresa of Calcutta, her Missionaries of Charity, and her co-workers। পৃষ্ঠা 49। আইএসবিএন 9780060674977।
- ↑ Pruthi, Raj; Devi, Rameshwari (১৯৯৯)। Encyclopaedia of Status and Empowerment of Women in India: Indian women, present status and future prospects। পৃষ্ঠা 192। আইএসবিএন 9788175940413।
- ↑ Datta-Ray, Sunanda K. (১১ জানুয়ারি ২০০৭)। "Where Charity Begins"। The Telegraph, Kolkata। Calcutta, India। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১২।
- ↑ "Social welfare organization working for women empowerment and rehabilitation"। www.abwu.org। ২০১১-০৯-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Hidden behind a modest restaurant, decades of worth, 21 October 2010"। INDIA TOGETHER। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১২।