মো. খায়রুল আলম
মো. খায়রুল আলম | |
|---|---|
| বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিচারক | |
দায়িত্বাধীন | |
| অধিকৃত কার্যালয় ৩ মার্চ ১৯৯৭ | |
| ব্যক্তিগত বিবরণ | |
| জন্ম | ১৫ নভেম্বর ১৯৭১ |
| জাতীয়তা | বাংলাদেশ |
| জীবিকা | বিচারক |
মো. খায়রুল আলম বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি।
প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]
আলম ১৯৭১ সালের ১৫ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন।[১] তিনি ব্যাচেলর অফ ল এবং মাস্টার অফ ল সম্পন্ন করেন।[১]
কর্মজীবন[সম্পাদনা]
১৯৯৭ সালের ৩ মার্চ আলম জেলা আদালতের এবং ১৯৯৭ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হন।[১] আলম ২০১৮ সালের ৩১ মে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক নিযুক্ত হন।[১] জুলাই মাসে আলম এবং বিচারপতি এ বি এম হাসান বাদল ফারাজির জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন , যিনি ভারতে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছিলেন এবং বাকি সাজা ভোগ করার জন্য তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল।[২] ডিসেম্বর মাসে আলম এবং বিচারপতি এ বি এম হাসান ২০১৮ সালের বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর ২৫ জন রাজনীতিবিদের দাঁড়ানোর পথ প্রশস্ত করেন।[৩] আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীর আবেদনের প্রেক্ষিতে ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদির লুনা এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের এম রশিদুজ্জমান মিল্লাতের প্রার্থিতার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেন আলম ও বিচারপতি এ বি এম হাসান।[৪] একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী হিসেবে লুনাকে নির্বাচনে দাঁড়ানোর আগে তিন বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল এবং মিল্লাতকে এর আগে একটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।[৫]
২০১৯ সালের জুলাই মাসে আলম ও বিচারপতি জে বি এম হাসান ঢাকা জল সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষকে নিরাপদ পানীয় জল সরবরাহের নির্দেশ দেন।[৬]
২০২০ সালের ৩০ শে মে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ আলমকে হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারক নিযুক্ত করেন ।[৭] ২০২০ সালের আগস্টে আলম এবং বিচারপতি জেবিএম হাসান দুই পুলিশ অফিসার - পুলিশ সুপার মুস্তাফিজুর রহমান এবং মোহাম্মদ মীজানুর রহমান শেলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন , যারা ফেসবুকে মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার এক সাক্ষীর বিরুদ্ধে প্রযুক্তিগত কারণে নেতিবাচক মন্তব্য করেছিলেন ।[৮][৯] সেপ্টেম্বরে বিচারপতি জে বি এম হাসান এবং মো. আলম বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও বাংলাদেশ রাইফেলসের প্রায় ১২০০ জন কর্মীর মধ্যে যাদের মর্যাদা বাতিল করা হয়েছিল , তাঁদের মধ্যে ১২০ জনের স্বাধীনতা সংগ্রামীর মর্যাদা বাতিল করে সরকারি আদেশের ওপর ছয় মাসের স্থগিতাদেশ জারি করেন ।[১০] ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে আলম এবং বিচারপতি নাইমা হায়দার একটি রায় জারি করে ঘোষণা করেন যে , শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফর্মে তাদের বৈবাহিক অবস্থা প্রকাশ করতে বাধ্য করতে পারে না ।[১১][১২]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ গ ঘ "Home : Supreme Court of Bangladesh"। www.supremecourt.gov.bd। ২০২৩-০৬-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১৫।
- ↑ "Extradited man jailed in India won't be released: HC"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৭-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১৫।
- ↑ "Jamaat Men in Race: HC questions EC decision"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-১২-২৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১৫।
- ↑ "HC puts bar on Millat, Ilias's candidacies"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-১২-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১৫।
- ↑ "BNP's Manikganj-3 candidate cannot contest polls"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-১২-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১৫।
- ↑ "Ensure supply of safe water"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৭-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১৫।
- ↑ "President regularises appointment of 18 additional HC judges"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৫-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১৫।
- ↑ "Shipra Cyberbullied: HC rejects writ plea on technicalities"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৮-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১৫।
- ↑ "Petition against police officers 'cyberbullying' Shipra: HC to deliver order tomorrow"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৮-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১৫।
- ↑ "HC stays cancellation of freedom fighter status of 192 retired BGB, BAF personnel"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৯-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১৫।
- ↑ "Students can't be forced to disclose marital status for admission: HC"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০২-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১৫।
- ↑ "Students' marital status not mandatory for admission, says High Court"। bdnews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১৫।