মোনা হালা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মোনা হালা
জন্ম
মোনা হালা

(1984-10-25) ২৫ অক্টোবর ১৯৮৪ (বয়স ৩৯)
জাতীয়তামিশরীয়, অস্ট্রিয়ান
পেশাঅভিনেত্রী, হোস্টেস, ইউটিউব ব্লগার, সমাজকর্মী
কর্মজীবন২০০১–বর্তমান
দাম্পত্য সঙ্গীথমাস (বি. ২০১৮)

মোনা হালা ( আরবি: منى هلا; জন্ম ২৫ অক্টোবর ১৯৮৪) একজন মিশরীয়-অস্ট্রিয়ান অভিনেত্রী এবং উপস্থাপক। তিনি একজন সক্রিয় সমাজকর্মী হিসেবেও পরিচিত।

প্রাথমিক ও কর্মজীবন[সম্পাদনা]

তাঁর জন্ম হয় ভিন্ন জাতীয়তার পিতা ও মাতার ঘরে। তিনি ১৯৮৪ সালের ২৫ অক্টোবর তারিখে মিশরে অবস্থিত কায়রো শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মিশরে অস্ট্রিয়ান পিতা এবং মিশরীয় মায়ের ঘরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তার বাবা ছোটবেলায় মারা যান, তাই তিনি মিশরে তাঁর মায়ের সাথে থাকেন। সেখানেই তাঁর প্রাথমিক জীবনের পড়াশোনা করেন। জার্মান ভাষায় আইন শামস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁর লাইসেন্স ছিলো। তিনি টিভি চিলড্রেনে শো হোস্ট হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। মোনা তার পেশা জীবনের সূচনা করেন শিশুদের শো 'ইয়াল্লা বিনা' এর মাধ্যমে যার আক্ষরিক আরবি অনুবাদ 'চলো যাই'। অভিনয়ে তার প্রথম ভূমিকা ছিলো ২০০১ সালে লাকি গাইস সিরিজে, তারপর তিনি হুসেইন ফাহমি এবং ইলহাম চাহিনের সাথে টিভি সিরিজ দ্যা ইমপ্রেটারে হাজির হন, তিনি ২০০৮ সালে বাদশাহ ফারুকে মিশরের ফাওজিয়া ফুয়াদ এবং ২০১৯ সালে এ কুইন ইন একজাইল-এ অভিনয় করেছিলেন। তাঁর প্রধান পদক্ষেপ ছিলো মিশরীয় চলচ্চিত্র 'এল বাশা তেলমিজ' -এ তাঁর অভিনয়। চলচ্চিত্রে তিনি ২০০৪ সালে সিব ওয়ানা সিব, ২০০৫ সালে জাকি শান, ২০০৭ সালে সেভেন কালারস অব স্কাই , ২০০৯ সালে বাই নেচার কালরস, ২০০৯ সালে দ্যা গ্লিম্পস, ২০১১ সালে রেডিও লাভে অভিনয় করেন। তিনি ২০১১ সালের এপ্রিল মাসে জনপ্রিয় ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবে মোনাতুফ শিরোনামে তাঁর নিজের কমেডি শো চালু করেন। বিভিন্ন মিডিয়ায় তাঁর নিয়মিত উপস্থিতির কারণে তিনি অনেকের কাছে পরিচিত নামেবং বিশেষ করে তরুণ সমাজের কাছে তিনি বেশ জনপ্রিয়।

ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]

মোনা হালা ২০১১ সালের মিশরীয় বিপ্লবে অংশগ্রহণকারী একজন তারকা হিসেবে পরিচিত। তিনি তাঁর চিন্তাধারা নিয়ে খুবই সোচ্চার যার পরিচয় পাওয়া যায় ব্যক্তিগত জীবনের পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রেও। তিনি তাঁর বামপন্থী ভাবনার জন্য পরিচিত, তিনি একজন নারীবাদী এবং সমাজতান্ত্রিক।[১] তিনি সমকামীদের অধিকার রক্ষাতেও কাজ করেন।[২] তিনি অনেক তরুণ তরুণীদের জন্য অনুকরণীয় এক আদর্শ।

২০১৮ সালে তিনি তাঁর দীর্ঘদিনের আমেরিকান প্রেমিক থমাসকে বিয়ে করেন, যিনি বিয়ের উদ্দেশ্যে ইসলাম গ্রহণ করেন,[৩] তিনি তাঁর প্রেমিকের সাথে দেখা করার পর নিরামিষভোজী হন।[৪]

কাজ[সম্পাদনা]

ধারাবাহিক[সম্পাদনা]

  • ২০০১ সালে লাকি গাইজ
  • ২০০২ সালে ইমপ্রেটর
  • ২০০৩ সালে শাবাব অনলাইন ২
  • ২০০৪ সালে দ্যা আদার সাইড অব বিচ
  • ২০০৪ সালে নিউ ইজিপ্ট
  • ২০০৫ সালে তামিয়া ক্যাভিয়ার
  • ২০০৬ সালে কায়রো ওয়েলকাম ইউ
  • ২০০৬ সালে মোয়াতেন বেদারাজাত ওয়াজির
  • ২০০৬ সালে হেভেন ভিক্টরি
  • ২০০৬ সালে এল-আন্দালিব
  • ২০০৬ সালে এন্ড দ্যা লাভ ইজ স্ট্রঙ্গেস্ট
  • ২০০৬ সালে সেকেট এলি এরোহ
  • ২০০৭ সালে উওন্ডেড হার্টস ক্লাব
  • ২০০৭ সালে কিং ফারুক
  • ২০০৮ সালে গার্লস ইন থার্টি
  • ২০০৮ সালেআদা আলনাহার
  • ২০০৮ সালে ডেড হার্ট
  • ২০০৮ সালে ডেজ অব হরর এন্ড লাভ
  • ২০০৮ সালে লাম্বা শো
  • ২০০৮ সালে দ্যা হার্ট ইজ ব্যাক
  • ২০০৮ সালে দ্যা হাই স্কুল
  • ২০০৮ সালে হারামত ইয়া বাবা
  • ২০১০ সালে লাভ স্টোরি
  • ২০১০ সালে দ্যা ট্রুথ অব ইলিউশনস
  • ২০১০ সালে কোয়ার্টার প্রবলেম
  • ২০১০ সালে লিভিং দ্যা সান
  • ২০১০ সালে হারামত ইয়া বাবা ২
  • ২০১০ সালে এ কুইন ইন একজাইল
  • ২০১০ সালে দ্যা আদার অক্টোবর
  • ২০১০ সালে ইয়ারস অব লাভ এন্ড সল্ট
  • ২০১১ সালে দ্যা ইউনিভার্সিটি
  • ২০১২ সালে অ্যারোসেট ইয়াহো
  • ২০১২ সালে রোব মাশাকেল স্পেসি
  • ২০১২ সালে তেরি ইয়া তায়ারা
  • ২০১৩ সালেআলফ সালামা
  • ২০১৩ সালে দ্যা বেস্ট ডেজ

চলচ্চিত্র[সম্পাদনা]

  • ২০০৪ সালে আলবাসা আলটেলমেড
  • ২০০৪ সালে সিব ওয়ানা সিব
  • ২০০৫ সালে জাকি শান
  • ২০০৭ সালে সেভেন কালারস অব স্কাই
  • ২০০৮ সালে বেবি ডল নাইট
  • ২০০৯ সালে কায়রো টাইম
  • ২০০৯ সালে দ্যা গ্লিম্পস
  • ২০০৯ সালে বাই নেচার কালরস
  • ২০১১ সালে রেডিও লাভ
  • ২০১১ সালে দ্যা ফিল্ড
  • ২০১২ সালে মিডনাইট পার্টি
  • ২০১৫ সালে পাপারাজ্জি
  • ২০১৮ সালে হামাম সখেন
  • ২০১৮ সালে এক্সটেরিয়র নাইট

স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র[সম্পাদনা]

  • ২০০৪ সালে জাহিন কোয়ার্টার
  • ২০০৫ সালে ক্লোজ আপ
  • ২০০৫ সালে হাউজ অব মিট
  • ২০০৭ সালে আকবর আলকাবের

মঞ্চ[সম্পাদনা]

  • ২০১০ সালে দ্যা এক্সিডেন্ট হুইচ হেপেন্ড

হোস্টিং[সম্পাদনা]

  • ২০০১ সালে ইয়ালা বেনা
  • ২০০১ সালে সাহ সাহ মনা
  • ২০১০ সালে বেলমাক্লুব
  • ২০১১ সালে মোনাটয়

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Elaph Publishing Limited। "منى هلا تكشف آرائها الجريئة في حوارٍ مع "إيلاف""elaph.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-১৩ 
  2. "Wow, she really went there! Egyptian actress Mona Hala speaks up for gays"Al Bawaba। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-১৩ 
  3. "زواج منى هلا من شاب بأمريكا بعد إشهار إسلامه - اليوم السابع"youm7.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-১৩ 
  4. "جولولي | منى هلا تكشف سر مقاطعتها لأكل اللحوم وتحولها لنباتية"gololy.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-১৩