মেরু ভালুকের বন্দিশালা

২০১১ সালে মেরু ভালুকের কারাগার।

মেরু ভালুকের কারাগার (এছাড়াও মেরু ভালুক ধারণ সুবিধা হিসাবে পরিচিত) চার্চিল,ম্যানিটোবায় অবস্থিত একটি বিশেষ ভবন যেখানে বিরক্তিকর বা বিপজ্জনক বলে মনে করা মেরু ভালুক বিচ্ছিন্ন করে স্থানান্তরিত করা হয়|

ইতিহাস

হোল্ডিং সুবিধা স্থাপনের আগে, বিপদজনক বিবেচনা করা মেরু ভালুকগুলোকে গুলি করা হত। হোল্ডিং সুবিধাটি প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮২ সালে (অন্যান্য উৎস অনুসারে, ১৯৮৩ সালে, রাস্তায় একটি ভালুক একজনকে ক্ষতবিক্ষত করার পরে)আনুষ্ঠানিকভাবে "হাউস ডি -২০" নামক দালানে , যা ছিল একটি প্রাক্তন সামরিক শবঘর|

সুবিধাটি সালিশ চিফ ভিক্টর এ. চার্লো রচিত "চার্চিল বিয়ার জেল" কবিতার বিষয়।

প্রাণিদের রাখা

প্রাথমিকভাবে, সুবিধাটিতে ২০ টি ঘর ছিল, যা ১৬ টি একক ভালুক এবং চারটি ভালুকের পরিবার ধারণ করতে পারত। ভালুকগুলোকে দুই দিন থেকে শুরু করে ৩০ দিন পর্যন্ত ধরে রাখা যেতে পারে - যদি একটি ভালুক বারবার ধরা পড়ে, তবে মেয়াদটি দীর্ঘ হতে পারে। এর ভিত্তিটি হচ্ছে, দীর্ঘকালীন বন্দিদশা ভালুকের জন্য বিপদের একটি ধারণা তৈরি করে যাতে এরা শহরে যেতে অনীহা প্রকাশ করবে। বন্দীদশায় ভালুকদের খাবার খাওয়ানো হয় না। যেহেতু ভালুকের প্রাকৃতিক চক্র দীর্ঘকাল উপবাসের সাথে জড়িত, তাই তাদের দেহগুলো অধিক সময়ের জন্য খাবার ছাড়াই খাপ খাইয়ে নেয়।

ধরার সময় বিপজ্জনক ভালুকগুলিকে শান্ত করা হয় এবং ঘাড়ে একটি উজ্জ্বল রং দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। শীতের খুব কাছাকাছি সময়ে, যখন হাডসন উপসাগর এ বরফ জমে, তখন ভালুকগুলি ছেড়ে দেওয়া হয়। এগুলিকে পরে আবার শান্ত করা হয় এবং শহর থেকে অনেক দূরে হেলিকপ্টার দিয়ে পরিবহন করা হয়।

২০১৪ সালে, কারাগারটিকে ২৮ কক্ষে প্রসারিত করা হয় ।চার্চিল অধিবাসীদের এখনও বাইরে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, কারণ শহরটির উপকণ্ঠে গ্রীষ্মে প্রায় এক হাজার মেরু ভালুক পরিদর্শন করে বলে জানা যায়। বরফ চলে যাওয়ার সাথে সাথে, এরা এদের প্রাথমিক শিকার - সীল - শিকার করতে অক্ষম হয় এবং, অনাহারে ভুগতে থাকায়, এরা এই শহরে যায় এবং বাসিন্দাদের ভয় দেখায়।

হাডসন উপসাগর এবং চার্চিল নদীর তীরে "পোলার বিয়ার এলার্ট" এর সতর্ক চিহ্ন রয়েছে, এবং একজন ব্যক্তি একটি মেরু ভালুক লক্ষ করলে নির্ধারিত নাম্বারে কল করতে পারেন, যার ভিত্তিতে প্রাকৃতিক সম্পদ বিভাগের কর্মীরা এসে ভালুকটি ধরবে।