মুস্তফা বিসরি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মুস্তফা বিসরি

আহমেদ মুস্তফা বিসরি (জন্ম ১০ আগস্ট ১৯৪৪) হলে একজন ইন্দোনেশিয়ান ইসলামিক নেতা যিনি নাহদলাতুল উলামার প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি ইন্দোনেশিয়ামধ্য জাভার রেমব্যাঙ্গের পন্দক পেসানট্রেন রাউদলাতুথ থালিবিন নামক সংস্থার প্রধান ছিলেন। মুস্তফা বিসরি, যিনি গুস মুস নামে সর্বাধিক পরিচিত, শুধুমাত্র একজন কিয়াই (ঐতিহ্যবাহী ইসলামিক শিক্ষক ও নেতা) নন, তিনি একজন কবি ও চিত্রশিল্পী ও বটে। [১]

পটভূমি[সম্পাদনা]

গুস মুস হলেন কে. এইচ. বিসরি মুস্তফার পুত্র এবং এইচ. জয়নাল মুস্তফার নাতি, যারা দুজনেই ইন্দোনেশিয়ার সম্মানিত ইসলামিক নেতা হিসেবে পরিচিত। তিনি বিভিন্ন পন্দক পেসানট্রেন (ঐতিহ্যবাহী ইসলামিক বিদ্যালয়) এ লেখাপড়া করেছেন। যেমন কেএইচ মারজুকি ও কেএইচ মাহরুস আলির অধীনে পেসানট্রেন লিরবয়ো কেদিরি এবং কেএইচ আলি মাশুম ও কেএইচ আবদুল কাদিরের অধীনে আল মুনাওয়ার ক্রাপিইয়াক যোগিকার্তায়। তিনি আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়, কায়রো থেকে স্নাতক লাভ করেছেন।

গুস মুসের সহধর্মিণীর নাম সিতি ফাতেমা এবং তাঁদের ৭ জন সন্তান আছে। সন্তানদের নাম হলো, ইনাস সুরোইয়া, কাউসার উজমুত, রাউদলহ কুদস, রাবিয়াতুল বিসরিয়াহ, নাদা, আলমাস এবং মুহাম্মদ বিসরি মুস্তফা। তাঁর পাঁচ জামাই আছে। তাঁরা হলেন উলিল আবশার আবদালা, রেজা শালাউদ্দিন হাবিবি, আহমেদ স্যাম্পটন, ওয়াহইউ সালভানা এবং ফাদেল ইরাওয়ান। তাঁর ৮ নাতি নাতনি আছে। তাঁরা হলেন, একতাদা বেন্নাবি মোহাম্মদ, একতাদা বিলহাদি মুহাম্মদ, মুহাম্মদ রাভি হামাদান হাবিবি, মুহাম্মদ রাকি হাইদারা হাবিবি, মুহাম্মদ নাজি উকাসাহ, আহমেদ নাকি উসামা, সামিহ ওহইউ মওলানা এবং মুহাম্মদ রাসিখ রুঝান।

গুস মুস এবং নাহদলাতুন উলামা[সম্পাদনা]

১৯৭০ সালে মিশর থেকে ফিরে আসার পর তাঁকে নাহদলাতুল উলামা, রেমব্যাঙ্গের পরিষদ সদস্য করা হয়। তিনি ১৯৭৭ সালে মধ্য জাভার নাহদলাতুল উলামার মুস্তাসিয়ার বা পরামর্শক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৪ সালে পশ্চিম জাভার সিপানাসে অনুষ্ঠিত নাহদলাতুল উলামার সাধারণ বৈঠকে তিনি রইস সাইউরিয়াহ নির্বাচিত হন।

২০০৪ সালে বয়োলালি, মধ্য জাভায় অনুষ্ঠিত ৩১ তম সাধারণ সভায় তাঁকে ইন্দোনেশিয়ার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আবদুর রহমান ওয়াহিদসহ কয়েকজন কিয়াই অনুরোধ করেছিলেন নাহদলাতুল উলামার সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে। কিন্তু তিনি এই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন ফলে কেএইচ হাসিম মুজাদি দ্বিতীয়বারের মত সভাপতি নির্বাচিত হন।

গুস মুসের রচনা[সম্পাদনা]

গুস মুসের প্রকাশিত হওয়া কিছু বই নিম্নরুপ:

  • এনসাইক্লোপেডি ইজমাক (তরজমা বারসামা কেএইচএম আহমেদ সাহাল মাহফুদজ, পুসতাকা ফিদাউস, জাকার্তা)
  • প্রসেস কেবাহাগিয়ান (সারানা সুকসেস, সুরাবায়া)
  • আওয়াস মানুসিয়া দান নিয়ামুক ইয়াং পারকাসা (গুবাহান সেরিটা আনাক-আনাক, গায়া ফেবরিট প্রেস, জাকার্তা)
  • মাহা কিয়াই হাসিম আশআরি (তরজমা, কুরনিয়া কালাম সেমেস্তা, যোগজাকার্তা)
  • সিয়ার আসমাউল হুসনা (বাহাসা জাওয়া, আল হুদা, তেমাংগাং, ২০০৭, মাতাএয়ার পাবলিশিং)
  • সালেহ রিতুয়াল সালেহ সোসিয়াল, এসাই-এসাই মরাল (মিজান, বান্দুং)
  • পেসান ইসলাম সেহারি-হারি, রিতুস যিকির দান গেমপিতা উম্মাত (১৯৯৯, রিসালাহ গুস্তি, সুরাবায়া)
  • আল মুনা, তেরজেমাহান সাইয়ের আসমাউল হুসনা (আল-মিফতাহ, মাতা এয়ার পাবলিশিং সুরাবায়া)
  • মুতিয়ারা মুতিয়ারা বেনজল (প্রথম সংস্করণ ২০০৪, মাতাএয়ার পাবলিশিং, সুরাবায়া)
  • ফিকিহ কেসেহারিয়ান গুস মুস (১৯৯৭ ইয়াসান আল-ইব্রিজ বেজেরহাসানা ডেনগান পেনেরবিত আল মিফতা সুরাবায়া, প্রথম সংস্করণ এপ্রিল ২০০৫, দ্বিতীয় সংস্করণ জানুয়ারি ২০০৬, খালিস্তা, সুরাবায়া বেকেরজাসামা দেনগান কমুনিতাস মাতাএয়ার)
  • চান্দা নবী ও তাওয়া সুফি (প্রথম সংস্করণ জুলাই ২০০২, দ্বিতীয় সংস্করণ নভেম্বর ২০০২, পেনেরবিত হিকমাহ, বান্দুং)
  • মেলিহাত দিরি সেনদিরি (গামা মিডিয়া, যোগজাকার্তা)

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. gusmus। "Gusmus"gusmus.net। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-১১