মুঝিক্কল পঙ্কজাক্ষি
মুঝিক্কল পঙ্কজাক্ষি | |
---|---|
জন্ম | [১] | ১৪ মার্চ ১৯৩৬
পেশা | নক্কুবিদ্যা পাবাকালি অভিনয়কারী |
পরিচিতির কারণ | নক্কুবিদ্যা পাবাকালি |
দাম্পত্য সঙ্গী | শিবরাম পানিকার |
পুরস্কার | পদ্মশ্রী |
মুঝিক্কল পঙ্কজাক্ষি নক্কুবিদ্যা পাবাকালি নামক এক ধরনের পুতুলনাচে বিশেষজ্ঞ। তিনি ২০২০ সালে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রীতে ভূষিত হন।[২][৩][৪]
জীবনী[সম্পাদনা]
মুঝিক্কল পঙ্কজাক্ষি আম্মা বা পঙ্কজাক্ষি মুঝিক্কল শিবরামন ১৯৩৬ সালের ১৪ই মার্চ কোট্টায়ম জেলার উরুলিকুন্নাথ, পালায় জন্মগ্রহণ করেন।[১][৫] আর্থিক সমস্যার কারণে তাঁকে মাঝপথেই পড়াশোনা ছেড়ে দিতে হয়েছিল।[১] পঙ্কজাক্ষি আম্মা তাঁর মা পাপ্পিয়াম্মার কাছ থেকে নক্কুবিদ্যা শেখা শুরু করেন।[১] তিনি এগারো বছর বয়সে নক্কুবিদ্যা পাবাকালি শিখেছিলেন, পরে বিয়ের পর তিনি স্বামীর লেখা গানের সাথে তা পরিবেশন করতেন।[৬] তিনি ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে নক্কুবিদ্যা পাবাকালি প্রদর্শন করে গেছেন। এরপর বার্ধক্য, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস এবং স্মৃতিশক্তি হ্রাসের কারণে তিনি ৭২ বছর বয়সে নক্কুবিদ্যা করা বন্ধ করে দেন।[৭] এরপর তিনি তাঁর নাতনি রেঞ্জিনিকে এই লোকশিল্প শেখান।[৭]
ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]
পঙ্কজাক্ষি আম্মা ২০ বছর বয়সে কোট্টায়াম জেলার উঝাভুরের কাছে মনিপল্লীর শিবরাম পানিকারকে বিয়ে করেছিলেন।[৫][৮] দম্পতির তিনটি সন্তান, বিজয়ন, রাধামণি এবং শিব।[৫] তিনি এখন নিজের মেয়ে রাধামণির সাথে মনিপল্লীতে থাকেন।[৫]
পুরস্কার ও সম্মাননা[সম্পাদনা]
মুঝিক্কল পঙ্কজাক্ষি বেশ কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছেন, তার মধ্যে আছে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মশ্রী (২০২০) এবং কেরল ফোকলোর একাডেমি থেকে ফেলোশিপ (২০১২)।[৬][৯] ২০০৮ সালে, কেরল পর্যটন উৎসবের অংশ হিসেবে, তিনি প্যারিসে এই কলা প্রদর্শন করেন।[১] এছাড়াও পঙ্কজাক্ষি আম্মা কেরল এবং কেরলর বাইরে অনেক জায়গায় নক্কুবিদ্যা প্রদর্শন করেছেন।[১০]
তাঁর ওপর করা কাজ[সম্পাদনা]
রেশমি রাধাকৃষ্ণনের তথ্যভিত্তিক চলচ্চিত্র নক্কুবিদ্যা, দ্য লাইফ অফ আ লোন স্ট্রিং পাপেটিয়ার, কেরলর ইন্টারন্যাশনাল ডকুমেন্টারি এবং শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হয়েছে। এটি নক্কুবিদ্যা এবং এর প্রদর্শনশিল্পী পঙ্কজাক্ষি আম্মার ওপর চিত্রায়িত।[৭]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "Smt. Pankajakshi MS" (পিডিএফ)। Government of India।
- ↑ "Puppetry still means the world to muthassi at 84'"। Deepika Jayaram। The Times of India। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ "Padma Shri Honour For Last Practitioner Of Kerala's Traditional Puppetry"। Sanya Jain। NDTV। ৩০ জানুয়ারি ২০০০। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ "'Nokku Vidya Paavakali is grandma's life'"। The Times of India। ২৯ জানুয়ারি ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ ক খ গ ঘ Thayabji, Roopa। "'11 വയസ്സ് മുതൽ നോക്കുവിദ്യ പാവകളി പഠിച്ചുതുടങ്ങി; മച്ചിങ്ങ വീണ് മുഖത്ത് ചതവും ഈർക്കിലി കുത്തിക്കയറലും അന്ന് പതിവാണ്'; പത്മശ്രീയേക്കാൾ തിളക്കത്തോടെ പങ്കജാക്ഷിയമ്മ! | Padmasree award winner"। vanitha.in (মালায়ালাম ভাষায়)। Vanitha। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-১০।
- ↑ ক খ "പദ്മശ്രീയിലെ പെൺതിളക്കം-മൂഴിക്കൽ പങ്കജാക്ഷി"। Kerala Women (মালায়ালাম ভাষায়)। ২০২০-০৩-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-১০।
- ↑ ক খ গ "This Malayalam documentary is about a little-known puppetry form performed by women"। The News Minute (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-১২-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-১০।
- ↑ Barua, Ananya (২০২১-০৬-১৮)। "The Fate of a Rare Dying Art Rests on The Lips of This 20-YO Kerala Girl"। The Better India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-১০।
- ↑ "നോക്കുവിദ്യാ പാവകളിയുടെ കലാവൈഭവത്തിന് പത്മശ്രീ പുരസ്കാരം"। Mathrubhumi (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০১-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-১০।
- ↑ "മൂഴിക്കല് വീട്ടിലെ പത്മശ്രീ"। Janmabhumi (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-১০।