মাহবুবুল হক (পাকিস্তানি অর্থনীতিবিদ)
মাহবুবুল হক | |
---|---|
محبوب الحق | |
পাকিস্তানের ১৪তম অর্থমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ৯ জুন ১৯৮৮ – ১ ডিসেম্বর ১৯৮৮ | |
রাষ্ট্রপতি | গুলাম ইসহাক খান |
পূর্বসূরী | ইয়াসিন ওয়াট্টু |
উত্তরসূরী | এহসান উল হক পিরাচা |
কাজের মেয়াদ ১০ এপ্রিল ১৯৮৫ – ২৮ জানুয়ারি ১৯৮৬ | |
রাষ্ট্রপতি | জিয়া উল হক |
প্রধানমন্ত্রী | মুহাম্মদ খান জুনেজো |
পূর্বসূরী | গুলাম ইসহাক খান |
উত্তরসূরী | ইয়াসিন ওয়াট্টু |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | গুরদাসপুর, পাঞ্জাব প্রদেশ, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান পাঞ্জাব, ভারত) | ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৪
মৃত্যু | ১৬ জুলাই ১৯৯৮ নিউ ইয়র্ক সিটি, নিউ ইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র | (বয়স ৬৪)
জাতীয়তা | পাকিস্তানি |
দাম্পত্য সঙ্গী | খাদিজা খানম |
সন্তান | ২ |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী |
|
জীবিকা | অর্থনীতিবিদ রাজনীতিবিদ |
মাহবুবুল হক (উর্দু: محبوب الحق; ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৪ – ১৬ জুলাই ১৯৯৮ ) একজন পাকিস্তানি অর্থনীতিবিদ, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন তাত্ত্বিক ও রাজনীতিবিদ যিনি ১৯৮৫-১৯৮৬ সালে প্রথমবার এবং পরে ১৯৮৮ সালে দ্বিতীয়বার পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তাঁকে তার সমসাময়িক যুগের সেরা অর্থনীতিবিদদের একজন হিসেবে গণ্য করা হয়। তিনি মানব উন্নয়ন সূচক নামক পরিসংখ্যানিক সূচকটি উদ্ভাবন করেন, যেটিকে পৃথিবীর দেশগুলির অর্থনৈতিক উন্নয়ন মাপার জন্য ব্যবহার করা হয়।[১]
হক লাহোরের গভর্নমেন্ট কলেজ ইউনিভার্সিটি থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক উপাধি লাভ করে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরেকটি স্নাতক উপাধি লাভ করেন। এরপর তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট উপাধি লাভ করেন ও তার পরে হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলে ডক্টরেটোত্তর গবেষণা সম্পন্ন করেন। পাকিস্তানে ফেরত এসে ১৯৬০-এর দশকে র পুরোটা জুড়ে পাকিস্তানের পরিকল্পনা পরিষদের প্রধান অর্থনীতিবিদ হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭০ সালে আইয়ুব খানের সরকারের পতনের পর তিনি ওয়াশিংটন ডিসিতে গিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের নীতি পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক হিসেবে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। সেখানে তিনি নিম্ন-আয়ের দেশগুলির উন্নয়নে সহায়তার ব্যাপারে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে প্রধান ভূমিকা রাখেন।[২][৩]
১৯৮২ সালে পাকিস্তানে প্রত্যাবর্তনের পরে ১৯৮৫ সালে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রীর পদ লাভ করে দেশটির অর্থনীতির উদারীকরণ ঘটান ১৯৮৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত গিয়ে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন। সেখানে তিনি মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন প্রকাশে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন ও মানব উন্নয়ন সূচকের ধারণাটি প্রতিষ্ঠা করেন, যাতে আর্থিক আয়ের বদলে মানুষের সুস্থতা বা কল্যাণ গণনা করে উন্নয়ন পরিমাপের চেষ্টা করা হয়। ১৯৯৬ সালে পাকিস্তানে ফেরত এসে ইসলামাবাদে তিনি একটি মানব উন্নয়ন কেন্দ্র স্থাপন করেন।[৪]
বৈশ্বিক উন্নয়নে হকের গভীর প্রভাব রয়েছে বলে মনে করা হয়। ১৯৯৫ সালে তাঁর রচিত রিফ্লেকশনস অভ হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট বইটি মানব উন্নয়ন পরিকাঠামোর জন্য নীতি প্রস্তাবনায় অনেক নতুন দ্বার উন্মোচন করে, যেমন ২০০০ সালে গঠিত জাতিসংঘ বৈশ্বিক কম্প্যাক্ট।[৫] অমর্ত্য সেন ও টেম ডালাইয়েল হকের গবেষণাকর্মকে "উন্নয়ন প্রক্রিয়া পরিসংখ্যানিক হিসাবরক্ষণ ও অনুধাবনে ক্ষেত্রে এক বিরাট পরিবর্তন আনয়নের" জন্য কৃতিত্ব দিয়েছেন।[৬] ব্রিটিশ সাময়িকী দি ইকনমিস্ট তাঁকে "আন্তর্জাতিক উন্নয়নের স্বপ্নদ্রষ্টাদের একজন" হিসেবে বর্ণনা করেছে।[৭] তাঁকে বিশ্বব্যাপী "উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য সবচেয়ে "স্পষ্টভাষী ও প্ররোচক প্রবক্তা" মনে করা হয়।[৮][৯]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Mahbub ul Haq"। The Economist। আইএসএসএন 0013-0613। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-১৬।
- ↑ "Inaugural Mahbub ul Haq-Amartya Sen Lecture, UNIGE | Human Development Reports"। hdr.undp.org। জানুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০২-২৩।
- ↑ "Amartya Sen - Biographical"। www.nobelprize.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০২-২৩।
- ↑ "Honouring Mahbubul Haq - The Express Tribune"। The Express Tribune (ইংরেজি ভাষায়)। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০২-২৩।
- ↑ Mahbub ul Haq (1996) Reflections on Human Development. Oxford University Press. 288 pages. আইএসবিএন ০-১৯-৫১০১৯৩-৬
- ↑ "Obituary: Mahbub ul Haq"। The Independent (ইংরেজি ভাষায়)। ২ আগস্ট ১৯৯৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০২-২৩।
- ↑ "Mahbub ul Haq"। The Economist। আইএসএসএন 0013-0613। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০২-২৩।
- ↑ "Dr. Mahbub ul-Haq"। www.scu.edu। ১৩ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০২-২৩।
- ↑ Baru, Sanjaya (১৯৯৮-০১-০১)। "Mahbub ul Haq and Human Development: A Tribute"। Economic and Political Weekly। 33 (35): 2275–2279। জেস্টোর 4407121।