মালদ্বীপে বিবাচন

সংবাদপত্রের স্বাধীনতার আন্তর্জাতিক সূচকে মালদ্বীপ মধ্য থেকে শীর্ষ তৃতীয় স্থানে রয়েছে যা বিশাল মাত্রার স্বাধীনতা নির্দেশ করে। ধর্ম নিয়ে মিডিয়া আলোচনা অবশ্য কঠোরভাবে সীমাবদ্ধ থাকে।

সূচক[সম্পাদনা]

২০১১ সালের ফ্রিডম হাউস ফ্রিডম অফ দ্য প্রেসের বার্ষিক প্রতিবেদনে মালদ্বীপ ৫০ বা "আংশিকভাবে বিনামূল্যে" স্কোর করেছে।^[১] ২০১০ সালে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস মালদ্বীপকে বিশ্বের ৫২ তম স্বাধীন সংবাদপত্র (১৭৮টি র‍্যাঙ্কযুক্ত দেশের) হিসাবে স্থান দিয়েছে।^[২]

ইসমাইল খিলাথ রশিদ বিতর্ক[সম্পাদনা]

২০১১ সালের নভেম্বরে মালদ্বীপের কমিউনিকেশন অথরিটি (সিএএম) দ্বারা সাংবাদিক ইসমাইল খিলাথ রাশেদের ব্লগটি ইসলামিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আদেশে বন্ধ করে দেয় এই কারণে যে সাইটে "ইসলাম বিরোধী উপাদান" রয়েছে।^[৩] রাশেদ একজন স্ব-স্ব-স্বীকৃত সুফি মুসলিম যিনি বৃহত্তর ধর্মীয় সহনশীলতার পক্ষে যুক্তি দিয়েছিলেন।^[৪] রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস^[২] এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার নাভানেথেম পিলে^[৫] ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার বৃদ্ধির প্রতিনিধিত্ব করে ব্লগ বন্ধের নিন্দা করেছেন।

১০ ডিসেম্বর রাশেদ বৃহত্তর ধর্মীয় স্বাধীনতার পক্ষে একটি সমাবেশের আয়োজন করলে সমাবেশে হামলা হয় এবং রাশেদের মাথার খুলি ভেঙে যায়।^[৪] পরবর্তীকালে তাকে গোঁড়া সুন্নি আধালাথ পার্টির অনুরোধে গ্রেফতার করা হয়,^[৬] যারা ইসলাম রক্ষার জন্য ২৩ ডিসেম্বর একটি পাল্টা বিক্ষোভের আয়োজন করে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল (যা তাকে বিবেকের বন্দী^[৪] বলেছিল) এবং রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস^[৬] তার পক্ষে প্রতিবাদের পর ১০ জানুয়ারি রাশেদকে মুক্তি দেওয়া হয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

↑ "Freedom of the Press 2011" (পিডিএফ)। Freedom House। ২০১১। ১৫ মে ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জানুয়ারি ২০১২।
↑ ^ক ^খ "Government shuts down blog in climate of growing religious intolerance"। IFEX। ২৩ নভেম্বর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১২।
↑ Eleanor Johnstone (২১ নভেম্বর ২০১১)। "Blog crack-down "is just the beginning", warns censored blogger"। Minivan News। ১৪ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১২।
↑ ^ক ^খ ^গ "Maldives' Police Arrests Campaigner Seeking Religious Tolerance and Allows His Attackers Impunity"। Amnesty International। ২১ ডিসেম্বর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১২।
↑ Navanethem Pillay (২৪ নভেম্বর ২০১১)। "Opening remarks by UN High Commissioner for Human Rights Navi Pillay at a press conference during her mission to the Maldives"। United Nations Human Rights। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১২।
↑ ^ক ^খ "Journalist detained, charges unclear"। IFEX। ২১ ডিসেম্বর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১২।

[1] "Freedom of the Press 2011" (পিডিএফ)। Freedom House। ২০১১। ১৫ মে ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জানুয়ারি ২০১২।

[RWB-2] ক ^খ "Government shuts down blog in climate of growing religious intolerance"। IFEX। ২৩ নভেম্বর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১২।

[MV1-3] Eleanor Johnstone (২১ নভেম্বর ২০১১)। "Blog crack-down "is just the beginning", warns censored blogger"। Minivan News। ১৪ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১২।

[AI1-4] ক ^খ ^গ "Maldives' Police Arrests Campaigner Seeking Religious Tolerance and Allows His Attackers Impunity"। Amnesty International। ২১ ডিসেম্বর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১২।

[5] Navanethem Pillay (২৪ নভেম্বর ২০১১)। "Opening remarks by UN High Commissioner for Human Rights Navi Pillay at a press conference during her mission to the Maldives"। United Nations Human Rights। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১২।

[RWB2-6] ক ^খ "Journalist detained, charges unclear"। IFEX। ২১ ডিসেম্বর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১২।

[১]

[২]

[৩]

[৪]

[৫]

[৬]