মার্সেসেন্স
মার্সেসেন্স (ইংরেজি: Marcescence) হল, সাধারণত যেসব মৃত উদ্ভিদ অঙ্গের ঝরে যাবার কথা সেসবের বজায় থাকা। শীতকাল জুড়ে পাতা বজায় রাখে এমন পর্ণমোচী বৃক্ষে এটি দেখা যায়। বেশ কয়েকটি বৃক্ষের সাধারণভাবেই মার্সেসেন্ট পাতা থাকে, যেমন ওক,[১] বিচ, এবং হর্নবিম। বসন্তে পিন ওকের মার্সেসেন্ট পত্ররাজী তাদের এ্যাবসিশন স্তরের বিকাশ সম্পন্ন করে।[২] শীতকাল জুড়ে বৃন্তের গোড়া জীবন্ত থাকে। অন্যসব বৃক্ষেরও সেসব মৌসুমে মার্সেসেন্ট পত্ররাজী থাকতে পারে যখন এ্যাবসিশন স্তর বিকাশের বা সম্পূর্ণ বিকাশের পূর্বেই ঠান্ডার ফলে পত্ররাজী মরে যায়। রোগবালাইয়ের কারণেও এ্যাবসিশন স্তর বিকাশের পূর্বে পত্ররাজী মরে যেতে পারে।
"মার্সেসেন্ট" শব্দটি ছত্রাকবিজ্ঞানেও ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে এমন ধরনের মাশরুমকে বুঝায় যা শুকিয়ে গেলেও পরবর্তীকালে পুনরুজ্জীবিত হতে পারে এবং রেণু ছড়াতে পারে।[৩] Marasmius গণটি এই বৈশিষ্ট্যের জন্য প্রসিদ্ধ যা এলিয়াস ম্যাগনাস ফ্রিয়েস তার ১৮৩৮ সালের ছত্রাকের শ্রেণীকরণের ক্ষেত্রে শ্রেণীবিন্যাসগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করেছিলেন।[৪]
উপকারিতা
[সম্পাদনা]মার্সেসেন্ট পত্ররাজির একটি সম্ভাব্য সুবিধা হল পল্লব ও কুঁড়িকে এটি বৃহৎ শাকাশীদের (যেমন, হরিণ এবং মুজ) ভক্ষণের হাত থেকে রক্ষা করে। মৃত ও শুষ্ক পত্ররাজি পল্লবের পুষ্টি ও ভক্ষণযোগ্যতা হ্রাস করে।[৫]
মার্সেসেন্ট পত্ররাজি কয়েকটি প্রজাতিকে পানির অথবা তাপমাত্রার পীড়ন থেকেও রক্ষা করে।[৬]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Berkley, Earl E. (১৯৩১), "Marcescent leaves of certain species of Quercus", Botanical Gazette ৯২: ৮৫-৯৩
- ↑ Hoshaw, R.W. and Guard, A.T. (১৯৪৯), "Abscission of marcescent leaves of Quercus palustris and Q. coccinea", Botanical Gazette ১১০ঃ৫৮৭-৫৯৩
- ↑ Ray E. Halling (২০০৪) , "A revision of Collybia s.l. in the northeastern United States & adjacent Canada", Introduction অংশ দেখুন
- ↑ এলিয়াস ম্যাগনাস ফ্রিয়েস (১৮৩৮), Epicrisis systematis mycologici, Uppsala: Typographia Academica
- ↑ Svendsen, Claus R (২০০১), "Effects of marcescent leaves on winter browsing by large herbivores in northern temperate deciduous forests", Alces, ৩৭(২)ঃ ৪৭৫-৪৮২।
- ↑ Smith, Alan P. (১৯৭৯),"Function of dead leaves in Espeletia schultzii (Compositae), and Andean caulescent rosette species", Biotropica ১১ঃ ৪৩-৪৭